আমার কবিতায় ভিড় করে কিছু অনাহুত অতিথী।
নির্জনে রোদ মাখা কিছু নিঃসঙ্গ ঘাসফুল,
অনেক আবেগের জল ধরে রাখা এক আকাশ মেঘ,
ভালোবাসা হয়ে গলে পড়া রূপোলী জোৎস্না,
জানলায় স্থির জেগে থাকা নির্ঘুম নক্ষত্ররা,
কখনো দুপুরের বুক বিদির্ন করা কর্কশ কাক।
তারা ঠিক যেন বিশ্বস্ত বন্ধুটির মতন
ছায়া হয়ে পাশে রয় আনন্দে বা হতাশায়,
চেতনার পাশ গলে স্থান করে অনুভূতির দেয়ালে।
তাদের অবারিত হাত আমায় পথ দেখিয়ে দেয়
তারপর হেঁটে চলি নিজের সত্তাটিকে খুঁজে খুঁজে,
পথের শেষে ক্লান্তিহীন আমি খুঁজে পাই নতুন আমাকে।
আমার কবিতায় অবধারিত তুমিও থাক।
যখন আমার নিঃসঙ্গ শরীর রোদ পোহায়,
হৃদয়ে জমতে থাকে অনিশ্চতার মেঘ,
মুঠো থেকে গলে যায় ভালোবাসাহীন অজস্র সময়,
জলে ভেজা চোখে ঝাপসা হয় জানলার দৃশ্যপট,
ক্লান্ত শ্রমিক আমি টেনে যাই দুপুরের নিশ্চল প্রহর।
তুমি ঠিক যেন চঞ্চল দেবীটির মতন
সবখানেই আছ তবু কোথাও তুমি নেই,
অঞ্জলীর মিথ্যে প্রলোভনে গ্রাস করছ সমস্ত আমায়।
তোমার হাতছানি আমায় পথ ভুলিয়ে দেয়
তারপর অজস্র অজানা পথে হেঁটে তোমার খোঁজে-
অবশেষে নিশ্চল দাঁড়িয়ে খুঁজে পাই একরাশ শূণ্যতা।