somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

উপমহাদেশের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ ফুটবলার তথা বিশ্ব ফুটবল ইতিহাসেরই একজন বিরল প্রতিভাধর ফুটবলার ‘জাদুকর সামাদ’ কে চিনুন।

১১ ই জুন, ২০১৪ সকাল ১১:৫২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বাংলাদেশ তথা সমগ্র ভারত উপমহাদেশের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ ফুটবলার কে-এটা হয়ত অনেকেই জানেন। আর যারা জানেন না তাদেরকে বলছি, তিনি হলেন সামাদ, পুরো নাম সৈয়দ আব্দুস সামাদ। অবশ্য তিনি আমাদের মাঝে জগদ্বিখ্যাত ও চিরস্মরণীয় হয়ে আছেন ‘জাদুকর সামাদ’ নামে। শুধু ভারত উপমহাদেশই নয়, বরং তিনি ছিলেন বিশ্ব ফুটবল ইতিহাসেরই একজন বিরল প্রতিভাধর ফুটবলার। কেউ আবার ভেবে বসবেন না যে, তিনি হয়ত ফুটবল খেলার পাশাপাশি জাদুবিদ্যা চর্চা করেছিলেন। একদম না। তিনি ‘জাদুকর’ উপাধি পেয়েছেন জাদুবিদ্যা জানার জন্য নয়। বরং ফুটবল খেলায় অসামান্য দক্ষতা, অনন্যসাধারণ ক্রীড়াশৈলী এবং ফুটবল মাঠে চমকপ্রদ সব ঘটনা প্রদর্শনের জন্যই জুটেছিল তাঁর ‘জাদুকর’ উপাধি।



জন্ম:
ফুটবল যাদুকর সামাদ ১৮৯৫ সালে বিহারের পূর্ণিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পৈত্রিক নিবাস পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার ভুরী গামে। ৮ম শ্রেণিতে অধ্যয়নকালে স্কুল ত্যাগ করলে তাঁর প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা শেষ হয়। ছেলেবেলা থেকেই তিনি ফুটবলে তাঁর অসাধারণ প্রতিভার স্বাক্ষর রাখেন। উলেখ্য, সারাজীবন তিনি লেফট আউটে খেলেছেন।

খেলোয়াড়ি জীবনঃ
পূর্ণিয়ায় জুনিয়র ফুটবল ক্লাবের পক্ষে খেলার সময় তিনি কলকাতার ফুটবল ক্লাব ম্যানেজারদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন এবং ১৯১২ সালে কলকাতা মেইন টাউন ক্লাবে যোগদান করেন। তিনি ১৯১৫-২০ সাল সময়ে রংপুর তাজহাট ফুটবল ক্লাবের খেলোয়ার ও সংগঠক হিসেবে সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলেন। ১৯১৬ সালে তিনি ইংল্যান্ডের সমারসেট ফুটবল দলের বিরুদ্ধে একটি খেলায় অংশগ্রহণ করেন। সামাদ ১৯১৮ সালে কলকাতা ওরিয়েন্টস ক্লাবে এবং ১৩২১-৩০ সাল সময়ে ইস্ট বেঙ্গল রেলওয়ে দলের পক্ষে খেলেন। ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল শেরউড মালের পৃষ্ঠপোষকতায় শেরউড ফরেস্ট্রি দলের বিরুদ্ধে সামাদ তাঁর খেলোয়াড়ি জীবনের সবচেয়ে স্মরণীয় ট্রফি-জেতানো গোলটি করেন ১৯২৭ সালে।

১৯২৪ সালে সামাদ ভারতের জাতীয় ফুটবল দলে নির্বাচিত হন এবং ১৯২৬ সালে উক্ত দলের অধিনায়কত্ব করেন। ফুটবল খেলতে তিনি বার্মা (অধুনা মায়ানমার), সিংহল (শ্রীলঙ্কা), হংকং, চীন, জাভা, সুমাত্রা, মালয়, সিঙ্গাপুর, ব্রিটেনসহ আরো কিছু দেশ সফর করেন। চীনে খেলতে গিয়ে তিনি এক অবিশ্বাস্য কান্ড ঘটান। পিকিং-এ চীনের বিরুদ্ধে একটি খেলায় বদলি খেলোয়ার হিসেবে তিনি দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নেমে পর পর চারটি গোল করে প্রথমার্ধে ০-৩ গোলে পিছিয়ে থাকা ভারতীয় দলকে ৪-৩ গোলে বিজয়ী করেন। ১৯৩৩ সালে সামাদ কলকাতা মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবে যোগদান করেন। ৩৮ বছর বয়সেও তিনি একজন দক্ষ ফুটবলার ছিলেন এবং পরবর্তী আরো ৫বছর তিনি দক্ষতার সাথে খেলেন। প্রধানত জাদুকর সামাদের অবদানে তাঁর দল পর পর ৫বার আইএফএ শিল্ড টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হয়। সামাদকে ‘হিরো অব দ্য গেমস’ খেতাব দেয়া হয়। ১৯৪৪ সালে সামাদ এবং তাঁর ছেলে গোলাম হুসেন একসঙ্গে রেলওয়ে দলের পক্ষে খেলেন।

১৯৪৭ সালের দেশ বিভাগের পর সামাদ পূর্ব পাকিস্তানে মানে বাংলাদেশের দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুরে স্থায়ীভাবে বসবাস করেন এবং তদানিন্তন পাকিস্তান ইস্টার্ন রেলওয়েতে নিয়োগ লাভ করেন। যদিও রেলওয়ের কোন প্লাটফরম ইন্সপেক্টর পদ নেই তবুও যাদুকর সামাদের জন্য রেল কর্তৃপক্ষ এই পদ সৃষ্টি করেছিলেন এবং বাংলাদেশ রেলওয়ে পার্বতীপুর জংশনে প্লাটফরম ইন্সপেক্টর হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন। তিনি রেলওয়ে সাহেব পাড়া কলোনীতে টি-১৪৭ নম্বর বাসায় থাকতেন এবং মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি এই বাসাতেই ছিলেন।

জাদুকর সামাদের জীবনের কয়েকটি জাদুকরি ঘটনাঃ
সামাদের ২৩/২৪ বছর খেলোয়াড়ি জীবনে এমন সব অসংখ্য বিস্ময়কর ঘটনা ঘটেছে যা তাঁর নামের সামনে ‘জাদুকর’ শব্দটি বসাতে বাধ্য করেছে। তেমন কয়েকটি ঘটনা নিম্নরুপঃ

১। জাদুকর সামাদের কালজয়ী ফুটবল প্রতিভা ও নেতৃত্বগুণ তৎকালীন সর্বভারতীয় ফুটবল দলকে গ্রেট ব্রিটেনের মতো বিশ্বসেরা ফুটবল দলের বিরুদ্ধে অবিস্মরণীয় জয় এনে দিয়েছিল।১৯৩৩ সালে সামাদের নেতৃত্বে সর্বভারতীয় দল গ্রেট ব্রিটেনকে ৪-১ গোলে এবং শক্তিশালী ইউরোপীয় টিমকে ২-১ গোলে পরাজিত করেছিল। ভারতীয় দলের অধিনায়ক হিসেবে জীবনের শেষ খেলা খেলেছিলেন ইংল্যান্ডের সার্ভিসেস একাদশের বিপক্ষে।সামাদের অসাধারণ ক্রীড়ানৈপুণ্য দেখে ইংল্যান্ডের তৎকালীন সেরা লেফট্ আউট কম্পটন চমকে উঠেছিলেন, ‘‘ধারণা ছিল না এমন খেলোয়াড় এ দেশে দেখতে পাবো!’’ ইংল্যান্ডের কৃতী ফুটবলার এলেক হোসি একবার বলেছিলেন: 'বিশ্বমানের যেকোনো ফুটবল দলে খেলবার যোগ্যতা সামাদের রয়েছে।' এই মন্তব্য থেকেই সামাদের অবস্থান সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়।

২. একবার আফ্রিকায় এক সফরের সময় ষড়যন্ত্র করে তাঁকে অধিনায়ক না-করায়, সামাদ অভিমানে দল থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন। সামাদবিহীন সর্বভারতীয় দলটি সেবার তেমন কোনো সাফল্যই দেখাতে পারেনি।

৩. খেলার মাঠে প্রতিনিয়ত অবিশ্বাস্য ঘটনার জন্ম দিতেন সামাদ। তেমনি একটি ঘটনা ঘটেছিল একবার ইন্দোনেশিয়ায়। সর্বভারতীয় ফুটবল দল গিয়েছিল ইন্দোনেশিয়ার জাভায়। খেলা চলাকালে ইন্দোনেশিয়ার বেশ ক’জন খেলোয়াড়কে কাটিয়ে গোলপোস্ট লক্ষ্য করে তীব্র শট করলেন সামাদ। বল গোলপোস্টের ক্রসবারে লেগে ফিরে এলো মাঠে। বিস্মিত হলেন তিনি। গোল হলো না কেন? কিছুক্ষণ পর আবারও সামাদের তীব্র শটের বল ইন্দোনেশিয়ার গোলপোস্টের ক্রসবারে লেগে ফিরে এল। এবার সামাদ রেফারিকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন, 'গোলপোস্টের উচ্চতা কম আছে। তা না-হলে, আমার দুট শটেই গোল হতো' ফিতে দিয়ে মেপে দেখা গেল সত্যিই গোলপোস্টের উচ্চতা স্ট্যান্ডার্ড মাপের চেয়ে চার ইঞ্চি কম রয়েছে!

আরেকবার মাঠের মধ্যস্থল থেকে বল নিয়ে সব খেলোয়াড়কে বোকা বানিয়ে বল ড্রিবলিং করে নিক্ষেপ করলেন গোলে, বল গোলে প্রবেশ না করে গোলপোস্টের কয়েক ইঞ্চি উপর দিয়ে বাইরে চলে গেলে রেফারি বাঁশি বাজিয়ে বলকে আউট ঘোষণা করলে সঙ্গে সঙ্গে সামাদ তা গোল হয়েছে বলে চ্যালেঞ্জ করে বসলেন। 'আমার শটে নিশ্চিত গোল হয়েছে'। সামাদের শটের মেজারমেন্ট কোনোদিন ভুল হয়নি। গোলপোস্ট উচ্চতায় ছোট। মেপে দেখা গেল সত্যিই তাই।

৪. ফুটবল নিয়ে সেই কিশোর বয়স থেকে অনুশীলন করতে করতে সামাদ পরিণত হয়েছিলেন ফুটবলের এক মহান শিল্পীতে। একবার খেলার আগ মুহূর্তে মাঠের চারদিকে পায়চারী করে এসে সামাদ ক্রীড়া কমিটির কাছে অভিযোগ করলেন এ মাঠ আন্তর্জাতিক মাপ হিসেবে ছোট বিধায় এ মাঠে আমাদের টিম খেলতে পারে না। পরে মাঠ মাপার পর তার অভিযোগ সত্য বলে প্রমাণিত হয়। তাঁর খেলোয়াড়ি জীবনের এমন বহু ঘটনা আজও দেশ-বিদেশের ক্রীড়াঙ্গনে অগণিত সামাদ ভক্তের মুখে মুখে ঘুরে বেড়ায়।

৫. 'বিংশ শতাব্দীর তিরিশের দশকের কথা। তখন ইংরেজ শাসনামল। একদিন বিকেলে কলকাতার ইডেন গার্ডেনের বিপরীত দিকের ফুটপাত ধরে হেঁটে যাচ্ছিলেন প্রায় ছয় ফুট লম্বা একজন লোক। হঠাৎ তাঁর পাশে গাড়ি থামিয়ে নেমে এলেন স্বয়ং তৎকালীন বাংলার গভর্নর এবং তাঁর কন্যা। গভর্নর সোজা এগিয়ে গিয়ে আঁকড়ে ধরলেন ঐ লোকটাকে। ঘটনার আকস্মিকতায় গভর্নরের সঙ্গী-সাথীদের সবাই হতভম্ভ। লম্বা লোকটির হাত ধরে কুশল বিনিময় করলেন। তারপর, নিজের মেয়েকে ডেকে বললেন, 'এসো, ফুটবলের জাদুকরের সঙ্গে পরিচিত হও (Meet the wizard of football)।' এভাবেই সৈয়দ আব্দুস সামাদের নামের আগে ‘জাদুকর’ উপাধি টি দিয়ে দিলেন তৎকালীন বাংলার গভর্নর। তিনি তাকে ডাকতেন wizard of football বলে। অতীব দুঃখের ব্যাপার হলো যাঁর ছিল এমন জনপ্রিয়তা, ফুটবলের সেই মহান শিল্পী, যাদুকর সামাদ তীব্র দারিদ্র্যের কষাঘাতে জর্জরিত হয়ে, বিনাচিকিৎসায় ১৯৬৪ সালের ২ ফেব্রুয়ারী মৃত্যুবরণ করেন।

সামাদ জাদুকর। ফুটবল জাদুকর সামাদ। যিনি কিনা পেলে ,ম্যারাডোনা্ ষ্টেফানো, গারিঞ্জা, বেকেনবাওয়ার, পুস্কাসের বহু বছর আগেই ফুটবলকে দান করেছিলেন শৈল্পিকতা, আর নৈপুণ্যতা। যিনি কিনা পায়ের জাদুতে হতবাক করেছেন হাজারো দর্শককে। তিনি আমাদের দেশেরই মানুষ।

মৃত্যু:
এই মহান জাদুকরের শেষ সময়টা কেটেছে চরম দারিদ্রের মধ্যে। মৃত্যুর আগে একবার তিনি আক্ষেপ করে বলেছিলেন, ‘আমি তো নিঃশেষ হয়ে গেছি। আমার প্রাপ্য মর্যাদা আমি পেলাম না। আমি ধুঁকে ধুঁকে মরে যাব সেটাই ভালো। কারো করুণা এবং অনুগ্রহের প্রত্যাশী আমি নই”। অবশেষে দারিদ্র্যের কষাঘাতে বিনা চিকিৎসায় ১৯৬৪ সালের ২ ফেব্রুয়ারি এই ফুটবলের জাদুকর শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। পার্বতীপুরেই চিরনিদ্রায় শুয়ে আছেন বিশ্ব ফুটবলের এই মুকুটহীন সম্রাট। তাঁর সমাধিগাত্রে শ্বেতপাথরে লেখা আছে, ‘‘চিরনিদ্রায় শায়িত ফুটবল জাদুকর সামাদ’’।

সম্মাননাঃ
কথিত আছে, ফুটবল জাদুকর সামাদের সোনার মূর্তি ব্রিটিশ মিউজিয়ামে রক্ষিত আছে। তিনি ১৯৬২ সালে প্রেসিডেন্ট পুরস্কার লাভ করেন ব্রিটিশ আমলে তিনি অনেক সমাদর পেয়েছিলেন। পাকিস্থান আমলেও তিনি তবু শেষ বেলায় কিছু একটা পুরস্কার পেয়েছিলেন। কিন্তু সোনার বাংলায় জাদুকরের ভাগ্য তেমন সুপ্রসন্ন ছিল না। গোড়া থেকেই আমাদের এই সোনার বাংলায় সূর্যসন্তানদের সম্মাননা প্রদানের ব্যবস্থা বড়ই অদ্ভুত। পা-চাটা মহামানব(?) ব্যতিত আর সকলের কপালে সম্মাননা তেমন জোটে না বললে বেশী বলা হবে না’ অন্তত জীবিতবস্থায়। অন্যান্য সকল সত্যিকারের মহামানবের মত তিনিও জীবিতবস্থায় তেমন কিছু পাননি। সাধারণত যা হয়, মরণের পরেই আমাদের সকল ভালবাসা একেবারে উথলে ওঠে। এই মহানায়কের বেলায়ও তেমনই ঘটেছে। তবে ফুটবলে জাদুকরের অসামান্য অবদানের তুলনায় তা অতি সামান্য। কি করা হয়েছে শুনতে চান?



পার্বতীপুর শহরের ইসলামপুর কবরস্থানে সমাহিত করার দীর্ঘ ২৫ বছর অবহেলিত ও অরক্ষিত থাকার পর ১৯৮৯ সালে ৫২ হাজার টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয় স্মৃতিসৌধ। তাঁর স্মরণে একটি স্মারক ডাক টিকিট প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ সরকার । পার্বতীপুরে রেলওয়ে নির্মিত "সামাদ মিলনায়তন" নামের একটি মিলনায়তন আছে। ব্যস শেষ। এই হলো ফুটবল জাদুকরের প্রাপ্য!! একটা স্মৃতিসৌধ, একটা স্মারক ডাকটিকিট এবং একটা মিলনায়তন। আর একটা আছে। সেটা হলো, এই মহান ফুটবল কারিগরের প্রতিবছর জন্মদিনে মাইক ফাটিয়ে ফেলানোর মত কিছু স্মৃতিচারণা। তাহলে আমার প্রশ্ন হলো, ‘ঐ বেচারার এত ভাল ফুটবল খেলার কি দরকার ছিল???

আমাদের দাবীঃ
অনেক হয়েছে। আর বসে থাকার সময় নেই।অনেকদিন পরে হলেও জাদুকর সামাদের জন্য জাতীয়ভাবে কিছু করা একান্ত অপরিহার্য হয়ে পড়েছে।সামু ব্লগ আজ কোন শখের জিনিষ নয়। এটা আজ গণমানুষের ভালবাসার প্লাটফরম। নিকট অতীতে এমন অনেক ঘটনা আছে যেখানে সামু পুরো দেশের রঙ পালটে দিয়েছিল। সেই সামু-র দুই লক্ষাধিক ব্লগারের হয়ে আমরা দাবী করছি, জাদুকর সামাদের জন্য কিছু করুন। এক্ষেত্রে আমাদের প্রাণের দাবী হলোঃ

১. অবিলম্বে ‘জাদুকর সামাদ ফুটবল একাডেমী’ করতে হবে।
২. বাংলাদেশের অন্তত একটি প্রধান ফুটবল মাঠের নামকরণ করতে হবে ‘জাদুকর সামাদ’র নামে।
৩. চতুর্থ অথবা পঞ্চম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে ‘জাদুকর সামাদ’ নামে একটি প্রবন্ধ অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। এতে করে নতুন প্রজন্ম জানবে ও চিনবে একজন ফুটবল যাদুকরকে।
৪. জাতীয়ভাবে তাঁর জন্মদিবস, মৃত্যু দিবস পালন তথা তাঁকে স্মরণ করতে হবে।

আমরা কত খ্যাত-অখ্যাত মানুষের নামে হরহামেশা এটা সেটা হতে দেখছি। কিন্তু যিনি নিজের চেষ্টা ও অনুশীলনের মাধ্যমে ফুটবলে অসামান্য অবদান রেখে গেছেন তাঁর মূল্যায়ন কতটুকু করছি? আশা করি সংস্লিস্ট কর্তৃপক্ষের শুভবুদ্ধির উদয় হবে।

সামু-র দুই লক্ষাধিক বন্ধুর সাহায্য কামনা করছি।

কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ
এটিকে এক কথায় সংকলনমূলক লেখা বলা যেতে পারে। মূল লেখার সিংহভাগ অংশ আমি বাংলাপিডিয়া, উইকিপিডিয়া, ফেসবুক, সমকাল, প্রথম আলো পত্রিকা, বিভিন্ন ব্লগের একাধিক লেখা এবং অন্যান্য কিছু লেখা নিয়ে নিজের মত করে সাজিয়েছি। এমনকি বেশ কিছু অংশ হুবহু তুলে দিয়েছি। ছবিসুত্রও তাই।সবার প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই জুন, ২০১৪ সকাল ১১:৫৬
১৮টি মন্তব্য ১৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। মুক্তিযোদ্ধা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১



মুক্তিযুদ্ধের সঠিক তালিকা প্রণয়ন ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা প্রসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘দেশের প্রতিটি উপজেলা পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটি রয়েছে। তারা স্থানীয়ভাবে যাচাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতীয় রাজাকাররা বাংলাদেশর উৎসব গুলোকে সনাতানাইজেশনের চেষ্টা করছে কেন?

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৪৯



সম্প্রতি প্রতিবছর ঈদ, ১লা বৈশাখ, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, শহীদ দিবস এলে জঙ্গি রাজাকাররা হাউকাউ করে কেন? শিরোনামে মোহাম্মদ গোফরানের একটি লেখা চোখে পড়েছে, যে পোস্টে তিনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি করাটা প্রফেসরদেরই ভালো মানায়

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৩


অত্র অঞ্চলে প্রতিটা সিভিতে আপনারা একটা কথা লেখা দেখবেন, যে আবেদনকারী ব্যক্তির বিশেষ গুণ হলো “সততা ও কঠোর পরিশ্রম”। এর মানে তারা বুঝাতে চায় যে তারা টাকা পয়সা চুরি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঘুষের ধর্ম নাই

লিখেছেন প্রামানিক, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৫


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

মুসলমানে শুকর খায় না
হিন্দু খায় না গাই
সবাই মিলেই সুদ, ঘুষ খায়
সেথায় বিভেদ নাই।

হিন্দু বলে জয় শ্র্রীরাম
মুসলিম আল্লাহ রসুল
হারাম খেয়েই ধর্ম করে
অন্যের ধরে ভুল।

পানি বললে জাত থাকে না
ঘুষ... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইরান-ইজরায়েল দ্বৈরথঃ পানি কতোদূর গড়াবে??

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:২৬



সারা বিশ্বের খবরাখবর যারা রাখে, তাদের সবাই মোটামুটি জানে যে গত পহেলা এপ্রিল ইজরায়েল ইরানকে ''এপ্রিল ফুল'' দিবসের উপহার দেয়ার নিমিত্তে সিরিয়ায় অবস্থিত ইরানের কনস্যুলেট ভবনে বিমান হামলা চালায়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×