আমার এ লেখাটি মূলত আপনাদের মতামত জানার জন্য। আশা করি আমার এ লেখাটি যাদের চোখে পড়বে তারা তাদের মূল্যবান মতামত প্রদান করবেন। আপনারা জানেন আল্লামা দেলওয়ার হোসাইন সাইদীর রায় যেকোন দিন ঘোষণা করা হবে। খুব সম্ভবত আগামী সপ্তাহে রায় ঘোষিত হতে পারে। মোটামুটি ধরে নেওয়া যায় ফাঁসির আদেশই বহল থাকবে। কারণ আসামীপক্ষ যেসকল ডকুমেন্ট আদালতে পেশ করেছে তার কোনটাই গ্রহণ করা হয়নি। সে হিসেবে ধরে নেওয়া যায় উনার রায় আগে থেকেই ঠিক করা আছে।
আন্তর্যাতিক আদালতের মামলাগুলোর মধ্যে এ মামলাটিই সবচেয়ে বিতর্কিত। শুরু থেকেই মামলাটি বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। স্কাইপি কেলেঙ্কারি, সাক্ষি অপহরণ, সেফ হোম কেলেঙ্কারিসহ হাজারো বিতর্কের জন্ম দিয়েছে এই মামলাটি।
সর্বশেষ যা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে তা হচ্ছে, আসামি পক্ষ থেকে দাখিল করা মমতাজ বেগমের মামলার চার্জশিট বিবেচনায় নেয়ার আবেদন খারিজ হয়ে যাওয়া। ইব্রাহিম কুট্টি হত্যা বিষয়ে তার স্ত্রী মমতাজ বেগম ১৯৭২ সালে পিরোজপুরে যে মামলা করেছিলেন সেই মামলার জিআর (জেনারেল রেজিস্টার) তলবের আবেদন করে আসামি পক্ষ গত ১৩ এপ্রিল। একই আবেদনে আসামি পক্ষ মমতাজ বেগমের মামলার চার্জশিটের মূল সার্টিফাইড কপি জমা দিয়ে তা বিবেচনায় নেয়ার আবেদন করে। সাঈদীকে যেসব অভিযোগে ট্রাইব্যুনাল মৃত্যুদ- দিয়েছিল তার মধ্যে ইব্রাহিম কুট্টি হত্যার অভিযোগ অন্যতম। আসামিপক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, এ ঘটনায় ইব্রাহিম কুট্টির স্ত্রী ১৯৭২ সালে যে মামলা দায়ের করেছিলেন সেখানে সাঈদীকে আসামি করা হয়নি। এ মামলার চার্জশিটেও তার নাম নেই। এ মামলার এজাহার এবং চার্জশিটের ফটোকপিও আদালতে দাখিল করে আসামিপক্ষ। তবে দাখিল করা এজাহার ও চার্জশিটের বিশ্বাসযোগ্যতা নেই বলে উল্লেখ করেন এটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। তিনি মঙ্গলবার বলেন, যে এজাহার ও চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে তা জাল ও ভুয়া।এসব প্রশ্নের জবাবে আসামিপক্ষের আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেছিলেন, আপনারা মামলার রেকর্ড তলব করেন। রেকর্ড তলব করলেই বোঝা যাবে কোন এফআইআর হয়েছিল কি না, চার্জশিট হয়েছিল কিনা? আপনারা গোড়ায় হাত দিন। গোড়ায় হাত দিতে সমস্যা কোথায়? গতকাল আপিল বিভাগ এ নিয়ে দায়ের করা আবেদন খারিজ করে দেয়।
এ মামলার শুনানিতে মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী এবং দেলাওয়ার শিকদার এক ব্যক্তি কিনা সে প্রশ্ন বারবার উত্থাপিত হয়েছে। আসামিপক্ষের আইনজীবী এস এম শাহজাহান বলেছিলেন, গত ৭৫ বছরে কেউ বলেনি মাওলানা সাঈদীর নাম কখনও দেলাওয়ার শিকদার ছিল। দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী এবং দেলাওয়ার শিকদার আলাদা ব্যক্তি। তাদের পিতার নামও আলাদা। প্রসিকিউশন একটি ডকুমেন্টও হাজির করতে পারেনি যেখানে শিকদার পরিবর্তন করে সাঈদী যুক্ত করার কথা বলা হয়েছে। অন্যদিকে, রাষ্ট্রপক্ষ থেকে বলা হয়, দেলাওয়ার শিকদার এবং দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী একই ব্যক্তি।
নানা দিক দিয়ে মামলাটি বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। সামু ব্লগে যারা আছেন তাদের কাছে আমার প্রশ্ন আপনারা কে কে সাইদীর ফাঁসি চান এবং কারা ফাঁসির বিপক্ষে। আশা করি আপনারা সবাই আপনাদের মূল্যবান মতামত প্রদান করবেন।
আমি জানিনা আমার এ লেখাটি কতক্ষন ব্লগে থাকবে। আমি জানি এ লেখার বিপরিতে অনেকেই রিপোর্ট করবেন। রিপোর্ট এর পরিপেক্ষিতে হয়তো আমার এ লেখাটি সরিয়ে নেওয়া হতে পারে।