আজকের সন্ধ্যাটা উৎসবের মধ্যে থেকেও কেমন বিষণ্ণ। কেমন চুপচাপ লাগছে। নিজের ভিতরে ডুব দিতে ইচ্ছে করছে। কেমন একটা হাহাকার কুঁড়ে খাচ্ছে। মনে হচ্ছে কোথাও কোন সুর কেটে গেছে। ঠিক জমছে না জীবনের গানগুলো। কতদিন হলো নিজের মুখোমুখি বসা হয় না, অন্তর আয়নায় দেখা হয়না নিজের মুখ। আজ দিনটা কেমন করে কেটেছে নিজেও জানিনা। গত কয়েকদিন ধরেই কেমন কাটছে আমি এর ব্যাখ্যা জানিনা। ব্যাখ্যার বাইরের এক জীবনে আছি।
কাউকে বললে হয়তো বলবে সুখে আছি তো তাই ভুতে কিলাচ্ছে। কিন্তু আমিতো জানি আমার ভেতরে কি ঘটে, ঘটছে।
নিজের অনুভূতি, অনুভব অন্যের কাছে প্রকাশ করাটা এক ধরণের ছ্যাছড়ামি।এই বিবেচনায় আমি খুব বড় মাপের ছ্যাছড়া। এসব অনুভূতি কী সবার হয়?
আমার খুব দ্রুতই মন খারাপ হয়। কিন্তু খুব দ্রুত তা ভাল হয় না। মন খারাপ হলে কত কিছু করি আমি।
এই রকম সন্ধ্যাগুলোতে অদ্ভুত রকম বন্ধুহীনতায় ভুগি। সবার মাঝে থেকেও কেমন একা হয়ে যাই। ভেতরটা পুড়ে খাক হয়ে যায়। খুব ইচ্ছে করে কেউ একজন কাঁধে হাত রেখে বলুক, " কিরে পাগলা, তোর মন খারাপ কেন?" কেউ একজন এসে বলুক, " চলো হাঁটতে বের হই।"
কিন্তু কেউ আসেনা।আমি জানি কোনদিনও আমার এই স্বপ্নটা পূরণ হবেনা। তবু বেঁচে থাকার তাগিদে আর আপন মানুষগুলো চোখের স্বপ্নটার জন্য অবিরাম ছুটে চলা।
মাঝে মাঝে মনে হয়, এই ঘাসফড়িঙ এর মতন জীবনটাও মন্দ কীসে। চলুক জীবন, আমার কোন তাড়াহুড়ো নেই। চলুক...