somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সরকার কি পার্বত্য চট্রগ্রামকে আর এক পুর্ব তিমুর করতে চায়???? ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনে বাঙালি প্রতিনিধিত্ব নেই!

১২ ই জুন, ২০১৩ সকাল ১০:৩১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আইন ২০১৩ বাস্তবায়ন হলে তিন পাবর্ত্য জেলা বান্দরবান, খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটিতে ভূমি সংক্রান্ত জটিলতায় সংঘাত, হানাহানি বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

সম্প্রতি, মন্ত্রিপরিষদে অনুমোদন হওয়া পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আইন অনুযায়ী, কমিশনে তিনজন আদিবাসী প্রতিনিধি রাখা হলেও বাঙালি কোনো প্রতিনিধি রাখা হয়নি।

সংশোধিত আইন অনুযায়ী, ইতোপূর্বে বাঙালিদের কাছে বন্দোবস্ত দেওয়া জমি নিয়েও নতুন জটিলতা তৈরি হবে। অথচ বান্দরবান, খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটিতে মোট ১৬ লাখ অধিবাসীর মধ্যে প্রায় অর্ধেক আট লাখের কাছাকাছি অধিবাসী বাঙালি।

বিদ্যমান ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আইন-২০০১ অনুযায়ী, কমিশনের মোট সদস্য সংখ্যা পাঁচজন। এর মধ্যে তিনজন সদস্যের পদ আদিবাসীদের জন্য সংরক্ষিত এবং অপর দুইজন সদস্যের মধ্যে একজন হলেন কমিশনের চেয়ারম্যান পদে সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি ও অপরজন চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার বা তার মনোনীত একজন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার।

এ ক্ষেত্রে কমিশনের বর্তমান সাংগঠনিক কাঠামোতে মোট পাঁচজন সদস্যের মধ্যে আদিবাসীদের জন্য তিনটি সদস্যপদ সংরক্ষিত থাকলেও বাঙালিদের কোনো প্রতিনিধি নেই।

তাছাড়া কমিশনের চেয়ারম্যান এবং চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার বাঙালি হবেন এরও কোনো আইনি বাধ্যবাধকতা নেই। সে কারণে বর্তমান বাস্তবতায় যেখানে পার্বত্য চট্টগ্রামের মোট জনগোষ্ঠীর প্রায় অর্ধেক বাঙালি, সেখানে ভূমি কমিশনের সংগঠনে বাঙালিদের প্রতিনিধিত্ব না থাকায় তাদের ভূমির অধিকার সংরক্ষিত হওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।

তাছাড়াও সংশোধনী অনুযায়ী, কমিশনের সচিব এবং অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগের ক্ষেত্রেও আদিবাসীদের অগ্রাধিকার দেওয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এতে কমিশনের বিদ্যমান সাংগঠনিক কাঠামোতে ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে একদিকে আদিবাসীদের স্বার্থ শতভাগ সংরক্ষিত রাখা এবং বাঙালিদের স্বার্থ উপেক্ষিত থাকার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

‘সমঅধিকার আন্দোলন’-এর এক নেতা বলেন, “কমিশনে বাঙালির কোনো প্রতিনিধিত্ব নেই। সাংগঠনিক কাঠামো, সচিবসহ অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগেও উপজাতীয়দের অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা আছে। এই কমিশন যখন সিদ্ধান্ত নেবে, সেটা উপজাতীয়দের পক্ষেই যাবে। এই অবস্থায় বাঙালিরা জমি হারিয়ে পথে বসতে বাধ্য হবেন।”

তিনি বলেন, “এত কিছুর পর আবার পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ও সচিব দুজনেই উপজাতি সম্প্রদায়ের লোক।

মুল
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই জুন, ২০১৩ সকাল ১০:৩২
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×