somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কপিরাইট: শুরুটা যেভাবে ও বাংলাদেশ প্রেক্ষিত

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৪:১১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

নীলক্ষেতে একটা জরুরী বইয়ের খোঁজ করছিলাম। দোকানী জানালো, নেই। কারণ মূল আমদানীকারক আনেনি। বলাইবাহুল্য , আমাদের মতো মানুষজন মূলটা না , ফটোকপিটাই কিনবে। অপরাধবোধ হলেও কিছু করার নেই।কিন্তু আসলটাই যদি না থাকে কপি কোথ্থেকে হবে? কিন্তু কেন চাহিদা থাকার পরেও অরিজিনালটা আসে নি? শুনলাম , সাপ্লায়ার ব্যাবসাপাতিই গুটিয়ে ফেলছে। কারণ চড়া দামে বই আনানোর পরেই সারা মার্কেট নকল দিয়ে সয়লাব হয়ে যায়। বছর বছর লোকসান দিয়ে কি আর ব্যবসা চালানো যায়?


আমার মাথায় একটা জিনিস ঘুরছিল এই যে কপিরাইট আইন ও তার লঙ্ঘন - এই বিধিগুলোর উদ্ভব কোথা থেকে?

প্রথমেই দেখা যাক , কপিরাইট বা স্বত্ত্বাধিকার জিনিসটা আসলে কি ?

shabdkosh.com জানাচ্ছে, ''এটা একধরনের দলিল যা সাহিত্য, সঙ্গীত বা শৈল্পিক কাজের জন্য একচেটিয়া অধিকার প্রদান করে।''

একেবারে গোড়াতে কপিরাইট আইন এসেছিল মূলত বইয়ের প্রকাশকারীদের একচেটে ব্যবসার সুবিধার্থে। তারপরে চলচ্চিত্র, সঙ্গীত, ফটোগ্রাফি, শব্দগ্রহন, শিল্পকলা ইত্যাদিও এই আইনের আওতায় আসে। নানা দেশে নানা ভাবে এই আইনের রকমফের পাওয়া যায়। কিন্তু মূল সুরটা অভিন্ন।মোটমুটিভাবে রচনাকারীকে সৃষ্টিকর্মের অধিকার দেয়া হয় এতে। সময়টা দেশভেদে কালভেদে বিভিন্ন । রচয়িতার মৃত্যুর একটা নির্দিষ্ট সময় পরে এই কাজগুলো পাবলিক ডোমেইনের অন্তর্ভুক্ত ও জনসাধারনের অবাধ ব্যবহারের জন্য উন্মুক্ত হয়ে যায়।

এ সংক্রান্ত একেবারে প্রথম যে ঐতিহাসিক কেইস নিস্পত্তির কথা জানা যায় তা প্রাচীন আয়ারল্যান্ডের।বইয়ের না , বরঞ্চ মূল বইয়ের কপির মালিকানা নিয়ে নিয়ে দুই দাবীদারের মধ্যে বিবাদের সৃষ্টি হলে রাজা Diarmait Mac Cerbhaill রায় দেন , "To every cow belongs her calf, therefore to every book belongs its copy."


আধুনিক কপিরাইট ল অার্থিক অধিকারের সাথে সাথে নৈতিক অধিকার বা মোরাল রাইটসকে ও স্বীকৃতি দিয়েছে। এই আইনের বিভিন্ন মাত্রাগুলোকে ট্রেস ব্যাক করলে প্রাচীন গ্রীক , ইহুদী ও রোমান সভ্যতায়ও এর অস্তিত্ব লক্ষ্য করা যায়।

ইউরোপে কপিরাইট সংশ্লিষ্ট বিষয়াদির নিয়ন্তা ছিলো চার্চ ও সরকার। প্রথমে ম্যানুয়্যালি বইকে কপি করা হতো,যদিও ১৫ ও ১৬ শতকে প্রকাশনা ব্যাপকতা পায়। সরকার বাইবেল ও সরকারি তথ্য প্রচারে একে উৎসাহ প্রদান করলেও শীগ্রই যখন ভিন্নমতাবলম্বী ও সমালোচনামূলক মতামতও এই প্রচার সুবিধা নিতে থাকে তখন অবাধ প্রিন্টিং ব্যবসার প্রতি দমনমূলক আচরণ শুরু করে। লাইসেন্সের বিধান জারি হয়।এই লাইসেন্স নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে একজন প্রকাশককে তার নিজের কাজের জন্য এক্সক্লুসিভ পাবলিকেশন রাইট প্রদান করতো।

রিপাবলিক অব ভেনিসে সবচেয়ে প্রথম এই সুবিধা দেয়া হয় ১৪৮৬ সালে। জার্মানিতে ১৫০১ তে একটি নাটকের প্রকাশনাপলক্ষ্যে।দেশটির প্রথম এই বিষয়ক বিধিমালাটা একটু কৌতুহল জাগানোর মতো। ১৭৯৪ সালে প্রুশিয়ান পার্লামেন্ট জার্মানির দুটি স্টেট বাদে বাকিগুলোর জন্য জার্মান ও বিদেশী লেখকবৃন্দের যেসব রচনা শুধু ফ্রাঙ্কফূর্ট ও লিপজিগ বইমেলায় অংশ নেয়া পাবলিশারদের দ্বারা প্রকাশিত সেসব বইতে বিনা অনুমতিতে পুনমুদ্রণের বিরুদ্ধে সুরক্ষা প্রদান করে।১৮৩৭ সালে আনুষ্ঠানিক আইন পাস হয় কিন্তু তখন খোদ লেখক ও প্রকশকেরাই এই আইন এড়ানোর জন্য দেশটার আইন আওতামুক্ত অন্য স্টেটে গিয়ে বই প্রকাশ করতেন।

এই পদক্ষেপ ইংরেজদের নিজস্ব কড়া মনোপলি সিস্টেমের একেবারে বিপরীত ছিলো। ঐতিহাসিক Eckhard Höffne এর দাবী করেন এর ফলেই জার্মানিতে সুলভ বইপুস্তক প্রচার হওয়ায় তুলনামূলকভাবে শিক্ষাদীক্ষার অনেক বেশী অনুকূল প্রসার ঘটে।

বেশী বেশী তথ্যপ্রবাহকে এখনও যেমন সেই আদ্যিকালের শাসকেরাও খুব সুনজরে দেখতেন না। বাধাহীন প্রকাশের '' ক্ষতি'' থেকে বাঁচাতে নানা নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা চালুর চেষ্টা চলে। ফ্রান্সের ঘটনাটা রীতিমত বিভীষিকাময়।১৫৪৬ এ বিতর্কিত পন্ডিত , অনুবাদক ও প্রকাশক Etienne Dolet কে তার বইয়ের সাথে শ্বাসরোধে ও পুড়িয়ে মারা হয়। ১৬৩৭ তে ইংরেজরা যখন প্রিন্টিং নিয়ন্ত্রণ করা আরম্ভ করলে প্রিন্টাররা নেদারল্যান্ডে পালিয়ে যান। একপর্যায়ে বিদ্রোহ সংঘাত শুরু হয় ও ৮০০ জনক লেখক, প্রকাশক, বইবিক্রেতা বাস্তিলে কারারুদ্ধ হন।

আবার ফিরে আসা যাক ইংল্যান্ডের দিকে। স্টেশনারস কোম্পানি নামক সংস্থা প্রথমদিকে একচেটিয়াভাবে বই প্রকশের অধিকার পেত। ১৭০৭ সালে স্কট ও ইংলিশ একত্রিত হয়ে যায় ও ১৭০৯ সালে অভিন্ন কপিরাইট আইন প্রবর্তিত হয়। Statute of Anne যা রাণী Anne-র নামানুসারে এসেছে -একেই পৃথিবীর প্রথম copyright Statute হিসেবে ধরা হয়।আরো অনেক কিছুর মতোই ইংরেজ এই ব্যাপারেও প্রথম কৃতিত্বের দাবিদার ।


এইখানে পাবলিশারদের এমন কিছু সুবিধা দেয়া হয়েচিল যা তাদের মনোপলিকে চালিয়ে নিতে সাহায্য করে। বইয়ের দাম হয় আকাশচুম্বী ও জ্ঞানের প্রসারও বাধাগ্রস্ত হয়। কিন্তু একপর্যায়ে এই একপেশে ব্যবসা চালানোর মেয়াদ যখন শেষ হয়ে যায় তখন শুরু হয় প্রকাশকদের মিলিত জোর তদবির। তাদের দাবী ছিল বই প্রকাশের চিরস্থায়ী স্বত্ব। শুরু হয় ৩০ বছরব্যাপী ব্যাটল অব বুকসেলারস। কিন্তু বৈরীভাবাপন্ন হাউজ অব লর্ডস তাদের স্বার্থের বিরুদ্ধে ভোট দেন।নানা টানাপোড়েন শেষে প্রকাশকদের আধিপত্যের অবসান হয়।


কপিরাইট আইনের একটা বিশেষ দিক হলো এর আন্তর্জাতিক ঐক্য। দেশের সীমানা ছাড়িয়ে যখন সাহিত্য বিজ্ঞা সংস্কৃতি গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ছে তখন তার একটা ইন্টারন্যাশনাল প্রটেকশনের দরকার আছে বইকি।১৮৮৬ সালে Berne Convention এই সুরক্ষার প্রবর্তক।অনেকবার দেশে দেশে শোধিত হওয়া এই আইন শুধু সাহিত্য না , বিজ্ঞান ও শিল্পকাজগুলোকেও এর আওতায় এনেছে। প্রসঙ্গত এই আইনের সুরক্ষা পেতে প্রথাগত রেজিস্ট্রেশনের দরকার হয়না।এটা এক অটোমেটেড প্রসেস। এই কনভেনশনের বিশেষ একটা দিক হলো, ''ন্যাশনাল ট্রিটমেন্ট''। যাতে বলা হয়েছে এতে অংশগ্রহনকারী প্রতি মেম্বার স্টেট নিজের নাগরিকের প্রতি যে কপিরাইট অধিকারগুলো দেবে অন্য সদস্য স্টেটগুলোর নাগরিকের প্রতিও সেই একই অধিকার প্রদান করতে বাধ্য।এর সদস্য সংখ্যা বর্তমানে মোটমাট ১৬৮ টা দেশ।


এবার আসা যাক বাংলাদেশ প্রসঙ্গে। আধা বিচার বিভাগীয় কপিরাইট অফিস বাংলাদেশে কপিরাইট প্রদান করে থাকে।এই বিষয়ক বিবাদ নিষ্পত্তি, সৃষ্টিকাজগুলোর সংরক্ষণসহ সার্বিক দ্বায়িত্ব এদের। বেশী দিন আগের ঘটনা না, মাত্রই ২০০০ সালের প্রণীত পরে '৫ এ শোধিত আইন দ্বারা এই কার্যক্রম পরিচালিত হয়। দেওয়ানী ও ফৌজদারী দুই ধরণের বিচারই এতে পাওয়া যাবে।

বাংলাদেশের কপিরাইট আইনে লেখালেখি, শিল্পকলা, সঙ্গীত , নাট্যকলা এসবের বেলায় স্বত্ব রচয়িতার জীবৎকালসহ মৃত্যুর পরের বছর থেকে আরও ৬০ বছর। সিনেমাটোগ্রাফিক ফিল্ম, ফটোগ্রাফি , সাউন্ড রেকর্ডিং, কম্পিউটার প্রোগ্রাম এসবের বেলা উৎপাদনের সময়ের ফলোয়িং বছরকাল থেকে ৬০ বছর।


এই আইনে আর্থিক অধিকারের সাথে সাথে Moral ও Droit de suite দুইই দেয়া হয়েছে। এই পরের দুটা অধিকার দ্বারা রচনাকারীর নাম উদ্ধৃত হওয়ার রাইটস ও কাজের কোন বিকৃতি বা অপব্যবহার রোধে বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষা দেয়া হয়।


Berne Convention এর মতোই আমাদের দেশেও বাধ্যতামূক নিবন্ধনের কোন নিয়ম নেই । তবে নিবন্ধন করা থাকলে সেই দলিল এই ব্যাপারে বিবাদসমূহে prima facie প্রমাণ হিসেবে অগ্রাধিকার দেয়া হবে।

এবার যারা মৌলিক কাজের সাথে জড়িত তাদের জন্য রেজিঃ নিয়মকানুন।

সরকার নির্ধারিত ফি দিয়ে তার ট্রেজারি চালান কপি, কাজের দুই প্রস' নমুনা সহ নির্দিষ্ট ফর্মে তিন প্রস' করে কপিরাইট অফিস বরাবরে আবেদন করতে হবে। এসবে অনুমোদন পেতে মাসখানেক সময় লাগে তাই সেই সময় হাতে রেখে আবেদন করা প্রয়োজন।

'' কারণ কপিরাইট আইন-২০০০ এবং কপিরাইট রুলস ২০০৬ এর ৪ (৪) বিধি মোতাবেক কপিরাইট রেজিস্ট্রেশন সংক্রান্ত- যে কোন কর্মের বিষয়ে আবেদন প্রাপ্তির পর বর্ণিত কর্মের বিষয়ে আপত্তির সুযোগ প্রদানের জন্য ৩০ দিন অপেক্ষা করতে হয়।''


কপিরাইটের একটি নির্দিষ্ট দিনও আছে, জানেন কি? মাত্রই গেল এপ্রিলের ২৩ তারিখ।ওয়ার্ড বুক ও কপিরাইট ডে হিসেবে ইউনেস্কোর পক্ষ থেকে পালন করা হয় এটা পালিত হয়। এই বিশেষ দিনটা কিন্তু সাহিত্যক্ষেত্রে একটা বিশেষ তাৎপর্য রাখে।

Cervantes, Shakespeare , Inca Garcilaso de la Vega এই দিনেই মারা যান। আরও বেশ কয়েকজন প্রথিতযশা লেখকের; Maurice Druon, Haldor K.Laxness, Vladimir Nabokov, Josep Pla and Manuel Mejía Vallejo জন্ম মৃত্যুর সাথেও এ দিনটি জড়িয়ে আছে।


শেষকথা:
নীলক্ষেতে আমার উদ্দিষ্ট বইটা অবশেষে আমি খুঁজে পেয়েছি। দোকানী কোনভাবে নিজব্যবস্থায় বই আনিয়ে কপি করেছে। যেহেতু অন্য কোন দোকানে পাই নি, তাই বাধ্য হয়ে স্বাভাবিকের চেয়ে মোটা টাকা গচ্চা দিতেই হলো।কি আর করা?
এটাই আমজনতার পরিস্থিতি।

এখন কপিরাইট আইন নিয়ে সচেতনতা অনেক বেড়েছে। এই পর্যন্ত যারা আমার লেখাখানা অশেষ ধৈর্য নিয়ে পড়ছেন তাদের মধ্যে অনেকে নিজেই একদিন একটি দুমলাটে বন্দি স্বপ্নের প্রকাশেচ্ছা রাখেন। তাদের ও যেকোন সৃজনশীল কাজের কর্মীর জন্যই পাইরেসি, স্বত্বাধিকার আইনের লঙ্ঘন একটি গুরুতর সমস্যা। অপরদিকে যারা আমার মত তাদের জন্য দরকারী বইটা হাতের নাগালে পাওয়াই শেষকথা। অথচ যারা এত লগ্নি করছেন তারা যদি এর বিনিময় না পান একসময় হয়ত আমাদের নিজেরই ক্ষতি হবে, নতুন কাজে অগ্রসর হবার জন্য উদ্যোগী মানুষ চোরাই নকলের ভয়ে পিছিয়ে যাবেন। আসলে অসাধু ব্যবসা বন্ধ করার সাথে সাথে সরকারী ব্যবস্থাপনায় এর সুলভ প্রচার , বিশেষত পাঠাগার কেন্দ্রিক বিদ্যাচর্চা এর একটা যুতসই সমাধান হতে পারে। নাহলে যতই বজ্রআঁটুনী করা হোক, বাজার অর্থনীতির চাহিদার বিপরীতে ফাঁকা নীতিকথা কোন ফলাফল বয়ে আনবে না।


সূত্র:

Click This Link

Click This Link

http://en.wikipedia.org/wiki/Berne_Convention

http://www.shabdkosh.com/

Click This Link

http://copyrightoffice.gov.bd/

http://www.un.org/en/events/bookday/

http://en.wikipedia.org/wiki/Droit_de_suite

http://en.wikipedia.org/wiki/Moral_rights


রেজওয়ানা আলী তনিমা
এপ্রিল ২৬, ১৫ ইং।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১০:৫০
১৭টি মন্তব্য ১৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=এই গরমে সবুজে রাখুন চোখ=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১

০১।



চোখ তোমার জ্বলে যায় রোদের আগুনে?
তুমি চোখ রাখো সবুজে এবেলা
আমায় নিয়ে ঘুরে আসো সবুজ অরণ্যে, সবুজ মাঠে;
না বলো না আজ, ফিরিয়ো না মুখ উল্টো।
====================================
এই গরমে একটু সবুজ ছবি দেয়ার চেষ্টা... ...বাকিটুকু পড়ুন

হালহকিকত

লিখেছেন স্প্যানকড, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:১২

ছবি নেট ।

মগজে বাস করে অস্পষ্ট কিছু শব্দ
কুয়াসায় ঢাকা ভোর
মাফলারে চায়ের সদ্য লেগে থাকা লালচে দাগ
দু:খ একদম কাছের
অনেকটা রক্তের সম্পর্কের আত্মীয় ।

প্রেম... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

×