ভালোবাসা নিয়ে আমাদের মাঝে কাজ করে বিশাল এক আবেগ । শত শত কবি সাহিত্যিক হাজার হাজার কবিতা , উপন্যাস লেখে ফেলছে এই প্রেম ভালোবাসা নিয়ে । অনেকেই মনে করে ভালোবাসা জিনিসটার মাঝে স্বর্গীয় একটা ব্যাপার আছে । কেউ প্রেমে পড়লে তার মাঝে বেশ কিছু পরিবর্তন দেখা যায় প্রায়শই । ভালোবাসার মানুষ কে দেখলে হার্ট বিট বেড়ে যাওয়া থেকে শুরু করে অনেক প্রতিক্রিয়ায় হয়ে থাকে প্রেমের মাঝে ।
অনেক সময় এই প্রেম কমে যায় বা এই প্রেমের পাত্র বা পাত্রির পরিবর্তন হয়ে যায় । প্রেম জিনিস তখন ক্রমাগত চলতে থাকে এবং একই প্রতিক্রিয়া বার বারই হতে থাকে ।
কিন্তু এই প্রেম ভালোবাসার সকল কারসাজী করে কিছু হরমোন । প্রেম বা ভালবাসা হলো আমাদের মস্তিষ্কের থ্যালামাসের একধরনের রাসায়নিক অবস্থা । প্রেমের সময় যে সকল উপসর্গ দেখা যায় তার জন্য দায়ী হলো ডোপামিন, নরেপিনেফ্রিন হরমোন। কারো প্রেম কমে যায় যখন তখন ঐ হরমোন গুলোর নিঃসৃতও কমে যায় ।
প্রেম ভালবাসা যাই বলি না কেন স্বর্গীয় ফরগীয় যাই বলি না কেন রে ভাই সবই রসায়নের রসের খেলা! মস্তিষ্কে ডোপামিন নামক এক রাসয়ায়নিক পদার্থের নিঃসরণ এর কারনে প্রেম এর সময় ভালোবাসার মানুষ কে দেখলে উদ্দীপনা জাগে শুধু এই হরমোন এর কারনেই ।
কেবল ডোপামিনই নয় সেই সাথে জড়িত থাকে অক্সিটাইসিন, ভেসোপ্রেসিনসহ নানা ধরনের বিতিকিচ্ছিরি নামের কিছু হরমোন। এই হরমোন গুলো তারত্যমের ফলেই বুঝা যায় সে একটা প্রেমেই থাকবে নাকি আরো প্রেমের আশায় পথ চলবে ।
তাহলে আমরা বুঝতে পারতাছি যে , ভালোবাসা মানেই কিছু হরমোন এর কাজ , যা শুরু হয় বিপরীত লিঙ্গের কারো দেখা পেলে ।
অনেকটা গাজা , কোকেন সেবন এর মত যাতে প্রথমে বেশ নেশা ধরে পরে আস্তে আস্তে ঘোর লাগা কাটতে থাকে ।
ফেসবুক এ আমার সাথে যুক্ত হতে চাইলে
Ronykhan Ron
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:০৩