জীবন নিয়ে সবারই কিছু না কিছু ভাবনা আছে। থাকে। থাকতে হয়। তবে আমার দেখা বেশিরভাগ মানুষের জীবন কেবলই ভবিষ্যৎ আর তার সুখ কল্পনাকে কেন্দ্র করেই। হবেইবা না কেন। আমার চারপাশ জুড়ে তো কেবল বিশ্ববিদ্যালয় এর স্বপ্নাকুল চোখ। যে চোখে রঙিলা প্রজাপতির উড়াউড়ি। তবে এমন দু একজনও আছে যারা জীবন নিয়ে কিছুই ভাবেননা। চরম নির্মোহ। হিংসে হয় তাদের।
আমাদের চারপাশে কেবলই গতানুগতিক প্রহেলিকা। কেউ নিয়মের বাইরে কিছু করলেও তার দিকে আঙুল তুলে অপমান করাটাও একটা নিয়ম। সবাইকেই কেন জীবন যাপন করতে হবে? কেউ কেউ তো জীবনকে উপভোগ করতেও আসতে পারে পৃথিবীতে। আশেপাশের মানুষদের দেখলে কেমন মুষড়ে পড়ি আমি। সবাই কেবল ছুটছে। কেবলই ছুটছে।কারোর একটু সময়ও হয়না পথের পাশে ফুটে থাকা ঘাসফুলটিকে ছুঁয়ে দেখার। কিংবা একফোঁটা স্নিগ্ধ শিশির কি করে মিলিয়ে যায় বাতাসে সেই সুখটুকু পেতে। কিসের পেছনে এত ছুটে চলা। টাকা আর সুখ। যদিও দুটো একসাথে টিকতে পারেনা। তবুও এ দুটিকে মেলাতে মানুষের কী আপ্রাণ চেষ্টা।
সবাই আমরা বৃত্তের ভেতর বন্দী। আমরা জানিনা, কোথায় এর শেষ। তবুও আমরা বৃত্তকে ছুঁয়ে ছুঁয়ে ঘুরি নিত্য।
এসব ভাবলে আমার ভেতর চরম হাহাকার জন্ম নেয়। নিজেকে ক্ষুদ্র মনে হয়। তুচ্ছ মনে হয়। যেমন তুচ্ছ মনে হয়েছিল সমুদ্রের মুখোমুখি দাঁড়ানোর সময়। একটাইতো জীবন আমার। এত ছোট কেন জীবন? কচুপাতার পানির মত টালমাটাল এ জীবন কতক্ষণ আমার?
য পলিয়তি, স জীবতি। যে পালায় সে বাঁচে। মাঝেমধ্যে খুব পালাতে ইচ্ছে করে জীবন থেকে। পারি না কখনওই। মৃত্যু এত সহজ নয়। তখন মনে হয় একই সাথে জীবনকে ঘৃণা করা এবং ভালবাসা যায়।
আমি বুনো হয়ে যাব। ছন্নছাড়া বাউণ্ডুলে...
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা জুন, ২০১৭ রাত ২:৪৬