নিউটন (১৬৪৩-১৭২৭) গতি সংক্রান্ত
৩টি সূত্র বিভিন্ন মুসলিম বিজ্ঞানীদের
কিতাব থেকে নকল করে তার “Philosophi
Naturalis Principia Mathematica” বইতে তার নিজের
নামে চালিয়ে দেয়। এখানে তারও
মুখোশ উম্মোচন করা হলো।
গতির প্রথম সূত্র বলা হয়েছে যে, “স্থির বস্তু
স্থির থাকবে এবং গতিশীল বস্তু
সমবেগে গতিশীল থাকবে।” গতিবিদ্যার এই
সূত্রটি মুসলিম
বিজ্ঞানী ইবনে সিনা (৯৮০-১০৩৭) মহাচোর
নিউটনের ৬০০ বছর পূর্বে রচিত “আল ইসহারাত
ওয়াল তানবিহাত” (Remarks and Admonitions)
কিতাবে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন যে,
“যদি বাহ্যিক কোন বল প্রয়োগ করা না হয়
তবে বস্তু স্থির বা সমবেগে সরলরেখা বরাবর
গতিশীল থাকবে।” এই বক্তব্যের
মাধ্যমে স্পষ্টতঃ প্রমাণিত হয় যে,
নিউটন নয় বরং মুসলিম
বিজ্ঞানী ইবনে সিনাই গতির প্রথম সূত্র
আবিষ্কার করেছেন। ইবনে সিনার বই পশ্চিমা বিশ্বে তখন প্রচলিত ছিলো।
গতির দ্বিতীয় সূত্রে বলা হয়েছে যে,“কোন
বস্তুর ভরবেগের পরিবর্তনের হার প্রযুক্ত বলের
সমানুপাতিক এবং বল
যে দিকে ক্রিয়া করে বস্তুর ভরবেগের
পরিবর্তন সেদিকেই ঘটে।”
অথচ মুসলিম বিজ্ঞানী হিবাতুল্লাহ আবুল
বারাকাত আল বাগদাদী (১০৮০-১১৬৫) নিউটনের প্রায় ৫৫০ বছর পূর্বে “আল
মুকতাবার ফিল হিকমা” (The Considered in
Wisdom) কিতাবে উল্লেখ করেন যে,
“শক্তিশালী বল প্রয়োগে বস্তু দ্রুত
চলে এবং স্বল্প সময় নেয়। যদি বল
কমানো না হয় তাহলে গতিও কমবে না।”
তিনি তার কিতাবটির চর্তুদশ
অধ্যায়ে বলেন, “যদি বেশি বল প্রয়োগ করা হয়
তবে বস্তু দ্রুত বেগে চলবে এবং কম সময়ে দুরত্ব
অতিক্রম করবে। ” এই বক্তব্যের
মাধ্যমে স্পষ্টতঃ প্রমাণিত হয়ে যে,
নিউটন নয় বরং মুসলিম
বিজ্ঞানী হিবাতুল্লাহ আবুল বারাকাত আল
বাগদাদ তিনিই গতির দ্বিতীয় সূত্র
আবিষ্কার করেছেন।
একই সূত্রটি মানতেকের ইমাম ফখরু উদ্দীন
রাজী রহমতুল্লাহি আলাইহি (১১৫০-১২১০)
উনার “আল মাবাহেত আল মাসরিকাইয়াহ
ফি ইলম আল ইল্লাইয়াত ওয়া আল
তাবিয়াত” (The Eastern Disciplines in Theology and
Natural Sciences) কিতাবে বলেন যে, “
দুটি সমান বল বৃত্তটিকে টানতে থাকে যতক্ষণ
পর্যন্ত না বৃত্তটি মাঝখানে থেমে যায়,
এখানে নিশ্চিতভাবে ধরে নেয়া হয় যে,
উভয় বল একটি করে কাজ সম্পাদন
করেছে যা একে অন্যের বিপরীত।”
এই বিষয়ে ইবনে হাইছাম (৯৫৬-১০৪০) তার
রচিত “আল মানাথার” (The Scenes) এ উল্লেখ
করেন যে, “যদি চলমান বস্তু কোন
প্রতিবদ্ধকতা দ্বারা বাধাপ্রাপ্ত হয়
এবং বলের অস্তিত্ব থাকে তাহলে প্রতিবদ্ধক
বলের অনুপাতে চলমান
বস্তুটি সমবেগে বিপরীত
দিকে ফিরে আসে।” মুসলিম
বিজ্ঞানী হিবাতুল্লাহ আবুল বারাকাত আল
বাগদাদী, মানতেকের ইমাম ফখরু উদ্দীন
রাজী রহমতুল্লাহি আলাইহি এবং ইবনে
হাইছাম, উনাদের প্রত্যেকের বক্তব্যের
দ্বারা স্পষ্টতঃ প্রমাণিত হয় যে,
নিউটন তৃতীয় সূত্রটিও মুসলমানদের
থেকে চুরি করেছে।
সূত্রঃ http://www.wikipedia.org/islamstory
মুসলিম বিজ্ঞানী সম্পর্কে জানতে এই লিংকে ঘুরে আসুনঃ http://ummah.net/history/scholars/index.html
গত শতাব্দীতে একজন পাকিস্তানী মুসলিম ( আব্দুস সালাম) নোবেল প্রাইজপ্রাপ্ত। কুরান পড়লে এর পরিমান আরো বৃদ্ধি পেতো বলেই মনে করি। মূলত, আপনি একটা কিছু এমনি এমনি আবিষ্কার করতে পারবেন না। লাগবে গবেষণাগার। কিন্তু, বাংলাদেশ, আরব বিশ্ব, পাকিস্তানে এসব নাই। যে কারনে যেতে হবে জার্মানি আর আমেরিকা। সেখানে গেলে আপনাকে বানাবে সন্ত্রাসী। দেখা গেলো আপনি একটা বৈজ্ঞানিক থিয়োরি নিয়ে গেছেন, আমেরিকা এয়ারপোর্ট থেকেই আপনাকে গ্রেফতার করে জেলের মধ্যে কুকুর দিয়ে খাইয়ে ফেলেছে। যাই হোক, বিজ্ঞানী পেতে হলে উন্নত বিশ্বে পাওয়া যায়। বোদ্ধ ধর্মাবলী তেমন কোনো বিজ্ঞানী পাওয়া যায় না, হিন্দু ধর্মেরও একই অবস্থা। তাই বিজ্ঞানীর সাথে ধর্মের সম্পর্ক নাই।
(যাবতীয় তথ্যাবলী লিখেছেনঃ শুভ্র আহমেদ (তারিখঃ রবিবার, ১৩/০৭/২০১৪ - ১৮:২৪)
শুভ্র আহমেদ এর লিংকঃ Click This Link