somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

নির্জলা ফান পোস্টঃ- প্যারোডি কবিতা! (পড়লে মজা, না পড়লে আরো বেশি মজা)

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:২৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



এইখানে তোর দাদীর ব্লগ, নাম হলো তার সামু;
কত দিন যে করেছে ব্লগিং সেইটা কি আর কমু!
এতটুকু হতে, ব্লগেনু হেতে, ক্ষুধা পেটে নিয়ে ভুখ;
একটা পোস্ট তার হিট না হইলে পেত যে কতই দুখ!
এখানে ওখানে কত দিক হতে তথ্য আনিয়া ঘেটে,
তারপর সেটা সাঁজিয়ে গুছিয়ে পোস্ট করিত নেটে।
অনেক সময় পোস্ট দিতে গিয়ে এমবি হইতো শেষ,
তখন আবার আমি ছুটিতাম দোকানের দিকে বেশ।

একজিবি নেট কিনিতে গিয়া নাজেহাল হইতাম কত,
এইটা দেখিয়া শাশুমা আমার তামাশা করিত শত।
এমনই করিয়া, ব্লগাইতে গিয়া, কত স্মৃতি গেছে মিশে;
ছোট খাটো তার দাবি মিটাইতে হারা হয়ে গেনু দিশে।
বাপের বাড়িতে যাইবার কালে শাসাইয়া যাইতো মোরে,
সপ্তাহে যদি লোড করে না দাও, থাকিতে দিবো না ঘরে!
ঝন্টুর হাটে কদবেল বেচি যা কিছু হইতো পুঁজি,
লোড দিতে মোর হইতো না দেরি, কষ্টে দোকান খুঁজি।

শুধুই কি লোড? আরো কত নোট, লইয়া নিজের গাঁটে;
হুটপাট করে ছুটিয়া যাইতাম শশুর বাড়ির বাটে।
কেঁদো না কেঁদো না শোন দাদু সেই লোড-নোট গুলি পেয়ে,
দাদী যে তোমার কত ঝাঁড়ি দিতো দেখতিস যদি চেয়ে!
আঙুল তুলিয়া, ভেংচি কাটিয়া, কহিতো আমারে 'বুদ্ধ',
আর একদিন দেরি করিলেই লাগাইয়া দিতাম যুদ্ধ।
ঝুঁটি নেড়ে নেড়ে, আসিতো সে তেড়ে, আমারই মুখের পানে;
ভয় পেয়ে আমি লুকাইয়া যাইতাম হয়তো ঘরের কোনে।

ঊরে-ঊরে-ঊরে, কেমনে সে মারে, দুড়ুম দাড়াম কিল;
মাঝে মাঝে তার হাত ব্যাথা হলে খুলিয়া আনিতো খিল।
কেমনে তোমারে বলিযে সে কথা, তুমি তো এখনো ছোট,
শীতের রাতে বাহিরে রাখিতো করিতো সে খটোমটো।
যেই সামু নিয়া, আমারে রাখিয়া, করিতো কতযে ছল;
সেইখানে তুই আইডি খুলবি, সাহস দিছে কে বল?
নিশ্চই সেই ডাইনি বুড়িটা লেগেছে তোর ঐ পিছে,
একদম তুই শুনবিনা কথা এখানে সব যে মিছে।
আমি মরিয়াছি তাই বলে তোরে মারিবোনা অথৈ জলে,
দরকার হলে দুইজন মিলে ডুবিয়া মরিবো খালে।

হাত জোড় করে দোয়া মাঙ দাদু, আয় খোদা! দয়াময়;
সামুতে যেন, কোন কালে মোর আইডি খুলিতে না হয়!

দৃষ্টি আকর্ষণঃ- প্রথমত এটি একটি নেই কাজ তো খঁই-ভাজ টাইপের পোস্ট। খুব শীঘ্রোই একটা তথ্যবহুল পোস্ট করার ইচ্ছা আছে, কিন্তু ভাবলাম তার আগে সবার সাথে একটু মজা করি। আর দ্বিতীয়ত অনেকেই হয়তো বলতে পারেন- 'কবর' খুব হৃদয় বিদারক একটা কবিতা, সুতরাং ঐটা নিয়া প্যারোডি করাটা বোধ হয় ঠিক হয় নাই। শুধুমাত্র তাদের জ্ঞাতার্থে বলতে চাই, প্যারোডি করা মানেই কিন্তু কোন জিনিসকে কম ভালবাসা নয়। বরং সেটাকে আরো বেশি বেশি করে মনে করা।

তাছাড়া পল্লীকবি জসিম উদ্দিনের লেখা 'কবর' আমারও খুব প্রিয় একটা কবিতা। আর প্রিয় কোন বিষয় নিয়ে মাঝে মাঝে একটু মজা তো করাই যায় কি বলেন? সুতরাং পোস্টটাকে সিরিয়াসলি না নিয়ে, শুধুমাত্র মজা হিসাবে নিলেই সব থেকে বেশি খুশি হবো।

তবে যারা পুরাতন ব্লগার আছেন, তারা হয়তো কবিতাটি এর আগেও একবার পড়ে থাকতে পারেন। কিন্তু কই পড়ছেন, কোথায় পড়ছেন আপাতত সেটা চাইপ্পা যাওয়াই ভাল। বেশি কিছু কওনের কাম নাই, প্রয়োজনে আপনারে আমি চকলেট কিনে খাওয়ামু; তাও আপনার পিলিজ লাগে ঘটনাটা পুটেশ (পাবলিশ) কইরেন না.....!!
;)

বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ- টাইপিংয়ের ভুলের কারনে হয়তো অনেক জায়গায় বানানে ভুল থাকতে পারে। সেটাকে বিবেচ্য বিষয় হিসাবে না ধরে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখলে কৃতার্থ হবো! তাছাড়া এতক্ষণ যাবত সাথে থেকে এবং কষ্ট করে পোস্টটা পড়ার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ এবং অভিনন্দন! হ্যাপি ব্লগিং....!! !:#P
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:২৭
৩৭টি মন্তব্য ৩৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের মুমিনী চেহারা ও পোশাক দেখে শান্তি পেলাম

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৫৮



স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে স্টেজে উঠেছেন বত্রিশ মুক্তিযোদ্ধা তাঁদের চব্বিশ জনের দাঁড়ি, টুপি ও পাজামা-পাঞ্জাবী ছিলো। এমন দৃশ্য দেখে আত্মায় খুব শান্তি পেলাম। মনে হলো আমাদের মুক্তিযোদ্ধা আমাদের মুমিনদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের দুই টাকার জ্ঞানী বনাম তিনশো মিলিয়নের জ্ঞানী!

লিখেছেন সাহাদাত উদরাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ২:৫৯

বিশ্বের নামীদামী অমুসলিমদের মুসলিম হয়ে যাওয়াটা আমার কাছে তেমন কোন বিষয় মনে হত না বা বলা চলে এদের নিয়ে আমার কোন আগ্রহ ছিল না। কিন্তু আজ অষ্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত ডিজাইনার মিঃ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×