‘এই উদাসী হাওয়ায় পথে পথে মুকুলগুলি ঝরে
আমি কুড়িয়ে নিয়েছি তোমার চরণে দিয়েছি..’
এইরকম অসম্ভব সুন্দর এক সুর লহরীর ভেতর দিয়ে যখন
এগিয়ে যাচ্ছিলাম আমরা
আমাদের সেই আ-ন-ন্দ-লো-কে
ঠিক তখনই
শহরের কোথাও কোনো এক রাজপথে
হঠাৎ
কাঙ্ক্ষিত ও মনোমুগ্ধকর এক সাইনবোর্ড আমাদের
দৃষ্টিকে আকর্ষণ করে
আর আমরা ধীরে এবং আরো ধীরে নির্ভার হতে গিয়ে
স্বস্তির কিছু নিঃশ্বাস ফেলি ও
প্রফুল্ল হই
কিন্তু কে জানতো
এখানে কোনো হাওয়ার-ই আসলে উদাস হওয়ার কোনো উপায় নেই
কেননা
বাতাস এখানে অসুর
আর শব্দ মানে সেইসব অবাঞ্ছিত আওয়াজ
যা একনাগাড়ে ঢুকে যায় আমাদের কর্ণকুহরে আর উদ্রেক করে
বিরক্তির
উৎপাদন করে ঘৃণার
কী মানে হয় এইসবের যদি
‘ভিক্ষুক মুক্ত ঘোষিত এলাকা’ লিখার পরও ওইসব
ফকিন্নির বাচ্চা ফকিন্নিরা একে একে আসে
হাত পাতে-
আমরা কি দানবীর হাজী মোহাম্মদ মহসিনের বংশধর যে গাড়িতে যাবো আর
ডলার ছিটিয়ে দেবো প্রত্যেককে
ওরা কি জানে না
এই বাংলায় কোনো গরীব থাকবে না- আর- ভিক্ষুক তো নয়ই
শালারা কী জানে না এটা বঙ্গবন্ধুর মহান স্বপ্ন ছিল
যা আজ
আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অসামান্য অঙ্গীকার হিসেবে প্রতিয়মান এখানে
১৭.১১.২০১৭; সার্ক ফোয়ারা
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:৫৩