somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

যদি দেশকে ভালবাসেন তাহলে পড়বেন, না হলে দয়া করে ঢুকবেন না এখানে। (রি:পোস্ট. ব্লগ থেকে নেয়া) বাংলাদেশ

১৮ ই জুন, ২০১০ ভোর ৬:৪৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


ব্লগ সংকলন

আশরাফুল এর হাত থেকে কে রক্ষা করবে জাতি কে ?
এ ব্যাপারে আমার পুরোনো পোষ্ট দেখতে পারেন। বলেছিলাম
''অনেকে যাই বলেন না কেন আমি সিনন্স এর বক্তব্যকে সমর্থন করি।
আশরাফুল ফিফটি কেন, ৫০০ করলেও দলে চাই না । এটা একান্তই আমার ব্যাক্তি মতামত। '

পতাকা, বিশ্বকপ ফুটবল শুরু হলে বাংলাদেশে শুরু হয় পতাকা উৎসব।
বিশ্বকপ ক্রিকেট শুরু হলে কিন্তু তা হয়না। কারণ টা কি ? জানেন কিছু ?
কারণ তাহলে পাকিস্তান আর ভারতের পতাকায় ছেয়ে যাবে দেশ সেই ভয়ে বা লজ্জায় কেও বিশ্বকাপ ক্রিকেটে পতাকা উৎসব করে না কিন্তু মনে কিন্তু সেই পাকিস্তান আর ভারত :P;)

কিছুদিন আগেই মন্ত্রী-এমপিদের বেতন-ভাতা দ্বিগুণ বৃদ্ধি করা থেকেই বাংলাদেশে একশ্রেণীর মানুষের প্রাচুর্য সম্পর্কে কিছুটা ধারণা করা গেছে। অথচ ব্রিটেনের মতো ধনী দেশেও বিশ্ব অর্থনীতির টালমাটাল অবস্থাটি আমলে নিয়ে সেদেশে মন্ত্রীরা তাদের বেতন পাঁচ শতাংশ কমিয়েছেন।

বাঙ্গাল বলে ''হ। আমরা আর কিছু বুঝি না বুঝি, স্বাধীনতা বুঝি। অইটা নিয়া কুন কথা হইব না, এক বাক্যে স্যালুট দিতে হইবো জনক, ঘোষক, আহবায়কদের। সংসদে সব ভাষনের আগে ৫ মিনিট মুক্তিযুদ্ধের ঘোষক ও আহবায়কদের সালাম জানাইয়া বিবিধ-বিশেষন বর্ষন... তাআআরপরে দ্যাশের অন্যান্য বাতচিত। আর যুদ্ধাপরাধীতো ভোটের আগের খেলা, "ড়াজাকার" ডাক ছাড়তে ছাড়তে মুখের ছ্যাপ ছিটায়া বেড়াই মিছিলে স্লোগানে। ক্ষমতায় গিয়া বলি "মাসুম সরকার" "ফরেন প্রেসার" "এত কাজ!"... সময় হয় না... ধরি ধরি কইরাও ধরা হয় না। কেউ কেউ আবার যুদ্ধাপরাধীদের ঘাড়ে চইড়া ক্ষমতায় আসি—“নির্বাচনী কৌশল” বললেই দায় শেষ।

কিন্তু শহীদ মুক্তিযোদ্ধারা যেই দেশটা স্বাধীন কইরা রাইখা গেল... সেই দেশের স্বার্থ আপনি কতখানি দেখেন? কতটুকু বুঝেন বা বুঝতে চান?

বুঝতে চান না। কারন আপনার বিবেচনার দেয়ালে মোটা দাগ টানা আছে। তেল-গ্যাস ইস্যু? কোন কিছু না জাইনাই আপনি বইলা দিবেন "ওইটা বাম দলগুলার ইস্যু, ওরা সারা বছর ওইটা নিয়া ফালাফালি করতেই থাকব, সো কান দিয়া লাভ নাই"...টিপাইমুখ বাধ? ওইটা জামাতিগো ইস্যু..."ড়াজাকারের দল নতুন ভড়ং ধরছে"। এশিয়ান হাইওয়ে? "সাবমেরিন ক্যাবলের লাইন না নিয়া কি ভূল্টাই না করছিল বিএনপি, এইবার আর সেই ভূল করা যাবে না।এইটা সুবর্ণ সুযোগ"। আপনি এক্টুও চিন্তা করলেন না, সবগুলাই আসলে আপনার ইস্যু। কারন সব গুলাই বাংলাদেশের অস্তিত্বের ইস্যু।এই ইস্যুতেই নির্ধারিত হইতে যাইতেছেঃ আজ থেকে ১০ বছর পর দেশের কি অবস্থা হবে।''

আরও বলে''বাংলদেশ দ্বিপাক্ষীক বৈঠক, তার ফলাফল আর যৌধ বিবৃতির আলোচনায় সুসপষ্ট বিপরীত দুই পক্ষ দেখা গেল। পেপার-পত্রিকা, টক শো, ব্লগ সবখানে। সমস্যাটা হইল ভারত ইস্যুতে দুই পক্ষ আগেই হয়া ছিল। একদল কোন ভাবেই ভারতের সাথে কোন কিসিমের চুক্তি করতে রাজি না। বরং দেশ উলু ধ্বনিতে ভইরা যাবে,বিক্রি হইয়া যাবে, স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব বরবাদ হইয়া যাবে, এইরকম একটা ধারনা প্রচারে সচেষ্ট। আরে মিয়া, তোমার তিন দিকে ভারত। দরজা বন্ধ কইরা কয় দিন থাকবা? ম্যাপটা দেখো। ডানে বামে ব্যবসা বাণিজ্যের বাজারটা দেখ। আর হিন্দু ধর্মপ্রচারে ভারত সরকারের কোন আগ্রহ নাই। যার সাথে দেন দরবারে বসতেছেন...তার আগ্রহ কোথায় সেইটা জানা জরুরী। উনাদের আগ্রহ বিদ্যুত, পেট্রোলিয়াম(মানে তেল-গ্যাস), ট্রানজিট, ব্যবসায়িক প্রভাব বিস্তার, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে পারমানেন্ট মেম্বারশিপ পাওয়া...এইসবে।

আরেক দল আছে,৭১ এর কৃতজ্ঞতাবোধ সিন্ড্রমে আক্রান্ত। ৭১ এর কৃতজ্ঞতা আইজো তাদের ভাষণের আগা পিছায় ঝইড়া পড়ে। তাই ভারতীয় কূটনীতিকরা আমাদের দালাল, চোর, জঙ্গি যা খুশি তাই বলার এখতিয়ার রাখেন। আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রি চুপ থাকেন। ৭১ এর কৃতজ্ঞতা দেখানি ভদ্রতা অনেক হইছে। আমেরিকা যেমন সোভিয়েত মারতে আফগানদের বিলিয়ন ডলারের যুদ্ধাস্ত্র দিছে, সেরম সোভিয়েতরাও ভিয়েতনামিজদের সাহায্য দিয়া আমেরিকাকে শায়েস্তা করছে। কৈ...আফগানিস্তান বা ভিয়েতনামকে এত কৃতজ্ঞতায় গদগদ করতে দেখি না। বাস্তবতা বুঝেন। ভারত কোন দিনই আমাদের সাহায্য করতো না, যদি আমাদের "কমন" শত্রু পাকিস্তান না হইত। সহজ স্ট্যাটেজিক্যাল হিসাব। ব্যবসা-বাণিজ্যের মধ্যে এইসব টাইনা ভারতরে আপার হ্যান্ড দেয়ার কোন মানে নাই।''


বিডিআর বিদ্রোহে আহত আক্তার আগামী শুক্রবার রাতে চিকিৎসার জন্য অস্টেলিয়া যাচ্ছে। আর যারা নিহত বা শহীদ হয়েছেন তাদের সন্তানদের কেও যদি প্রধানমন্ত্রী হতে পারে কোনদিন তো বিচার পেলে পেতেও পারে।

পাটের জীবন রহস্য উন্মোচন করতে পেরেছেন জনাব মাকসুদুল আলম ও তার দল। কিন্তু কৃতীত্ব ভারতের পাবার আশন্কা। জব্বার আর জাফর সাহেব খুব খুশী দেখা যায় এই ব্যাপারে আবার না ''পাট'' এর পেইট্যান্ট করায় ফেলে পয়সা দিয়া কে যানে।

বসুন্ধরার মালিক নাকি, মন্ত্রীসাহেব কে বকা দিয়েছে। তিনি নালিশ করেছেন প্রধানমন্ত্রীর কাছে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন ও বকা দিয়েছে তো কি হয়েছে তুমি তোমার যায়গায় ঠিক আর সে তার জাগাতে? বসুন্ধরা শপিং মলে আগুন লাগায় মোট কত টাকা ইন্সুরেন্স পাওয়া গিয়েছে যদি কেও জানাতেন আমাকে :-(।

বাজেটে অস্ত্র কেনার জন্যে প্রায় ২০০০ কোটি টাকা রাখা হয়েছে যদি তার দশ ভাগও যদি ফ্যায়ার ব্রিগেডের উন্নয়ণের জন্যে বরাদ্ধ করত । কবে না আবার ওরাও বিদ্রহ করে বশে আর আমরা ওদের কে গালী দেয়া শুরু করি।

রয়েল ব্যাংগল টাইগার নাকি সব ভারত চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে।
সরকারের আপত্তি নাই। আমাদেরও না। অবশ্য সবাই এখন তাদের ইন্ডিয়ান বাঘ বলেই যানে, শেষ কালে বাঘ ও দেশের সাথে বেঈমানি করল :-(।

পরম করূনাময় বন্ধুদেশ ভারতের বিএসএফ গতকাল বাংলাদেশের সিলেটে ঢুকে পড়েছে। আজ নাওগাতে বিএসএফ এর গুলিতে প্রাণ হারালো আরও এক বাংলাদেশী। ''বাংলাদেশী'' মানে বাংলাদেশের একজন নাগরিক !!! কিন্তু দেশের মানুষ রা আরর্জেন্টিনার খেলা নিয়েই বেশী ব্যস্ত আছেন। আর ব্রাজিল সাপোর্টার রা হটাৎ এশিয়া প্রেমী হয়ে কোরিয়ার জন্যে দোয়া চেয়ে যাচ্ছেন । এর আগেও বিএসএম ঢুকেছে আমাদের সীমানায় যেভাবে আমরা আমাদের রক্ষিতার ঘরে ঢুকি সেভাবে। মনে পড়ে সীমান্ত যুদ্ধে ১৫ জন বিএসএফ কে বিডিআর হত্যার পর বীর পদকের বদলে শাস্তি পেতে হয়েছিল গত আওয়ামী সরকারের আমলে , মরলে শহীদ আর মারলে ??।

উজবেকিস্তানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হাসিব আজিজকে ঢাকায় গত এপ্রিলে তলব করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। কিন্তু এরই মাঝে হাসিব আজিজ গত ১০ জুন আইগুল নামে এক উজবেক নারীকে বিয়ে করেছেন বলে জানিয়েছেন হাসিবের দ্বিতীয় স্ত্রী ফারিম হাসিব। দিপু মণি ডাকার পরও আসেন নাই।

মূসা ভাই B-) , চিনলেন না। শুনলাম নাকি প্রথম বাঙ্গালী হিসেবে চাদে গেছে নাহ সরি হীমালয় এর চূড়ায় গেছে। পরে শুনলাম না প্রথম বাংলাদেশী । কোন জেলার সেটা জানলে আরও খুশি হতাম , প্রথম নোয়াখালী বা বরিশালের হলে তো কথাই নাই। সিলেটী না সেটা শিউর হয়েছি :P । তো ব্যাপার হল আমি ইটালী থাকি আর ইটালীর অনেক অনেক নামকরা যায়গাতে প্রথম বাংলাদেশী এমনকি প্রথম সাউথ এশিয়ান হিসেবে আমার পদধূলি দিয়েছি। দয়াকরে যদি সাংবাদিক ভাইরা আমার এই প্রথম বাংলাদেশী হিসেবে অর্জনসমুহ নিয়া কিছু লিখতান। ছবি, প্রমান, টাকা সব আছে যা চান ;)

চীন,ভারত গার্মেন্টস শিল্পের সবচেয়ে বড় প্রতিযোগী দেশ। আমাদের দেশে গার্মেন্টসে বিশৃঙ্খলা অথবা উৎপাদন ব্যায় বৃদ্ধি পেলে বহিবিশ্বের অর্ডারগুলি চীন/ভারত নিয়ে নিবে। তখন এমনিতেই আমাদের গার্মেন্টস বন্ধ হয়ে যাবে। এখনই সরকার + বিজিএম ই এর কর্তাদের এর ব্যাপারে সঠিক সিদ্ব্যান্ত নিতে হবে। নয়তো এটা ক্যানসারের মত আমাদের দেশের সকল গার্মেন্টস শিল্প ধ্বংস করে দিবে।
একজন শ্রমিকের মজুরী ১৬২০ টাকা, ন্যুনতম ৪ জনের এক পরিবার কি এই টাকায় চলতে পারে?

এশিয়ান হাই ওয়ে দিয়ে ভারতীয় ট্রাক আসবে চট্টগ্রাম বন্দরে, আর আমরা সেই ড্রাইভারদের কাছে মুড়ি, চানাচূর বিক্রি করে লাভবান হব। বন্দর যদি দিবেনই এতদিনে চীনকে দিলে হংকং না হলেও বাংলাদেশ বংকং হয়ে যেত। ভারত কে বন্দর ইজারা দিয়া রুপিয়া কামানোর স্বপ্ন পরবর্তিতে দু:স্বপ্ন হয়েই দেখা দিবে বলে ঘোষণা দিলাম। ঘোষণা টা প্রিন্ট করে রাখবেন সবাই, মূল কপি আমার কাছে থাকলো। পরবর্তিতে কে আগে ঘোষনা দিছে তা নিয়া সংসদে আলোচোনা করা যাইতে পারে B-)


দীপুমনি কি সুন্দর নাম। অনেকেই জানে না উনি কোন দেশের নাগরিক। কেন তা নীচে মন্তব্য দ্রষ্টব্য। সাহারা খাতুন বলেছেন জামাত নাট বল্টু খুলে দেয় তাই কারেন্ট যায়। অথচ বিদ্যুৎ নাকি যায়ই না এখন, মাঝে মধ্যে আসে :(

জয়, আমেরিকাতে কতবার কেইস খেয়েছে তার ডকুমেন্টযুক্ত কিছু ব্লগ দেখলাম। তারেক জিয়ার দলিল গুলো যদি সেভাবে পাওয়া যেত !! গণপ্রজাতন্ত্রী দেশেও যা রাজা বাদশা রানী আর যুবরাজ থাকে তা আগে জানতাম না। আসলে গোলামী টা রক্তে মিশে গেছে। মানুষ ভাল নেতা খুজে। আরে ভাই জনগণ সাংবিধানিক ভাবে যে দেশের মালিক সে দেশে নেতার কাজ কি দরকারই বা কি ? শ্রদ্ধেয় জাফর স্যারের থিসিস আর ড্যান্স দেখেছি অবশ্য ইন্টারণেটে, উনি এত ভাল নৃত্য জানেন কেন যে একটা নাচে স্কুল খুললেন না সেটাই ভাবি।

গফফার সাহেব নাকি নিয়মিত প্লান চ্যাট করে যাচ্ছেন শেখ সাহেবের সাথে অনবরত, শেখ সাহেব মরার পরও ভাল মানুষ কাছে পাইলেন না।
জে: মইন নাকি আওয়ামিলীগে যোগ দেবেন। অবশ্য ভারতের সাথে তার সখ্যতা এত বেশী যে ভারত বললে তিনি আওয়ামীতে যোগ দেবেনই।
দরবার হলের হত্যার বিচারের আগে হলেই ভাল তা। অবশ্য তার জন্যে প্রবলেম কোন সমস্যা না। জাতির ভাগিনার সাথে ঐ যে এক মিটিং এ বসলেন আমেরিকায় তার পর থেকে সব চেইন্জ। অবশ্য উনার বাচ্চারাও আমেরিকাতেই স্যাটেলট্ড।

টিপাইমুখে বাঁধ সৃষ্টির উদ্যোগ নিয়ে সৃষ্ট বিতর্কের অবসান না হতেই ভারত এবার ব্রহ্মপুত্র নদের উপর বাঁধ নির্মাণের পরিকল্পনা করছে । আর এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশের কৃষিসহ পরিবেশ নতুন করে বিপর্যয়ের মুখে পড়বে । (আপনাদের ধারণা ভারত বাংলাদেশের ক্ষতি করবে ? তাহলে আপনি শিউর রাজাকার না হয় পাকিস্তানি )

মাল সাহেব একটা কঠিন মাল, নিজের শেষ বয়সে এসে গেছে দেখে ভাবছেন দেশেরও বুঝি শেষ বয়স এসে গেছে তাই বাজেট দিয়েই শেষ টা করে যাচ্ছেন যতটা পারেন। আমি যদি একবার দেখতে পেতাম কাল টাকা দেখতে কেমন হয় :-( , সাদা টাকাই দ্যাখলাম না এখনও :-(

এমন একটা দেশে বাস করি যে প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ (গোলাম) কারণে অকারণে মারা যাচ্ছে। কেউ গাড়ির নীচে চাপা পড়ে, কেউ বাড়ির নীচে চাপা পড়ে, কেউ পানির নীচে চাপা পড়ে, কেউ আগুনে পুড়ে কেউ বা মাটির নীচে চাপা পড়ে। সব মৃত্যুই আমাদের (গোলামদের) কষ্ট দেয়। এই সব মৃত্যু আমাদের কারোরই কাম্য নয়। তদন্তে দেখা যায় এইসব মৃত্যুর অধিকাংশই আমাদের নিজেদের তৈরী। আমরা যদি একটু সচেতন হই তাহলে কিন্তু অনেক মৃত্যু থেকে আমরা বাঁচতে পারি এবং অপরকে বাঁচাতে পারি। আমার প্রশ্ন হল কয়েকদিন আগে নিমতলীতে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ১১৯ জন মানুষ মারা গেল এবং সরকার তার জন্য রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করা হল। এটা ঠিক আছে। কিন্তু পাহাড় ধসে সেনাবাহিনীর ৬ জন সহ প্রায় ৬০ জন মানুষ মারা গেল তারা কি দোষ করলো যে তাদের জন্য রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করা হল না? নাকি পাহাড়ে মাটি চাপা পড়ে মরা আগুনে মরার থেকে অনেক আরামদায়ক? যদি তাই না হয় তবে তাদের জন্য কেন রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করা হল না? আমার প্রশ্ন>>> কতজন মারা গেলে রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করা হয়?

আগের পোষ্টে বলেছিলাম কতক্ষণ লাগবে ভুলতে এসব

''নিমতলীতে শত মানুষের মৃত্য।
বেগুন বাড়িতে ২৫ জন।
সড়ক দুর্ঘটনা।
লঞ্চ দুর্ঘটনা।
বন্যা, জলোচ্ছাস।
বিএসএফ এর গুলিতে মৃত্যু।
বখাটেদের উৎপাতে আত্মহত্যা।
রাজনৈতিক হত্যাকান্ড।
ক্রসফায়ার।
ছাত্র রাজনিতী দল গুলোর হ্ত্যাকান্ড।
পাহাড়ে মানুষ হত্যা।
সেনা হত্যা।

অবশেষে সরকার শোক দিবস ঘোষণা দিয়েছে আজ সারা দেশে।
ঢাকার বেগুনবাড়ি ও নিমতলিতে প্রায় দু'শত মানুষের মৃত্যু ঘটেছে কিন্তু ঢাকায় আরও প্রায় দু'কোটি মানুষ বসবাস করে যাদের জীবণের প্রতিটি ক্ষন কাটছে মৃত্যুর আশংকায়। ভেবে দেখুন একটা ভুমিকম্প, বন্যা হলে ঢাকার কি হবে ? কোথায় গিয়ে বাচবে এই বিশাল জনগোষ্ঠি ?'

শুধু শোক দিবস পালন করে আরও একটা দিন ছুটি কাটানো ছাড়া আমরা আর কি করছি আর সরকারকেই বা কি কাজে বাধ্য করতে পেরেছি ?

সড়ক দূর্ঘটনা, অগ্নিপাত, ব্ন্যা, অপরিকল্পিত নগরায়ণ, দুর্নিতী, বাক স্বাধিণতা ?? আমাদের কোন অধিকার আমরা রক্ষা করছি শোক দিবস পালন করে ?বসুন্ধরা শপিং মলে যদি আবার আগুন লাগে ?
কাল যদি ভুমি কম্প হয় ?

সামুতে কাজী নজরুলের লোগো দেখলাম না জীবণে, ফুটবলের লোগো প্রতিযোগিতা চলছে।

এই ফলাফল এর ফল আমাদের খুব শিগ্রই ভোগ করতে হবে। বিদেশে অলরেডী আমরা অনেক মূর্খ জাতি হিসেবে দিন যাপন করতেছি যাদের অধিকাংশই এস.এস.সি. বা এইচ.এস.সি পাশের সার্টিফিকেট নিয়ে ঘুরতেছে। ইউরোপে ১২ বছরের বেশি পড়াশুনা করা মানুষের সংখ্যা খুবই কম, আর সমমান পড়াশুনায় এমনকি ইন্ডিয়ান, শ্রীলন্কান, পাকিস্তানিদের থেকে আমরা অনেক অনেক অনেক পেছনে। প্রাকটিক্যাল ফিল্ডের কথা বলতেছি।এভাবে একটা জাতি সম্পূর্ণ পিছিয়ে যাচ্ছে। অনেক পিছিয়ে যাচ্ছে।
জিপিএ টা বাংলাদেশে যেভাবে এপ্লাই হচ্ছে এটা শুরু থেকেই একটা ভুল পদ্ধতি ছিল। ২০০১ সালের পরীক্ষার্তি দের খাতা আবার চেক করা উচিৎ।
২০১০ এ তো ফেইল করা জিপিএ ৫ পাওয়ার থেকে অনেক বেশী কঠিন কাজ ছিল।

কিছু একটা ঘাপলা আছে যা আমরা বুঝতে পারছি না, যখন বুঝবো অনেক দেরী হয়ে যাবে। হয়তো ৩০ বছর লাগবে এই দূর্নিতীর বিচার চাইতে।
খুব দূ্ঃখ জনক হল শিক্ষা বোর্ড এর দূর্নিতী। যেসব শিক্ষকদের কে আমি দেশে ক্লাসে শুধু ঘুমিয়ে কাটাতে দেখেছি তারা হটৎ এমন উন্নতি করে ফেলেছে বিশ্বাস হয় না।

জিপিএ ৫ পাওয়া যে কোন শিক্ষার্থিকে আমর খুব শখ একটু পরীক্ষা নিয়ে দেখতাম। আমার পরিচিত অনেকেই জিপিএ পেয়ে পাশ করেছে যারা জিপিএ ৫০ পেলেও আমি জানি কত খানি শিক্ষা এদের মাঝে আছে।

২০০১, ২০০২,২০০৩ এর ফলাফল রিভিউ করা উচিৎ।
২০১০ সালের ফলাফল স্হগিত করে তদন্ত করে দেখা উচিৎ, এর সাথে আমাদের দেশের, জাতির ভবিষ্যত জড়িত। এসব নিয়ে এমন ছেলেখেলা হতে দেখা ঠিক হবে না।

মহান শিক্ষকদের আর কি বলব ? ক্লাসে ঘুমিয়ে আর বেতন বাড়ানোর আন্দলনের জন্যে তাদের থেকে তেমন কিছু শেখা হয়ে উঠেনি।
পাশ করাদের ৭৫% আওয়ামিলীগে ভোট দিলে অবাক হব না। তা দিক কিন্তু জাতির ভবিষ্যত ?? ?? ??

ঢাকার ওসি"দের পর্যবেক্ষনে রাখবে,পুলিশ সুপার!সন্ত্রাসীদের পর্যবেক্ষনে রাখবে অসহায় জনগন! মনেহয় উল্টোটা হবে।

বিডিআর কেন্দ্রে হত্যার বিচার হলকি ? আর কত ? কতদিন ?
রাজাকাররা গালী দিয়েও ঘুরে বেরাচ্ছে। ভারতের সাথে চুক্তিগুলো কি পড়ে দেখেছিলেন ?

যাক পারলে আসুন সচেতন হয়ে কিছু করার চেষ্টা করি। গণপ্রজাতন্ত্রী দেশে জনগণ ই সকল ক্ষমতার উৎস। যাদের দায়িত্ব দিয়ে নিজেরা ঘুমিয়ে আছেন তারা যে সুই হয়ে ঢুকে ফাল হয়ে বেরিয়ে যাচ্ছে তার খবর কে রাখবে ? এভাবে পারবেন ?
আর কত দিন ? কেন দূর্ঘটনার অপেক্ষায় দিন যাপন ? দু টাকা ভাড়া বেশি চাইলে যদি রিক্সা ওয়ালা থাপ্পর খায়, দু'শ টাকা চুরি করলে যদি গণপিটুনিতে পকেটমারের লাশ পড়ে তাহলে হাজার হাজার টাকা চুরি, বেঈমানি করে যারা আপনাদের ঠকাচ্ছে বার বার কেন তাদের কিচ্ছু বলেন না। কেন যারা দায়ী তারা বেচে যাচ্ছ বার বার ?
আমরা আসলেই ভন্ড একটা জাতি।
মারাত্মক ভন্ড।
আমাদের জেগে উঠা দরকার খুব।

এইতো দূর্ঘটনায় মারা গেল নাবিলা নামের একজন বাংলাদেশী নাগরিক।
তার মর্যাদা ? মরে বেচেই গেল মেয়টা।

ছাত্রী উত্ত্যক্তকরণ প্রতিরোধ দিবস পালিত হচ্ছে। চলছে মিছিল, মিটিং, র্যালী, গোলটেবিল বৈঠক ইত্যাদি। সাথে সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে নারী উত্ত্যক্তকরণ, বাড়ছে আত্মহত্যা, বাড়ছে শ্লীলতাহানি।একদিকে ছাত্রী উত্ত্যক্তকরণ প্রতিরোধে শপথ পড়ান শিক্ষামন্ত্রী, অন্যদিকে ছাত্রীদের মিছিল ছুটে চলে মৃত্যুর ওপারে। বাড়ছে শিশু ধর্ষণ।

দেশে আনেক ছাত্রী বা কিশোরীরা আত্মহত্যা করেই চলেছে যেন প্রতিযোগিতা চলছে কিন্তু ভাইয়াদের প্রেম থেকে নিজেদের রক্ষা করতে পারছে না। ধর্ষন আর এসিড নিক্ষেপের আজ পর্যন্ত কোন ভাল বিচার হয়েছে বলে শুনিনি। হবে বলেও মনে হ্য় না। তবে মহৎ মানের মামুন হাওলাদার এর কষ্টটা এবার যোগ হল আমার বাকী কষ্ট গুলোর সাথে, নিজের বোনকে উত্তক্ত করার প্রতিবাদে যে প্রাণ দিয়েছিল। তাই আমার খুব লজ্জা লাগছে। একজন ভাই হিসেবে, পুরুষ হিসেবে, এই দেশের পরাধীন নাগরিক হিসেবে। বোনদেরও আত্মহত্যা না করে এই অযোগ্যদের সাথে প্রেম বন্ধই করে দেয়া উচিৎ পারবেনা যদিও।

চট্টগ্রামে মেয়র নির্বাচন সম্পন্ন , ফলাফলের প্রস্তুতি চলছে। গতকাল সাকা চৌ: আটকের নাটক শেষ হয়েছে। যেহেতু ভারত কে ট্রানজিট দেয়ার শপথ নিয়ে মেয়র প্রার্থী মহিউদ্দিন ভোট চেয়েছেন তাতে ভোট তিনিই পাবেন সব মনে হচ্ছে। তিনি বলেন ''‘দেশের স্বার্থে জীবন দিয়ে হলেও আমরা ট্রানজিট চুক্তি বাস্তবায়ন করব’ '' কিন্তু কোন দেশ সেই নাম উল্লেখ করেননি। আরও মজার ব্যাপার হলো ডিজিটাল ভোটিং, সিসিসি নির্বাচনে দেশে প্রথমবারের মত চালু হওয়া ই-ভোটিং পদ্ধতিতে অভিনব প্রতারণার অভিযোগ করেছেন ভোটাররা।আজ ভোট দিতে এসে উপস্থিত বেশ কিছু নারী ভোটার সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, ভোট কেন্দে প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গেই কর্তব্যরত কর্মকর্তারা কিছু বুঝে ওঠার আগেই সুনির্দিষ্টভাবে দেখিয়ে দিচ্ছেন কোন মার্কার বাটনে চাপ দিতে হবে।আমরা যে ইচ্ছেমত যে কোন বাটনে চাপ দিতে পারবো তারা বুঝিয়ে দিচ্ছেন না ।
যাক আনারস নাকি তারপোরও এগিয়ে। গরমের দিনে আনারস খারাপ না। তবে কি ভাই যেই লাউ সেই কদু কদিন বাদেই বুঝবেন।

অভ্র এর সাথে মোস্তফা জব্বার এর সমাধান হতে চলেছে। ভাষা আন্দলোনের দেশে ভাষা নিয়ে ব্যবসা করে এখনও টিকে আছে মোস্তফা জব্বার। যেমন টিকে আছে রাজাকার, দূর্নিতীবাজ আর ভারত প্রেমীরা।

বিজয় পেইট্যান্ট এর সময় যারা বিচারক বা আইনজীবি ছিলেন তাদের আইটি ধারণা কতটুকু ছিল সে ব্যাপারে আমার যথেষ্ট সন্দেহ আছে।
এটা ছিল কিছু সুযোগ সন্ধাণী লোকের একটা দেশ , জাতি ও তার ভাষার সাথে প্রতারণা করা। সামু কোন ব্যাপারেই নিরপেক্ষ না যারা শুরু থেকে সামু ব্যাবহার করে তারা সবাই জানে। এই সামুতেই এক সময় জামাত বিরোধী পোষ্ট শুধু ডিলিট না ডাটাবেইজ থেকেই মুছে যেত।
অভ্র নিয়ে আমার কোন মাথা ব্যাথা নাই। কিন্তু বিজয় কে ঘৃণা করি যখন বাংলাদেশে কম্পিউটারের প্রচলন তেমন হয় নাই।
বিজয় কে যারা অনুমোদন বা মোস্তফা জব্বারের প্যাইটেন্ট দিয়েছে। আমার সামর্থ থাকলে তাদের বিরুদ্ধে আগে কেইস করবো যে কিসের ভিত্তিতে কি যাচাই করে তারা বাংলা ভাষা কে কোন ব্যাক্তির নিকট বন্ধক রাখলো।

১/১১ এর পর বর্তমান সরকার আসার পর আবার দাবী ওঠল এই ঘাতকদের বিচারের। কিন্তু, এই সরকারের কাছে ঘাতকরাই প্রিয় হয়ে ওঠলেন। ক্ষমতার বাইরে থাকা আওয়ামী লীগের নেতা, কর্মীদের নামে মামলা হলেও, জেল জুলুম হলেও, পাঁচ বছর ক্ষমতায় থেকে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হওয়া এই ঘাতকদের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ আনা হল না। সরকার প্রধানের সাথে মিটিংরত ঘাতককে দেশের পুলিশ কোথাও খুঁজে পেলনা। গণদাবীর মুখে শুধুমাত্র লোক দেখানোর জন্য দু'দিনের জন্য জেলখানায় নিয়ে জামাই আদরে রাখা হল। পরবর্তীতে আবার মুক্ত করে দেয়া হল।

যুদ্ধাপরাধী দের বিচার হবে তাও নাকি যারা শুধু ঢাকায় ছিল শুধু তাদের।
যেন ব্লেয়ার কে দায়িত্ব দেয়া বুশের বিচার করতে।


যুদ্ধাপরাধীর বিচার, ৯৬ দিনেও ১ জন অপরাধীর বিরুদ্ধে রিপোর্ট দিতে পারেনি

”রাজাকারেরা...মূলত সাহায্য করবে গ্রামাঞ্চলে, যারা চিহ্নিত করতে পারবে মুক্তিযোদ্ধাদের”, একজন পাকিস্তানি আর্মি অফিসারের ভাষ্য; সরকার ইতিমধ্যে পরিকল্পনামাফিক ৩৫,০০০ এর মধ্যে ২২,০০০ রাজাকার নিয়োজিত করেছে । [নিউ ইয়র্ক টাইমস, জুলাই ৩০, ১৯৭১]

এক নজরে :৭১ –এ স্বাধীনতা বিরোধী চক্র
সাধারণ আর্মি - ৮০,০০০
র্যা ঞ্জার এবং মিলিশিয়া - ২৪,০০০
সিভিলিয়ান ফোর্স - ২৪,০০০
রাজাকার, আল-বদর এবং আল-শামস – ৫০,০০০ (প্রায়)



আমারদেশ আবার বন্ধ। ভয়ের কিছু না, এটা পত্রিকার নাম।
উচ্চ আদালতের নির্দেশে আবার বন্ধ করে দেয়া হয়েছে এর প্রচার।
কোথায় যাচ্ছি আমরা? এই মুহুর্তে দেশের ৫ টি পিএসটিএন, ৩ টি টিভি চ্যানেল, ১ টি দৈনিক পত্রিকা, ১টি ওয়েব সাইট বন্ধ। যে কোন কারণেই হোক এগুলোর উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। আমাদের মত গরীব দেশ, যারা মাথা উঁচু করার চেষ্টা করছে; সেখানে এটা কি বিলাসিতার পর্যায়ে পড়ে না? তারা যদি ভুল করেই থাকে অন্য কোন ব্যবস্থা কি নেয়া যেত না?? আমাদের টেনশন কি, ফেইসবুক তো খুলেই দিয়েছে আর আমরা বীর বাহাদুর রা ফেইসবুক পেয়েই সব ভুলে গেলাম :-)

দ্রব্যমূল্য কি কমবে ? মশা না থাকলে কোটি কোটি টাকার এরোসল কোম্পানি গুলো কিভাবে চলবে ?

আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় যেসব বিদেশী অবদান রেখেছে সরকার তাদের আগামী স্বাধীনতা দিবসে সংবর্ধনা দিতে যাচ্ছে। ঐ সমস্ত বিদেশীদের পুরো পরিবার নাকি দাওয়াত করে আনা হবে।

বিদেশ বলতে আসলে কোন কোন দেশ বোঝাচ্ছে?

দীপু মণির পাশে বসা শাহরিয়ার কবিরকে দেখে অবশ্য স্পষ্টই বোঝা যায় এসব তথাকথিত সম্মাননা আসলে কাদের স্বার্থে?

আমার প্রশ্ন, স্বাধীনতার ৪০ বছরে আমরা এমন কি সমৃদ্ধি অর্জন করেছি যে এরকম একটি শৌখিন বিষয় নিয়ে আদিখ্যেতা দেখাতে হবে?

যারা দেশের স্বাধীনতার জন্য জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করেছেন, আমরা কি পেরেছি আমাদের সেই আত্মত্যাগী মহান মুক্তিযোদ্ধাদের প্রাপ‌্য সম্মান দিতে?

তাহলে, এসব লোক দেখানো আয়োজন করে দেশের সিকি পরিমাণ লাভের সম্ভবনা আছে কি?

এই আয়োজনে যে কোটি কোটি টাকা ব্যয় হবে সেটার বিনিময়ে আমরা দেশের নাগরিকরা কি পাব?


ইদানিং ভারত বাংলাদেশের নিরাপত্তা নিয়ে খুবই উদ্বিগ্ন। এমনকি খোদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিরাপত্তা নিয়েও ভারত পেরেশান, যতটা না পেরেশান তাদের দেশের রাষ্ট্রনায়কদের নিয়ে। ভারত কি ভুলে গেছে তারা তাদের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর নিরাপত্তা দিতে পারে নি, তারা রাজিব গান্ধীর নিরাপত্তা দিতে পারে নি, এমনকি তারা মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধীর জীবনের নিরাপত্তাও দিতে পারে নি।

বাংলাদেশ জহাজ কাটবে, জাহাজ রফতানী করবে, কোটি কোটি টাকা আসবে দেশে। দেশের কোটি কোটি মানুষের চিন্তা না করে, দেশের পানি, বনান্চল ধ্বংস করে হাতে গোনা কজন মানুষ কোটি টাকার মালিক হবে। বন কাটলে নাকি ব্যাংক লোনও বেশী দেয় এই ব্যাবসায়ে বিনিয়োগের জন্যে। কত যে সহজ বাঙ্গালীদের বোকা বানানো।

পৃথিবীতে সবচেয়ে কম গতির ইন্টারনেট ব্যাবহারকারী বাংলাদেশ। তারপরও ভারতে ইন্টারনেট রপ্তানীর জন্যে টেন্ডার আহবান করা হয়েছে।
সেই সাথে ভিস্যাট ব্যাবহারে বাধা সরকারের।
কাল না বিদ্যৎ রফতাণীর টেন্ডার না দিয়ে বসে :(

Click This Link

ইসরাইল নাকি বাংলাদেশ কে প্রথম স্বিকৃতি দিয়েছে :-)
ভারতের দূতাবাসে এখনও ভারতী্য় পুলিশ পাহারা দিচ্ছে।
ভারতকে দেয়া হল টেলিকরিডোর :

কেন এই রপ্তানীঃ ভারতকে এবার টেলিকরিডোর দেয়া হচ্ছে। ভারতী এয়ারটেল ও রিলায়েন্স কমিউনিকেশন্স যৌথভাবে বিটিআরসির কাছে বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে উত্তর-পূর্ব ভারতে ফাইবার অপটিক নেটওয়ার্কের টেলিকরিডোর স্থাপন করার অনুমতি চাওয়ায় সরকার এ বিষয়ে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এখন শুধু আনুষ্ঠানিকতা বাকি। তবে এ বিষয়ে কঠোর গোপনীয়তা রক্ষা করা হচ্ছে।

এয়ারটেল গত বছরের শেষ দিকে টেলিকরিডোর দেয়ার আবেদন করে। জানা গেছে, এ করিডোর দিয়ে তারা ফাইবার অপটিক ক্যাবল স্থাপন করে উত্তর-পূর্ব ভারতের ৭ রাজ্যের সঙ্গে টেলিযোগাযোগ সহজ ও সস্তা করতে চায়। তারা আসামে টেলিকরিডোরের জন্য দুটি রুটের প্রস্তাব দিয়েছে। এর মধ্যে একটি হলো কলকাতা-মেহেরপুর-ঢাকা-জাফলং এবং অন্যটি কলকাতা-মেহেরপুর-ঢাকা-কুমিল্লা-আগরতলা রুট। বর্তমানে উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলো ভিস্যাটের মাধ্যমে ভারতের কেন্দ্র ও বহির্বিশ্বের সঙ্গে যুক্ত, যা খুবই ব্যয়বহুল। এবং বর্তমানের এই সাজানো টেন্ডারে এই কোরিডোরে ব্যাবন্ডউইথ দেয়া হবে অর্থাৎ ভারতে ইন্টারনেট রফতানী করা হবে। এর মাধ্যমে উত্তর-পূর্ব ভারতে টেলিযোগাযোগ, ইন্টারনেট ইত্যাদি সস্তা হবে ও বিনিময়ে বাংলাদেশ কিছু চার্জ বা ভাড়া পাবে। উল্লেখ্য টেন্ডারের ব্যান্ডউইথের স্টন্ডার্ড প্রাইস ধরা হয়েছে বর্তমানে দেশে ব্যান্ডউইথের মূল্যের তিন ভাগের এক ভাগ।

এই চক্রের কর্তাদের তালিকাঃ

১. জনাব রাজিউদ্দিন আহাম্মে রাজু, মাননীয় ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী।
২. জনাব সুনিল কান্তি বোস, সচিব ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রনালয়।
৩. মেজর জেনারেল অব জিয়া আহাম্মেদ পিএসপি চেয়ারম্যান বিটিআরসি (বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরী কমিশন)
৪. জনাব সুনিল কান্তি বোস, চেয়ারম্যান টেলিটক বাংলাদেশ লিঃ।
৫. জনাব সুনিল কান্তি বোস চেয়ারম্যান বাংলাদেশ সাবমেরিন কম্পানী লিঃ
৬. জনাব সুনিল কান্তি বোস, সভাপতি ন্যাশনাল ফ্রিকোয়েন্সি এলোকেশন কমিটি।
৭. জনাব সুনিল কান্তি বোস, চেয়ারম্যান বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ ক্যাবল শিল্প
৮. হাসানুল হক ইনু এমপি, চেয়ারম্যান সংসদীয় কমিটি ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রনালয়।


পানিসম্পদ মন্ত্রী রমেশ চন্দ্র সেন বলে বসেছেন, ভারতের বদৌলতে কিছু পরিমাণে হলেও পানি যে পাওয়া যাচ্ছে

সেটাই নাকি আমাদের ‘সৌভাগ্য'

এবং এতেই আমাদের খুশি থাকা উচিত! মন্ত্রী আরও বলেছেন, ভারত নাকি উজানে পানি প্রত্যাহার করছে না! এ এক অতি চমৎকার ‘আবিষ্কার' বটে! রমেশ চন্দ্র সেনকে তাই বলে দোষ দেয়া যাবে না। কারণ, তিনি তার পূর্বসুরীকে অনুসরণ করেছেন মাত্র। স্মরণ করা দরকার, ১৯৯৮ সালে ভারত ফারাক্কাসহ বিভিন্ন বাঁধের গেট খুলে দিয়ে বাংলাদেশকে তলিয়ে দেয়ার পরও তখনকার পানিসম্পদ মন্ত্রী আবদুর রাজ্জাক বলেছিলেন, ‘উজান' দেশের পানিতে ‘ভাটির' দেশ বাংলাদেশকে সব সময় ‘ডুবতেই' হবে! এমনটাই ভারতের ব্যাপারে আওয়ামী লীগের মনোভাব।

এমন মন্তব্যের যৌক্তিকতা বুঝতে হলে শুরুর দিকে দৃষ্টি ফেরাতে হবে। বস্তুত স্বাধীনতা-পরবর্তী প্রথম আওয়ামী লীগ সরকারের আমলেই ভারতের পানি আগ্রাসন শুরু হয়েছিল। এর উপলক্ষ তৈরি করেছিল ১৯৭৪ সালের মুজিব-ইন্দিরা চুক্তি। সে বছরের ১৬ মে ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গাীর সঙ্গে স্বাক্ষরিত চুক্তির ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমান ফারাক্কা বাঁধ চালু করার ব্যাপারে সম্মতি দিয়েছিলেন। কথা ছিল, ফারাক্কা বাঁধ সম্পূর্ণরূপে চালু করার আগে শুষ্ক মৌসুমে প্রাপ্ত পানির পরিমাণ নিয়ে উভয় পক্ষ যাতে সমঝোতায় আসতে পারে সেজন্য ভারত প্রথমে পরীক্ষামূলকভাবে ফিডার ক্যানেল চালু করবে। কিন্তু ৪১ দিনের পরও ভারত ফিডার ক্যানেল দিয়ে পানি সরানো অব্যাহত রাখে এবং বাংলাদেশের সঙ্গে কোনো চুক্তি না করেই ১৯৭৬ সালের শুষ্ক মৌসুমে একতরফাভাবে গঙ্গার পানি নিয়ে যায়। এর ফলে বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে পানির তীব্র সংকট দেখা দেয়। এর প্রধান কারণ ছিল ফিডার ক্যানেল দিয়ে ভারতের পানি সরিয়ে নেয়া।

এভাবেই শুরু হয়েছিল ভারতের পানি আগ্রাসন। এর প্রতিবাদে মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানীর উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয়েছিল ঐতিহাসিক ‘ফারাক্কা মিছিল' (১৬ মে, ১৯৭৬)। ১৯৯৬ সালে, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর। সে বছরের ১২ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগ সরকার ভারতের সঙ্গে ৩০ বছর মেয়াদী গঙ্গার পানিবন্টন চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাষায় এটা ছিল এক ‘ঐতিহাসিক চুক্তি।'
কিন্তু চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার পর পর, ১৯৯৭ সালের মার্চেই ভারত আগ্রাসনকে আরো প্রচন্ড করেছিল।**নীচে মন্তব্য দ্রষ্টব্য**
হরতাল হবে।
বিএনপি হরতালে সমর্থন পাবে কিন্তু এটা বুঝবে না যে মানুষ বিএনপির পক্ষে না। মানুষ আওয়ামিলীগের বিপক্ষে। দেশের মানুষ হাড়ে হড়ে টের পাচ্ছে যে তারা স্বাধীণ না, কোন কালেও ছিল না । শুধু তারা বুঝতে পারছে না যে তারা আসলেই পরাধীণ। কনফিউজড জাতি। দেশ নিয়ে যদি বলি রাজনিতীবিদ রা দেশের কথা ভাবে না। তামনি এটাও ঠিক যে বাংলাদেশের মানুষ নিজেরাও দেশের কথা ভাবে না। সবাই যার যার ব্যাক্তিগত অবস্হান আর দর্শন থেকেই মতামত দেয়। চিলে কান নিয়ে যায় , সেটা শুধু এই দেশেই সম্ভব।
ঘুম পাড়ানি মার্কা জাতীয় সংগীত গেয়ে দেশাত্ববোধ বেশী জাগে না, ঘুমটাই বেশী আসে। মানুষ পরিবর্তন দেখতে চায় কিন্তু করতে চায় না। ২৭ তারিখের হরতালটাও তাই হবে। মানুষ চাবে বিএনপিই করুক কারণ কেও দেশের দায় ভার নিজের কাধে নিতে চায় না, শুধু ভাল থাকতে চায়। কেও ভাবে না যে দেশটা নিজের। তার টাকায় দেশ চলে । সরকার চলে। প্রধাণমন্ত্রী দেশের রাজা , মহারাজা না তাদের আমরা বেতন দেই। তামনি বেতন দেই বিরোধী দলের সাংসদ দেরও। বেতন দেই কারন তারা আমাদের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করবে। চাকর আর ড্রাইভার কে সংসারের কর্তা বানালে যেমন ঘর পাওয়া যাবে। বাংলাদেশটাও ঠিক তাই।

দু টাকা ভাড়া বেশি চাইলে যদি রিক্সা ওয়ালা থাপ্পর খায়, দু'শ টাকা চুরি করলে যদি গণপিটুনিতে পকেটমারের লাশ পড়ে তাহলে হাজার হাজার টাকা চুরি, বেঈমানি করে যারা আপনাদের ঠকাচ্ছে বার বার কেন তাদের কিচ্ছু বলেন না। কেন যারা দায়ী তারা বেচে যাচ্ছ বার বার ?
আমরা আসলেই ভন্ড একটা জাতি। মারাত্মক ভন্ড।

যারা দেশের শত্রু তারাই রাজাকার, নব্যরাজাকারদের বিচারও কি আরও ৩০ বছর পড় চাইবেন নাকি এখনি???

না চাইলে অপেক্ষা করতে থাকেন, তবে সেনা হত্যা, ত্রাণচুরি, বাজেট এর নামে শুল্ক ফাকি, টিপাইমুখি, এশিয়ান হাই ওয়ে, বিদেশে অর্থ পাচার, রাজনইতিক হত্যা, দেশের সাথে প্রতারণা এমন অনেক কারণেই একদিন এই আওয়ামী, বিএনপি এর বিচার আপনারা চাইবেন কিন্তু আরও ৩০ বছর লাগবে এই আর কি।

৭ কোটি মানুষের সাথে প্রতরণার থেকে ১৬ কোটি মানুষের সাথে প্রতারনা বেশী অন্যায় মনে করি। তাই ৩০ লাখ হ্ত্যার থেকে ১৫ কোটি মানুষকে জিবন্ত লাশ বানায় রাখা কি কম অন্যা্য়?

আবার ১/১১ এর আশায় থাইকেন না। সেনাবাহিনী দেশের উন্নতির থেকে নিজেদের উন্নয়ন নিয়ে বেশী ব্যাস্ত। ভারতীয় দালাল, পাকিস্তাণের দালাল, আওয়ামির দালাল, বিএনপির দালাল, তত্বাবধায়ক সরকারের দালাল, সুশীল সমাজের দালাল সব রকমের দালাল দেখলাম। বাংলাদেশের বা বাংলার মানুষের একটা দালাল খুজে পেলাম না।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১১:২৩
৮৮টি মন্তব্য ৬৩টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমার প্রফেশনাল জীবনের ত্যাক্ত কথন :(

লিখেছেন সোহানী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৫৪



আমার প্রফেশনাল জীবন বরাবরেই ভয়াবহ চ্যালেন্জর ছিল। প্রায় প্রতিটা চাকরীতে আমি রীতিমত যুদ্ধ করে গেছি। আমার সেই প্রফেশনাল জীবন নিয়ে বেশ কিছু লিখাও লিখেছিলাম। অনেকদিন পর আবারো এমন কিছু নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি ছবি ব্লগ ও ছবির মতো সুন্দর চট্টগ্রাম।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৮


এটি উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বা কোন বিদেশী মেয়ের ছবি নয় - ছবিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সংলগ্ন রাঙামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির একটি ছবি।

ব্লগার চাঁদগাজী আমাকে মাঝে মাঝে বলেন চট্টগ্রাম ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×