somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

গল্পঃ এক বিকেলে বৃষ্টির বান্ধবীর সাথে- পর্ব ৩ (খানিক রম্য) B-) B-) B-)

৩১ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ১০:৫১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বিকেলে ছাদে এসে পৌঁছতেই মোবাইলের টেক্সট টোন টা বেজে উঠলো। আলাদা করে রিং টোন সিলেক্ট করে রাখায় বুঝতে দেরি হলনা যে এটা বৃষ্টির টেক্সট। বৃষ্টির টেক্সট গুলো দেখার আগেই আমি একটা প্রিয়াজামশান করে নিতে পারি। কালে ভাদ্রে দুএকটা টেক্সট সে আমাকে করে আর সেই টেক্সট গুলো হয় আদেশ অথবা নির্দেশসূচক। ‘আজ বিকেলে যেন আপনাকে ছাদে না দেখি’। কারন!!?? হুম খুব সহজে ধরে ফেলেছি। সকাল বেলা বৃষ্টির বাসায় টুম্পাকে আসতে দেখেছিলাম। টুম্পা বৃষ্টির সার্কেলের সবচেয়ে সুন্দরী বান্ধবীটি। মুরুব্বিরা বলে থাকে, মেয়েরা নাকি সুন্দরী মেয়েদের হালকা পাতলা হিংসা করে থাকে B-) আর বিশেষ করে যেসব ছেলেদের মেয়েরা হালকার উপর ঝাপসা টাইপ পছন্দ করে তাদের সামনে মেয়েরা তাদের সুন্দরী বান্ধবীটিকে নিয়ে যেতে চায়না :D মেবি ইন্সেকেউর ফিল করে। শোনা কথা। তাই শোনা কথায় কান না দেয়াই ভাল  না বৃষ্টির সাথে আজ ঝগড়াটা মধুর হবে না ভেবেই ছাদ থেকে নামতে যাব এমন সময় দেখলাম ঠিক ছাদের দরজায় বৃষ্টি ও টুম্পা দাঁড়িয়ে আছে। আমাকে দেখে টুম্পার গাল ভর্তি হাঁসি দেখলেও খুব ভাল করে খেয়াল করলাম বৃষ্টির চোখ ভর্তি আগুন।

-কেমন আঁচেন বাইয়া? বালো আঁচেন?

এখানেই গণ্ডগোল। টুম্পা মেয়েটা অনেক সুন্দরী। ভিডিও মাশাল্লাহ দেখার মত। কিন্তু অডিও খুললেই শেষ। আমাদের চট্টগ্রামবাসীদের দীর্ঘবর্ণ হ্রস্ববর্ণ উচ্চারণে সমস্যা জগদ্বিখ্যাত হলেও তার মধ্যে আবার কক্সবাজারবাসীদের একটু বেশিই সমস্যা। তাই এদিককার বাসিন্দা হয়েও টুম্পার কথা বুঝতে আমার একটু কষ্ট হয় বৈকি। আর রিয়াজুদ্দিন বাজারের বিশিষ্ট কাপড়ের ব্যবসায়ীর একমাত্র মেয়ে হওয়াতে সেও একটু আহ্লাদ দেখায় কথা বলে এই যা।

-হ্যাঁ ভাল।আপনার কি খবর?
-আমিও অনেক বালো। জানেন বাইয়া নেক্সট ওয়িক আমার বাইয়ের বিয়ে। অনেক মজা করব সেই বেবে বালো লাগছে।
-অহ আচ্ছা।
-বিস্টিকে দাওয়াত করলাম। কিন্তু অর দাদি তো ওকে যেতে দিবে না। এমন পাদ পেদেছি যে দাদি রাজি হয়ে গেল!!!

ইয়াক। বৃষ্টির দাদী বয়স্কা একজন মানুষ তার সামনে পাদ টাদের কথা ক্যামনে বলছে এই মেয়ে? আর পাদই বা কেন দিতে হবে ভেবেই বললাম-
-পাদ???
-ওহ বাইয়া পাদ না পাদ না। পাদ পাদ। আমি পাদের কথা বলছি।

নকশী পাঁড়ের মানুষেরা নামক একটা বইতে এরকম একটা লাইন পড়েছিলাম যে বাসায় পড়াতে আসা শিক্ষক তার ছাত্রী কে জিজ্ঞেস করছে “তুমি স্যারকে ষাঁড় বল কে?”। ছাত্রী উত্তরে বলেছিল “কই ষাঁড়!!”। এখানে টুম্পার অবস্থা ঠিক তাই। তাই বেসিক নলেজ কাজে লাগিয়ে বলে উঠলাম-
-ওহ ফাঁদ!!!
-জী বাইয়া। জী বাইয়া পাদ আর কি! আমাদের চাঁদে ফ্যানডেল করে করে বিশাল গায়ে হলুদের পোগ্রাম হবে।

চাঁদে এখুনো মানুষের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। তাই সেখানে গায়ে হলুদের প্রোগ্রাম হওয়া কোন মতেই সম্ভব না। আর চাঁদ বলার প্রিফিক্স আর সাফিক্স কাজে লাগিয়ে বুঝে নিলাম টুম্পা তাদের বাসার ছাদের কথায় বলছে।
-ওহ ছাদে? হুম ভাল।

না এই মেয়ের সাথে বেশি কথা বলা যাবে না। এমনিতেই কথা একটু বেশি বলে। তার উপর তার কথা বুঝতে দেমাগ পে জোর দিতে হয়। কিন্তু কারো চোখের আগুন বাড়িয়ে দেয়ার এই মাউকাও হাত ছাড়া করতে ইচ্ছে করছে না। তাই নিজে থেকেই আবার গল্প ইনশিয়েট করলাম।
-তো আপনারা খাওয়া দাওয়া করেছেন??
টুম্পা আগ বাড়িয়ে উত্তর দিল-
-বাইয়া আজ অনেক মজা হয়েছে। বাসায় বিস্টির দাদী ছারা কেউ ছিল না তো তাই আমি আর বিস্টি দুজন মিলে ফাক করেছি।

না আর নেয়া যাচ্ছে না। টুম্পা আর বৃষ্টি মিলে ফাক করল নাকি পাক করল সেটা আমি আর চিন্তা করে বের করতে চায়না। কারন কারো চোখে আগুন আবার দ্বিগুণ হয়ে যাচ্ছিলো।

বৃষ্টি কাজল পরেছে চোখে। কাজল পরা চোখ আমার ভীষণ ভাল লাগে এটা যেদিন বৃষ্টি জেনেছিল সেদিন থেকেই দেখি বৃষ্টি সবসময় কাজল পরে থাকে। কাজল পরা চোখে আগুন দেখার মত!!! এ আগুন জ্বলুনির, এ আগুন হিংসার, এ আগুন ভালবাসার। এ আগুন আজ না, কাল না, অনন্তকাল দেখতেও কারো খারাপ লাগবেনা।

বিঃদ্রঃ- একটি কাতুকুতু প্রচেষ্টা B-) B-) B-)
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ১০:৫৭
২৩টি মন্তব্য ২৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=এই গরমে সবুজে রাখুন চোখ=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১

০১।



চোখ তোমার জ্বলে যায় রোদের আগুনে?
তুমি চোখ রাখো সবুজে এবেলা
আমায় নিয়ে ঘুরে আসো সবুজ অরণ্যে, সবুজ মাঠে;
না বলো না আজ, ফিরিয়ো না মুখ উল্টো।
====================================
এই গরমে একটু সবুজ ছবি দেয়ার চেষ্টা... ...বাকিটুকু পড়ুন

হালহকিকত

লিখেছেন স্প্যানকড, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:১২

ছবি নেট ।

মগজে বাস করে অস্পষ্ট কিছু শব্দ
কুয়াসায় ঢাকা ভোর
মাফলারে চায়ের সদ্য লেগে থাকা লালচে দাগ
দু:খ একদম কাছের
অনেকটা রক্তের সম্পর্কের আত্মীয় ।

প্রেম... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

×