১৭৫৭ সাল থেকে ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত ১৯০ বছরের ব্রিটিশ শাসন ও শোষণের মাঝে অনেক ইতিহাস নির্ভর বই প্রকাশিত হয়েছিল যেখানে ব্রিটিশ শাসনের পক্ষালম্বনকারী ব্যক্তি, দেশ, প্রতিষ্ঠান এমনকি ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের অজস্র কুকীর্তি ইচ্ছাকৃত গোপন করা হয়েছে।
অসংখ্য জ্ঞানী, গুণী ব্যক্তি সেসব ইতিহাসে স্থান পাননি। ইতিহাস পাঠের সবচেয়ে কল্যাণকর দিকগুলোর একটি হোল নিজেদের পূর্ব পুরুষদের চিনতে পারা। তাঁদের ত্যাগ- তিতিক্ষার সমাধিতে দাঁড়িয়ে আমরা যখন আমাদের নিজের প্রাসাদ নির্মাণে ব্যস্ত তখন তাঁদের বিদেহী আত্মা কি আমাদের তিরস্কার করে না!
অকৃতজ্ঞতার সাইনবোর্ড বুকে না ঝুলিয়ে আসুন খানিকটা কৃতজ্ঞ হই। ইতিহাস সচেতন হই। আপনার দাদার মুখে পানি তুলে দিয়ে যে ব্যক্তিটি একদিন জীবন রক্ষাকারী হয়েছিল, ব্রিটিশ তল্পিবাহক একদল ঐতিহাসিক সেই প্রানরক্ষাকারীকেই বানিয়েছে আপনার দাদার হন্তারক।
আপনি তা গিলেছেন, সেভাবেই প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন- আর বলুন’ই না এটা কতটা ন্যায়সঙ্গত?
“পরাজিতের ইতিহাস লেখে তার শত্রু আর জয়ীর চাটুকার!”
এই অমোঘ সত্যটিকে আমরা যাচ্ছেতাইভাবে অস্বীকার করেছি। ঐতিহাসিকের উদ্দেশ্য না জেনেই তার লেখা ইতিহাসকে ধ্রুব ধরে এগিয়ে চলছি। ইতিহাস বিকৃতকারীগণের অনেকেই মৃত্যুর পর চরম সত্যের মুখোমুখি হয়েছেন। তাঁদের বিষেদাগার করে সময় নষ্ট করা ন্যায়-সঙ্গত নয়।
এটাও ইতিহাসের শিক্ষা যে মানুষ ইতিহাস থেকে কিছুই শেখে না...
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১:২২