somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ঠিক সন্ধ্যে নামার মুখে, দুঃখ নামে কেন

১২ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১২:০৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ফড়িংটা দেখতে সুন্দর। বাঘের মতন ডোরা কাটা গা। পাখা দুটো কারুকাজ করা। অনেক পাতলা। একটা ঘাসের ডগা থেকে অন্য একটা ঘাসের ডগায় উড়াউড়ি করছে। কখনো কখনো শূন্য থেকে একটু ঢুঁ মেরে আসছে। আমি হাত পা ছড়িয়ে শুয়ে আছি জগন্নাথ হলের মাঠের কোণায়। ঘাসের পরিমাণটা এখানটায় অনেক বেশি। শুধু বেশিই না অনেক স্বাস্থ্যবান ঘাসগুলো। সতেজও। অনেকক্ষণ ধরে ফড়িং এর উড়াউড়ি দেখছি। বিকেল হয়ে আসছে। অনেক ফড়িং উড়ছে চারপাশে। ফড়িং এর সুন্দর কাব্যিক একটা নাম আছে। সুদর্শন। জীবনানন্দ দাশের কবিতায় পাওয়া যায় এই নাম। সুদর্শন উড়িতেছে সন্ধ্যার বাতাসে।

আকাশে তাকালাম পরিষ্কার আকাশ। এই সময়টাতে প্রচুর চিল উড়ে আকাশে। টিএসসি আর জগন্নাথ হলের আকাশের উপর এদের বিচরণ ব্যাপক। ধীরেধীরে অথচ চমৎকার সব নকশায় আকাশটাকে মাতিয়ে রাখে। কোন তাড়াহুড়ো নেই। পাখা ঝাপটানো নেই। কেমন চুপচাপ ভেসে থাকা। যেন অফুরন্ত সময়ের সাথে মিশে যাওয়া। একাকার হয়ে যাওয়া কোন অপার্থিব জীবন।
আমার কোন কারণ ছাড়াই মন খারাপ হয়ে যায়। আবার কোন কারণ ছাড়াই মন ভালো হয়ে যায়। আকাশে চিলের উড়াউড়ি দেখলে আমার মধ্যে প্রবল বিষণ্ণতাবোধ কাজ করে। কোন কিছুই ভাললাগার পথে চলে না। ইচ্ছে করে সব ছেড়ে ছুড়ে দূরে চলে যাই। অনেক দূরে। একটা দ্বীপে গিয়ে বসত গড়ি নির্জন একটা দ্বীপে। আমার আনন্দের জীবন কোথায় অপেক্ষা করছে জানিনা। তবে আমি কল্পনায় যে জগতের অধিকারী সেখানে প্রচুর আনন্দ। প্রচুর।
আমার ভুবন। আমার পৃথিবী। আমার অস্তিত্ব সব জুড়ে একটা জিনিসেরই প্রাধান্য বেশি। সবার মাঝে থেকেও নিঃসঙ্গ থাকা। আমি এটা পারি।
একাকী ঘরে ফেরা চিলটার মতন আমার ভেতরে কোন দুঃখবোধ কাজ করে না বরং আমি অনেক আনন্দে বাঁচি।
আমার ভেতরের আমিটাকে খুব কম জনই চেনে, জানে। আমি নিজেও সবসময় দ্বন্দ্বে থাকি কোনটা আসল আমি আরর কোনটা আমার খোলস।
প্রতিটা প্রাণীই যেমন হাহাকার বুকে নিয়ে বড় হয় তেমনি আমার ভেতরেও হাহাকার বাস করে। প্রবল হাহাকার। আরণ্যক কিছু দুঃখ আর একবন শুভ্র সফেদ আনন্দ বুকে নিয়ে আমি ছুটছি। কোথায়, কেন ছুটছি জানিনা। কেবলই ছুটে চলা।

আমি উঠে বসলাম। সূর্য ডুবতে বসেছে। অন্ধকার বাড়ছে আর কৃত্রিম আলোর দ্বীপগুলোও জ্বলছে। চিলেরাও ফিরতে শুরু করেছে নীড়ের দিকে।
কেমন একটা হাহাকার দলা পাকিয়ে উঠছে গলার কাছে আমার। কোন কারণ ছাড়াই। এ কেমন অনুভব, বেঁচে থাকা। জীবন মানে কী শুধুই প্রাণ রসায়ন?? কেন এইসব অনুভূতি হয়??
আমি হলে ফেরার পথ ধরলাম। মনে হলো কিছু একটা ফেলে যাচ্ছি। কোন একটা জীবন... ফড়িঙ কিংবা চিলের.. অথবা অজ্ঞাতসারে ফুটে থাকা ঘাসফুলটির..
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। মুক্তিযোদ্ধা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১



মুক্তিযুদ্ধের সঠিক তালিকা প্রণয়ন ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা প্রসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘দেশের প্রতিটি উপজেলা পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটি রয়েছে। তারা স্থানীয়ভাবে যাচাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতীয় রাজাকাররা বাংলাদেশর উৎসব গুলোকে সনাতানাইজেশনের চেষ্টা করছে কেন?

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৪৯



সম্প্রতি প্রতিবছর ঈদ, ১লা বৈশাখ, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, শহীদ দিবস এলে জঙ্গি রাজাকাররা হাউকাউ করে কেন? শিরোনামে মোহাম্মদ গোফরানের একটি লেখা চোখে পড়েছে, যে পোস্টে তিনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি করাটা প্রফেসরদেরই ভালো মানায়

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৩


অত্র অঞ্চলে প্রতিটা সিভিতে আপনারা একটা কথা লেখা দেখবেন, যে আবেদনকারী ব্যক্তির বিশেষ গুণ হলো “সততা ও কঠোর পরিশ্রম”। এর মানে তারা বুঝাতে চায় যে তারা টাকা পয়সা চুরি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঘুষের ধর্ম নাই

লিখেছেন প্রামানিক, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৫


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

মুসলমানে শুকর খায় না
হিন্দু খায় না গাই
সবাই মিলেই সুদ, ঘুষ খায়
সেথায় বিভেদ নাই।

হিন্দু বলে জয় শ্র্রীরাম
মুসলিম আল্লাহ রসুল
হারাম খেয়েই ধর্ম করে
অন্যের ধরে ভুল।

পানি বললে জাত থাকে না
ঘুষ... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইরান-ইজরায়েল দ্বৈরথঃ পানি কতোদূর গড়াবে??

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:২৬



সারা বিশ্বের খবরাখবর যারা রাখে, তাদের সবাই মোটামুটি জানে যে গত পহেলা এপ্রিল ইজরায়েল ইরানকে ''এপ্রিল ফুল'' দিবসের উপহার দেয়ার নিমিত্তে সিরিয়ায় অবস্থিত ইরানের কনস্যুলেট ভবনে বিমান হামলা চালায়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×