somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

রিকি
ছোটো প্রাণ,ছোটো ব্যথা >ছোটো ছোটো দুঃখকথা >নিতান্তই সহজ সরল >সহস্র বিস্মৃতিরাশি প্রত্যহ যেতেছে ভাসি>তারি দু-চারিটি অশ্রুজল>নাহি বর্ণনার ছটা ঘটনার ঘনঘটা> নাহি তত্ত্ব নাহি উপদেশ> অন্তরে অতৃপ্তি রবে সাঙ্গ করি মনে হবে>শেষ হয়ে হইল না শেষ

“Whisper of the Heart 1995(Original Title: Mimi wo sumaseba)”— নয়ন তোমারে পায় না দেখিতে, রয়েছ নয়নে নয়নে--জাপানিজ এই animation মুভিটি ভালোবাসার এক অন্য পরিচয় দিবে :) :):):):):):)

২০ শে মে, ২০১৫ দুপুর ২:১৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



“Love is not a matter of counting the years . . . But making the years count.”

ভালোবাসাকে বিশ্বব্যাপী সবথেকে বেশি আলোচিত, সমালোচিত এবং যুক্তি তর্ক সম্বলিত বিষয় বললে হয়ত খুব একটা বেশি বলা হয়ে যাবে না। প্রেম একদিকে যেমন নিজের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য “জল ভর সুন্দরী কইন্যা জলে দিছ ঢেউ” লেখায় কাউকে দিয়ে, আবার সেই প্রেমই বিরহে “সুখের লাগিয়া এ ঘর বাঁধিনু, অনলে পুড়িয়া গেল” ও লিখতে বাধ্য করে। ভালোবাসার সংজ্ঞা একেক জনের কাছে একেক পাওয়া যাবে, কিন্তু ভালোবাসার প্রথাগত দিক বাদ দিয়ে আরও একটি সংজ্ঞা আছে---‘ভালোবাসা এক নৈপুণতার নাম’- If I love someone or something imperfectly so how could I get something in its perfect or polished form. আজকের সিনেমা ভালোবাসার এমনই একটা ভিন্নদিক তুলে ধরা গল্প নিয়ে।




Shizuku Tsukishima ১৪ বছর বয়সী এক মেয়ে যার মূল পরিচয় বইপোকা হিসেবে। সে বই পড়তে ভালবাসে, তার স্বপ্নের এবং বাস্তবতার সমস্ত জুড়েই রয়েছে এই বইয়ের জগত। Shizuku Tsukishima কল্পনার রাজ্যে বিচরণ করতে থাকে...a world of fantasy. Shizuku র বাবা- মা দুইজনেই কর্মরত। টোকিও তে বাস করে তারা..... ৫ জনের সংসার। Shizuku একদিন রাতে বই নিয়ে খেয়াল করে দেখে তার নিয়ে আসা বইয়ের প্রত্যেকটির বুক কার্ডে একটি নাম থাকেই প্রতিবার... Seiji Amasawa. সে মনে মনে এই মানুষটিকে খুঁজতে থাকে, যে তার আগে তার পড়া প্রত্যেকটি বই পড়ে ফেলেছে। পরের দিন সকালে সে নিজের স্কুলে যায় তার একমাত্র বান্ধবী Yuko Harada র সাথে। লাইব্রেরীতে গিয়ে একটি অখ্যাত বই নেয় সে যার বুক কার্ডে এই বই আগে কারও নিয়ে যাওয়ার কোন নজির নাই এবং ধারণা করে হয়ত সেখানে Seiji Amasawa নামটি সে দেখতে পাবে না.....কিন্তু বইটি ভালভাবে পরীক্ষা করতে গিয়ে Shizuku দেখে সেখানে Amasawa নামটি রয়েছে... Donator হিসেবে!!! এদিকে Shizuku তার স্কুলের গ্রাজুয়েশনের জন্য একটি গান অনুবাদ করে “concrete roads” নামে যা সেটি সে স্কুল ইয়ার্ডের বেঞ্চে বসে Yuko কে দেখায় এবং প্রশংসিতও হয় সে... এবং সেটি দেখার পর Yuko তাকে জানায় একটি ছেলে প্রেমের প্রস্তাব দিয়েছে Yuko কে। সে তার উত্তর দেয়নি কারণ সে নিজের ক্লাসের Sugimura কে মনে মনে পছন্দ করে যার সাথে আবার Shizuku র বন্ধুত্বের সম্পর্ক অনেক ভাল। Shizuku কথা বলতে বলতে এভাবে Yuko র সাথে চলে যায় এটা খেয়ালে না করে যে তার বইটি সে স্কুল ইয়ার্ডের বেঞ্চে ফেলে রেখে এসেছে। তার যখন মনে পড়ে, তখন সে ফিরে এসে দেখে একটি ছেলে তার বই উল্টে পাল্টে দেখছে এবং পরে তাকে বইটি দিয়ে তার সাথে কিছুটা মশকরাও করে যায় ছেলেটি তার সদ্য লেখা “concrete roads” গান নিয়ে যা পরে "country roads" হয়। এরপরের দিন, Shizuku কে দায়িত্ব দেয়া হয় তার বাবার কর্মস্থল লাইব্রেরীতে খাওয়ার পৌঁছে দিয়ে আসার। সে ট্রেনে চড়ে রওয়ানা হয়... এবং ট্রেনে তার সাথে সাক্ষাত হয় এক বিড়ালের... সে ট্রেনে বিড়ালটির সাথে নিজের খেয়ালেই গল্প করতে থাকে এবং ট্রেন থেকে নেমেও বিড়ালটি যেদিকে যায় সে তাকে অনুসরণ করে। অনুসরণ করতে করতে সে একটি Emporium এর সামনে গিয়ে পড়ে--- অদ্ভুত অদ্ভুত antique জিনিসে যার প্রতিটা অংশ সমৃদ্ধ। সেখানেই সে প্রথম দেখা পায়, বিড়ালমুখো সবুজাভ চোখের “Baron” এর... পরবর্তীতে যার হাত ধরেই সে কল্পনার রাজ্যকে লেখনীতে প্রকাশ করে। দোকানটিতে তার একটি বুড়োর সাথে দেখা হয় Shiro Nishi নাম যার... যে তাকে একটি অনেক প্রাচীন ঘড়ি দেখায়। ঘড়িটার বৈশিষ্ট্য, অপেক্ষারত রাজা ও পরীর অসমাপ্ত প্রেম কাহিনী এবং কিছু বামনের খনি থেকে মাণিক্য সংগ্রহ...রাজা প্রত্যেক ঘণ্টায় একবার করে ঘড়িতে দেখা দেয়, কিন্তু ঘড়ির ঘণ্টার এবং মিনিটের কাঁটা যখন দুইটা এক জায়গায় দিনে দুইবার ১২ টায় গিয়ে মিলে শুধু এই দুইবার ভেড়া ছদ্মবেশে থাকা পরীর সে দেখা পায়। Shizuku কে এসব ঘটনা অনেক বেশি মুগ্ধ করে এবং সে দোকানেই তার বাবার খাওয়ার বাটি রেখে দিয়ে চলে যায়। কিছু দূর যেতে গিয়ে দেখে, আবার স্কুলের বেঞ্চে বসে থাকা সেই ছেলেটি সাইকেলে করে তাকে খাওয়ারের বাটি দিতে আসছে...তার সাথে থাকে অনুসরণ করা সেই ট্রেনের বিড়াল... ছেলেটি বিড়ালটির নাম বলে “Moon”… এবার আবার Seizuku নিজের গন্তব্যে চলে যায়। কিছুদিন পড়ে, সে জানতে পারে সে ছেলেটি আর কেউ নয় তার সেই বুক কার্ডের পরিচিত নাম Seiji Amasawa. তাদের পরিচয় বাড়তে থাকে এবং Seizuku জানতে পারে যে ভায়োলিন বানানো তার আগ্রহের মধ্যে পড়ে এবং সে এই কারণে Cremona, Italy তে যেতে চায় আরও ভালো ভায়োলিন কিভাবে বানানো যায় তা রপ্ত করতে। একদিন Seiji, তার স্বপ্নের রাস্তায় যাওয়ার সুযোগও পায়—Cremona, Italy তে এবং যায়ও সে। Seizuku কে বলে যায় সে দুইমাস পর ফিরে আসবে। Seizuku এক নতুন মানুষে পরিণত হয় এরপর। কি হয় তার? Seiji র মত Seizuku কি পায় তার স্বপ্নের গন্তব্যগুলোর ঠিকানা? Seiji কি ফিরে আসে Seizuku র কাছে? প্রথমেই বলে রাখছি, জাপানীদের animation মুভি অনেক গভীর চিন্তাসমৃদ্ধ হয়ে থাকে, তারা বাস্তব কোন জিনিসকে animation এর দৃষ্টিতে অনেক brilliantly দেখায়। এই সিনেমার মুখ্য বস্তু যতটা না দুইটা মানুষের অব্যক্ত ভালবাসার গল্প তার থেকে অনেকাংশে বেশি সুপ্ত কিছু স্বপ্নের বাস্তবায়িত রূপ। অনেক কিছুর জন্য আমরা নিজেদের স্বপ্নগুলোকে হেলা ফেলা করি, কিন্তু এই স্বপ্নগুলো নিজের পন্থায় বুননের শিক্ষা দেয় এই মুভিটি। Dream and Love both gets the equal priority. এই মুভির ভালোবাসার গল্পটা আর দশটার থেকে অনেক অনেক গুণ আলাদা...ভালোবাসার এক অন্য পরিচয় আছে এতে যাকে এর ভাষাতেই বলি ‘craftsmanship’. নৈপুণত্ব এর বিশেষত্ব, সাবলীল এর প্রকাশভঙ্গী...... ভালোবাসা ‘ভালবাসি’ বলে প্রকাশ হয়নি কোথাও বরং আবেগের সুনিপুণ চাহনি তা একসময় প্রকাশ করেছে ‘হ্যাঁ ভালবাসি’। Grave of the Fireflies এর পর আমি কোন animation সিনেমা দেখি না... Setsuko কে মনে পড়ে যায় তাই। :( কিন্তু এটা আমার অন্যভাবে মনে ধরেছে বিশেষত এর dialog গুলো---

“ Nishi: Have a look.
Nishi: This is a stone called mica schist. Try peeking into the crack.
That's right, like that.
Shizuku: Ohhh! It's so pretty!
Nishi: It's called "beryl". There's an inclusion of raw emerald.
Shizuku: "Emerald"? The gemstone?
Nishi: That's right. You and Seiji both, you're like that stone.
Unpolished stones in their natural state. Now, I like even unpolished
stones very much, but things like violin making and storywriting are
different. You have to find the rough gems inside yourself, take the time,
and polish them. It's very time consuming work. That rock has a largest
stone, right?
Shizuku: Yes.
Nishi: Actually, that one, when you polish it, instead turns out to be
worthless. The smaller ones further inside are of higher purity. And in a
part you can't see from the outside, there might be even better stones.
Ah, this won't do. You get old and you start getting preachy.
Shizuku: I've become very afraid of finding out whether or not I have have
a beautiful crystal like this inside me.”



Aoi Hiiragi র ১৯৮৯ সালের Manga “Mimi wo Sumaseba” র ই ১৯৯৫ সালের চলচ্চিত্র রূপ এই মুভিটি। It tells the untold things of a relationship… select prior things in life by any means and more than anything do not leave the dreams, live with it. A beautifully crafted animation movie which worth to watch. সবশেষে Seiji আর Shizuku র সম্পর্কটা ঠিক এরকম লেগেছে—

“ নয়ন তোমারে পায় না দেখিতে, রয়েছ নয়নে নয়নে।
হৃদয় তোমারে পায় না জানিতে, হৃদয়ে রয়েছ গোপনে ॥
বাসনার বশে মন অবিরত ধায় দশ দিশে পাগলের মতো,
স্থির-আঁখি তুমি মরমে সতত জাগিছ শয়নে স্বপনে ॥
সবাই ছেড়েছে, নাই যার কেহ, তুমি আছ তার আছে তব স্নেহ--
নিরাশ্রয় জন, পথ যার গেহ, সেও আছে তব ভবনে।
তুমি ছাড়া কেহ সাথি নাই আর,সমুখে অনন্ত জীবনবিস্তার--
কালপারাবার করিতেছ পার কেহ নাহি জানে কেমনে ॥
জানি শুধু তুমি আছ তাই আছি, তুমি প্রাণময় তাই আমি বাঁচি,
যত পাই তোমায় আরো তত যাচি, যত জানি তত জানি নে।
জানি আমি তোমায় পাব নিরন্তর লোকলোকান্তরে যুগযুগান্তর--
তুমি আর আমি মাঝে কেহ নাই, কোনো বাধা নাই ভুবনে ॥ ”




“Whisper of the Heart 1995(Original Title: Mimi wo sumaseba )”
IMDB rating: 8.0/10
Genre: Animation/Drama/Romance
Voiceover Cast: Youko Honna, Issei Takahashi, Takashi Tachibana
Country of Origin: Japan




**** এই লেখা সম্পূর্ণ রূপে আমার… পূর্বের কোন লেখার সাথে মিলে গেলে তা একান্তই co-incidence….no resemblance. আশা করি পোস্টটি ভালো লাগবে ! Happy Movie Watching !:#P !:#P !:#P
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে মে, ২০১৫ সকাল ১০:১৫
১৩টি মন্তব্য ১৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫


ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×