যারা লেখে, তারা সকলে নারী নয়। পুরুষ, তরুণ, বৃদ্ধও আছে তবে এদের আক্রমণের ভঙ্গি খোচাখুচি। শরতবাবুর গ্রাম্য নারীকে এই শহরের লেখকদের মাঝে দেখা যায়। প্রতিবছর কুকুরও বাচ্চা দেয় না কিন্তু প্রতিষ্ঠান পুরস্কার দেয়, তার জন্য কতো মিথ্যা জন্ম!
বসন্ত আসলে কাককে কোকিলের দায়িক্ত নিতে হয়, গৃহস্থ স্বামীও পুরাতন স্মৃতির স্তুপকে কাব্যগ্রন্থে রূপ দিয়েই ক্লান্ত আর দুর্বল, অসহায়, ইগোবন্ধী কবিতার বই এর সংখ্য বৃদ্ধি করে।
(আমলা/মাস্টার/ সাংবাদিক/ কৃষক/ মানসিকরোগের ডাক্তার/ লীগের সন্তান/দলের শিশু/ ধর্মপাপী/কূটজীবি/টক-জীবি/বেকার/আকার/সকার) কবি। এমন কোন পেশা নাই যেখানে কবি নাই কিন্তু এমন কবি দেখতে পারি নাই, যিনি প্রকৃত পুরুষ কিংবা মানুষের মতো মানুষের/ সময়ের সমস্যা সমাধানে হাত লাগিয়েন।
সাহসী পুরুষের কবিতা লিখছে সময়ের সবচেয়ে ভীতু গৃহস্থ স্বামী। সাহসী লেখার জন্য রাজনৈতিকভাবে যারা প্রকাশ করছে, তারা প্রকাশ্য রাজনীতি কিংবা প্রতিবাদ থেকে সরে গল্প লেখায় মন দিয়েছে।
তাই সাহসী পুরুষের মতো কোন লেখককে রাগতে দেখলে ভাল লাগে। প্রকাশ্য প্রতিবাদ দেখলে ভাল লাগে।
লেখক/কবি/ গায়ক/ শিল্পী হবার আগে মানুষ হওয়ার দরকার। সাহসী মানুষ।
আন্তর্জাতিক হওয়ার আগে জাতিকে দেখবার আছে, মূল বুঝিবার আছে।
পন্ডিত সমাজ, বুঝিবার কম আমাদের অতিরিক্ত, শুধু সাহসীর কমতি আছে।
হয়তো কোন এক তরুন লেখক সাহসী পুরুষের ভূমিকায় রক্ত ছড়িয়ে দিবে, যার স্পর্শ থেকে জন্ম নিবে সত্যফুল আর প্রকাশ করবে, কবি কিংবা নবী ; কেউ মানুষের থেকে বড় নয়।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই মে, ২০১৮ রাত ১১:১৯