somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

নব মুসলিমের কথা

২৭ শে মে, ২০১৮ রাত ১১:২৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সালাউদ্দিন শাহরিয়া

সারাজীবন মানুষকে মূর্খ বলে আসলাম। নিজে যে কত বড় মূর্খ ছিলাম তা আমার জানা ছিলোনা। জানার বুঝার চেষ্টাও করিনি। সব সময় মিথ্যা বাস্তবমূখী অযৌক্তিক বিষয় পড়তাম ও গবেষণা করতাম। পাশাপাশি মানুষদের আহবান করতাম। কিন্তু খুবই কম মানুষ সাড়া দিতো। যা একশত ভাগের এক ভাগ। আর এই এক ভাগে দশভাগ মানুষ আমায় নিসঃন্দেহে সাপোর্ট করত আর বাকি নব্বই ভাগ মানুষের সাপোর্ট ছিলো সন্দেহের উপর। কেনো মানুষ আমার কথায় সাড়া দিতো না আর কেনই বা মানুষ আমার কথায় আমাকে ঘৃণা করত সেটা আমি বুঝতাম যে এর কারণ হলো এই মানুষগুলো হলো মূর্খ, অশিক্ষিত, অল্পশিক্ষিত ও মৌলবাদী। নিজেকে খুব বড় মনে হতো। খুব জ্ঞানী মনে হতো। উচ্চ শিক্ষিত মনে হতো। কারণ ডিগ্রি ছিল বড় বড়।

এখন বৃদ্ধ মহিলা হয়েগেছি। বুঝতে পারছি সবকিছু। আসলে বড় বড় ডিগ্রি ছাড়াও মানুষ সব বুঝে তা আমার জানা ছিলনা। জেনেও বুঝতে পারিনি মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব। শুধু বাস্তবতার দর্শন নিয়ে যাতায়াত করেছি। আজ বুঝতে পারছি আমার স্বপ্নগুলো ছিলো সব মিথ্যা, দুনিয়াখেকো ও লোভনীয়। নিজেকে আজ সেই কালের মূর্খ মনে হচ্ছে। হবেই বা না কেনো। দুনিয়ার নূন্যতম যোগ্যতা নিয়ে ভেবেছিলাম সবই অর্জন করে ফেলেছি। যদি আমি যুবতি থাকতাম এখনো তাহলে আলোর পথে ফিরে আসতাম কিনা জানিনা। বিধি সবই জানেন বুঝেন। আল্লাহ তায়ালা আমাকে হেদায়াত দান করেছেন। হতে পারে খারাপ পাওয়ার পাশাপাশি মানুষ আমায় হেদায়াতের দোয়া করেছে। যার ফলে আমার মতো নাস্তিক গুনাহগার মহিলাকে আল্লাহ তায়ালা হেদায়াত করেছেন।

তখনকার সময় আমি লেখালিখি করতাম নারী নিয়ে। নারীর অধিকার নিয়ে। যা নারীর সম্মান নষ্ট করে। বুঝতাম আমি যা নারীর জন্য সংগ্রাম করছি তাই সঠিক। এখন আমি বুঝতে পারছি কিভাবে হতো স্বয়ংসম্পূর্ণ যা নারীর জন্য যথেষ্ট আমার লেখা বই। ইসলাম ছাড়া কিভাবে কোন ধর্ম বা জাতিই দিতে পারে বেশি সম্মান নারীকে। তা আগে বুঝতে পারিনি। নারীর পর্দা নিয়ে সবচেয়ে বেশি লেখালেখি করতাম। ভুলে গেয়িছিলাম যে আমি নিজে একজন নারী। আমি কেমই বা সম্মান পাচ্ছি। আহ! আজ বুঝতে পারতেছি। কেনো এরকম করলাম। ছাড়তে হলো মা-বাবাকে। ছাড়তে হলো আত্মীয় স্বজনকে। আর ছাড়তে হলো জন্ম ভূমিকে। লুকিয়ে থাকতে হলো এই পৃথিবীতে।

এখন তো বুড়ি হয়েগেছি। কেউ আমাকে চায়না। সম্মান করেনা। দাদী, আম্মু, চাচী রক্তের সম্পর্কে কেউই কিছু ডাকে না। ডাকবেই বা কি করে ডাকার এবং সম্মান করার কোন পথই তো খোলা রাখিনি। না ছিলো স্বামী আর না ভাই, বাবা-মা কেউই। শুধু পরপুরুষের সাথে দেহ মিলন ছিলো আমার পেশা। ছিলো নাস্তিকি বই লিখনি আর অবৈধ মিলন তাও নগদ টাকা পেতাম। আর ধুমধামে জীবন পরিচালনা করতাম। বিভিন্ন পার্টিতে যেতাম। উপস্থাপনা করতাম। টকশো করতাম। অতিথি হিসেবে যেতাম। তাও আবার অবৈধ অনুষ্ঠানে । এভাবেই চলত জীবন। বই লিখতাম। যেগুলো ব্যান্ড হতো সেগুলো ছাড়া বাকিগুলোতে প্রচুর টাকা পেতাম। হাজার হাজার লক্ষ লক্ষ মানুষ আমার বিরুদ্ধে সংগ্রাম করতো। আমার আনন্দ লাগতো। যে আজ এতো মানুষ আমার বিরুদ্ধে সংগ্রাম করছে। তাহলে তো আমি সঠিক পথে আছি। একদিন না একদিন মানুষ আমার পক্ষে আসবে। আর আমার পক্ষে মিছিল দিবে। রাজ প্রসাদে আমাকে বসাবে। আর আমি নুতন নুতন আইন করবো। নতুন নতুন বই লিখবো আর মানুষ বইগুলো পড়ে জীবন পরিচালনা করবে। হয়তো হাজার হাজার, লক্ষ লক্ষ মানুষ আমার বিরুদ্ধে। হয়তো চিন্তা করবে তারা যে কেন একজন নারী এতো কিছু করছে। নির্যাতিত হচ্ছে। তার স্বার্থের জন্য ? চিন্তা করে দেখবে না তার নিজের স্বার্থের জন্য নয়। কারণ তার পরিবার সবকিছু সে ছাড়তে বাধ্য হয়েছে। তাহলে মানুষের স্বার্থের জন্য। এভাবে একজন আরেক জনকে বলবে। দুই জন চার জনকে বলবে। আর এভাবে ছড়াতে থাকবে সারা পৃথিবী। আমার সাপোর্ট হয়ে যাবে লক্ষ লক্ষ মানুষ। যারা আমার বিরুদ্ধে সংগ্রাম করতো তারা আমার পক্ষে থাকবে। এইরকম চিন্তা ভাবনা ছিলো আমার।

আর এইগুলো চিন্তা করে আমি বেছে নিয়েছি অন্ধকার পথ। আর ডাকতে থাকি মানুষদেরকে অন্ধকার পথে। শুরু করি লিখতে। প্রথমে নারীর পর্দা নিয়ে লিখি। লিখতে থাকি নারীর সম্মান ও অধিকার নিয়ে। বলি, আমরা নারী আমাদের বাঁক স্বাধীনতা আছে। কেনো আমরা ঘরে বসে থাকবো। পুরুষ যাহা পারে নারীও তাহা পারে। আমরা মিছিল করবো নারীর-পুরুষের সমান অধিকার। আমরা কেনো ঘরে বসে থাকবো। আমরা কাজ করবো। আমরা স্কুল কলেজে যাবো। পড়বো। মৌলবাদীদের কথা শুনবনা। ইসলাম হলো মৌলবাদী ্এরা বলে নারীর পর্দার কথা। আমরা কেন পর্দা করবো। পুরুষেরা তো এতো পর্দা করেনা। তারা শুধু নিজের স্বার্থ বুঝে। আরা পর্দা করবো না। দরকার হয় উলঙ্গ থাকবো। তবুও পর্দা করবো না। পুরুষেরা স্বার্থপর। শুধু নিজেদের ক্ষেতে সবচায়। তারা কয়েকটা স্ত্রী একসাথে রাখতে পারে। আমরা কেনো কয়েকটা স্বামী একসাথে রাখতে পারবোনা। আমরা কেনো বোরকা পড়বো। আমরা খোলা-মেলা ড্রেস পড়বো। পুরুষ যদি না দেখে তাহলে আমরা কি করবো আমাদের রূপ। কি করবো আমাদের যৌবন দিয়ে। আর একটা স্বামী দিয়ে কি জীবন চলে। আমরা আমাদের মুক্তি চাই কেনো পারবো না। আমরা স্বাধীন ভাবে চলবো। ইসলাম কেন বাঁধা দেয়। হিন্দু, খ্রিষ্টান, বৌদ্ধ ইত্যাদি ধর্মও বাধা দেয়। তবে ইসলাম একটু বেশ। আচ্ছা যে ধর্ম বাধা দেয় এই ধর্ম দিয়ে লাভ কি। আমরা নারীরা মুক্তি চাই ধর্ম নামের ফাঁদ থেকে। এইভাবেই লিখি আমি নারীদে নিয়ে। নারীদের অধিকার ও পর্দা নিয়ে। অনেকে আমার লেখাগুলো সাপোর্ট করে। আমি ভাবি এরাই হলো শিক্ষিত।

এখন আসি বাস্তব কথায় আমি বললাম নারী নিয়ে। তা কতোটুকু সঠিক। আসলে আমি মনে করি আর আপনারাও মনে করেন যে, আমি যে নারীর অধিকার ও পর্দা নিয়ে বই লিখলাম তা তো একভাগও সঠিক নয়। এগুলো অনুসরণ করলে নারীরা নিঃসন্দেহে পড়বে। মানুষের মনে বিশেষ করে নারীদেরকে আমি অন্ধপথে নিয়ে আসার আহবান দিয়েছিলাম। আজ আমি কি পাচ্ছি। না পাচ্ছি স্বামীর প্রতি স্ত্রীর মর্যাদা। আর না পাচ্ছি মায়ের মর্যাদা। সন্তান পেয়েছি তো ঠিকই। কিন্তু তাদের বাবা ঠিক নেই। কতনা পুরুষের সাথে মিলন করেছি। কে বা তাদের বাবা। আজ বৃদ্ধ হয়েগেছি। কেউই আমাকে দেহ মিলন করতে চায়না। আর করবেই বা কেন? ভোগ করার মতো তো আর কিছু আমার নেই তাদের প্রতি। যেগুলো আমাকে আদর করতো সেইগুলো আজ নতুন নতুন ভোগ করতেছে। কেনো আমি এমন পথ বেছে নিলাম। কেন আমি নাস্তিক হলাম। আজ বুঝতে পারছি। আমার পাশে রুমে যখন পরিবার মিলে গল্প করে। ছোট ছোট ছেলে আব্বু-আম্মু বলে ডাকে। আমার বুকটা ফেটে যায়। বাবার প্রতি মেয়ের স্নেহ ভালোবাসা ফুটে ওঠে। মায়ের প্রতি ছেলের ¯েœহ ভালোবাসা ফুটে ওঠে। কতো সুন্দর জীবন যাপন তাদের। ইসলামী রীতি অনুযায়ী কতো সম্মান নারীর তা যদি বুঝতাম আমি তাহলে আগে এমন করতাম না।

চলা ফেরার ক্ষেত্রে, ব্যবসার ক্ষেত্রে ও প্রতিটা ক্ষেত্রে ইসলামের যে, সুমাহন মর্যাদা রয়েছে তা আমার জানা ছিলোনা। আমি পবিত্র কোরআন পড়েছি কিন্তু বুঝিনি। কারণ পড়েছি ভুল ধরার জন্য। ্আমার মতো যদি কোটি কোটি লেখক বই লেখে তুবও কোরআনের একটিও শব্দ ভুল ধরার দূরের কথা একটি আয়াতও লিখতে পারবে না। আমি কোরআন পড়ে এক আয়াত বুঝিয়ে পরের আয়াত না বুঝিয়ে মানুষদেরকে বিভ্রান্তি মাঝে ফেলে দিয়েছি। আর আমার সাপোর্ট বানিয়ে ফেলেছি সীমাহীন। যুক্তিগুলো যদিও সঠিক না তবুও দিনগুনা কয়েকদিন রেখে ফেলি। তারপর ফিতনা-ফ্যাসাদ, খুন, রাহাজানি হয়ে যায় সমাজে। পুজিবাদী, সমাজতান্ত্রিক কতো কিছু করলাম আমাদের গ্রুপ। কিন্তু তা বেশিদিন ঠিকে থাকেনি। আবার নতুনভাবে লিখতে হয়। আসলে আমরা অন্ধবিশ্বাসী ছিলাম। স্বয়সম্পূর্ণ আলকোরানে কোন ভুল নেই কোন সন্দেহ নেই। কিন্তু তার দিকে সাড়া না দিয়ে আমরা ভুল পথে পা রেখেছিলাম। আজ তা বুঝতে পারছি। কেনো জীবনটাকে হেলায় হেলায় কাটালাম। শুধু মানুষদেরকে বুঝাতে চেয়েছিলাম। নিজে তো অন্ধ ছিলাম আর অন্ধ পথে থেকেই আবার মানুষদেরকে অন্ধ পথেই ডাকছিলাম।
কি করলাম সারাজীবন বই লিখে। কাউকে তো ভালো কাজ করাতে পারিনি। নিজেও ভালো কাজ করতে পারিনি। এতোটা বছর থাকতে হয়েছে জাজাবরের মতোই। পরপরুষের ছোয়ায় কাটালাম জীবন। আজ তারা কোথায়। না আছে স্বামী আর না আছে সন্তান। না কেউ দিবে দয়া। নিজে গুনাহ করেছি। সাথে গুনাহের কাজে লিপ্ত থাকার পরামর্শের বই লিখেছি। ইসলামকে মৌলাবাদী বলে গালি দিয়েছি। অন্য ধর্মকেও গালি দিয়েছি। ধর্মকে ঘৃণা করেছি।

আজ পরিণতি কি ? ভাবতে অভাক লাগছে আমার। রমাজন মাসে রোজা না রাখার জন্য কত যে, বই লিখেছি। মানুষের স্বাস্থ্য নষ্ট হবে। কতো কিছু বলেছি এবং এর বিরোধীতা করছি সংগ্রাম করেছি লেখালিখি করে। দুই উৎসব ঈদ সম্পর্কে এর বিরুদ্ধে লিখেছি। মানুষকে শুধু বিভ্রান্তির মাঝে ফেলে দিয়েছি। নামাযের বিরুদ্ধে লড়েছি। আল্লাহর অস্তিত্ব বিশ^াস করতাম না। ভাবতাম এই পৃথিবীটা ছিলো প্রাকৃতিক ভাবে আর মানুষ তা উন্নতি করছে। এখানে কোন সৃষ্টিকর্তা নাই। মানুষই সবকিছু সৃষ্টি করেছে।
মানুষ মরে যাওয়ার পর মাটির সাথে মিশে যাবে। আর কিছুই অস্তিত্ব থাকবে না। না যেতে হবে আল্লাহর কাছে। না আবার পুনঃজীবীত হতে হবে। মরার পর সবশেষ। তারপর জান্নাত জাহান্নাম বিশ^াস করতাম না। ভাবতাম দুনিয়াই জান্নাত আর দুনিয়াই জাহান্নাম।

তার পর যখন আমার আত্মীয়তার ¯েœহ মায়া মমতা দেখি স্বচোক্ষে তখন কেমন জানি মনে হয়েছিল। আর আমি যে বৃদ্ধ নারী সেটাও ছিলো একটা কারণ। কেউ নেই আমার এখন। তারপর ভাবলাম যে নারীর বিরুদ্ধে পর্দা আর মর্যাদা নিয়ে আমি লিখলাম তা তো নিজেরই অবস্থা কেমন বুঝতে পারছি। সরল মনে আমি আল-কোরআন রিসার্চ করি নারীদের নিয়ে দেখি যে, সূরা নূরের ৩০ নং আয়াতে বলা হয়েছে, “মুমিনগণকে বলো তারা যেনো দৃষ্টি সংযোত করে এবং লজ্জা হেফাজত করে”। সূরা নূরের ৩১ নং আয়াতে বলা হয়েছে “আর মুমিন নারী দিগকেও বলো তারা যেনো দৃষ্টি সংযোত করে ও লজ্জা স্থানের হেফাজত করে। আর যেটা প্রকাশ থাকা আবশ্যক থাকে সেটা ছাড়া যেন সৌন্দর্য প্রদর্শন না করে। তারা যেন মাথার কাপড় দিয়ে বক্ষ সাবৃত্ত করে শুধু মাত্র স্বামী, পিতা, পুত্র ছাড়া”।

ভাবলাম ইসলাম তো শুধু নারীদেরকে পর্দার কথা বলেনি পুরুষদেরকেও বলেছে। তারপর পর আরো হাদিস রিসার্চ করে জানলাম যে, নারী পুরুষের জন্য ৬টি পর্দার কথা বলা হয়েছে। তা হলো :
১। নাভী থেকে হাটু পর্যন্ত পুরুষের ঢেকে থাকতে হবে এবং নারীদের
জন্য পুরো শরীরটা ঢাকতে হবে যে অংশটুকু খোলা থাকতে পারে তাদের মুখ আর কব্জি পর্যন্ত। তবু সেটাও ঢাকতে চায় তবে সেটা আব্যশিক না ঢাকতেই হবে।
২। নারীদের হিজাব টাইটফিট হবে না যা দেখে শরীরের বডি মাপা
যায়।
৩। এমন স্বচ্ছ হবে না যাতে ভিতরটা দেখা যায়।
৪। নারী পুরুষ কেউই ঝাক-ঝমক ড্রেস পরিধান করবে না যাতে
বিপরীত লিঙ্গকে আকৃষ্ট করবে।
৫। এমন পোষাক পরিধান করবে না যা বিপরীত লিঙ্গ পরে থাকে।
৬। এমন কোন পোষাক পরিধান করবে না যাতে অবিশ^াসীদের কোন
চিহ্ন থাকে।
নারী পুরুষের পর্দার এগুলো হলো নিয়ম। কিন্তু প্রথমে আমি যে পুরুষদের স্বার্থপর বলেছি যে, তারা নারীদেরকে শুধু পর্দা করার কথা বলে এখন তা নিজেই বুঝতে পারছি। ইসলামে নারী পুরুষের উভয়ের পর্দার কথা বলা হয়েছে। আর আমি নারীদের মর্যাদা নিয়ে অনেক কটুক্তি করেছি। কিন্তু যখন কোরআন হাদিস পড়ে জানলাম যে নারীরা প্রথমে থাকে মেয়ের মর্যাদায় তারপর স্ত্রীর মর্যাদায় এবং তারপর মায়ের মর্যাদা। এতো মর্যাদা দিয়েছে ইসলাম নারীকে। তা আমি জানতাম না। আর জানার চেষ্টাও করতাম না। এখন বুঝতে পারছি।

তারপর রিসার্চ করলাম যে, পর্দা ছাড়া নারীর কেমন সম্মান তা একটু দেখি। তারপর দেখলাম এফবিআই এর রিপোর্ট অনুযায়ী ১৯৯০ সালে আমেরিকাতে ১,০২,৫৫৫ জন নারী ধর্ষিত হয়েছে। আর এর সংখ্যা ছিল ধর্ষনের ১৬%। তাহলে ১০০% ভাগ ধরলে হয় প্রায় সাড়ে ছয় লক্ষ নারী ধর্ষিত হয়েছে প্রতি বছরে। প্রতিদিন এক হাজার সাতশত সাপ্পান্ন জন নারী ধর্ষিত হয়েছে ১৯৯০ সালে। শেষ যেটি খবর রিসার্চ করলাম সেটি হলো প্রতি ১.৩ মিনিটে ১ জন মহিলা ধর্ষিত হয়েছে। তারপর বুঝলাম পর্দা ছাড়া নারীর অবস্থা কেমন হয়। যদি পর্দা থাকতো তাহলে ধর্ষনের পরিমাণ আরো কমে যেত। কিন্তু পর্দা বলতে মানুষ দেখানো পর্দা নয়। যেটা নিজের স্বইচ্ছায় আল্লাহর ভয়ে পর্দা করলে এমন খারাপ কাজ হতো না দুনিয়ায়।

অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যতে ইসলামের এই সুমহান ব্যাখ্যা দেখে আমি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করার ইচ্ছা পোষন করি। এর প্রধান কারণ হলো নারীর পর্দা আর মর্যাদার উপর ভিত্তি করে। কারণ যে পর্দা জন্য আমি নাস্তিকতা করেছি সেই পর্দাই দেখি আজ শান্তির সাগর।

আমি যদি নিজে রিসার্চ না করতাম তাহলে আজও পর্যন্ত কারও শুনে অথবা স্বভাব চরিত্র দেখে হয়তবা ইসলাম বিশ^াস করতাম না। তারপর আমি আল-কোরআন পড়েছি এবং হাদিস পড়েছি। রিসার্চ করেছি। আলহামদুলিল্লাহ আমার আগের প্রতিটি বইর উত্তর আমি নিজেই আবার পেয়েছি আল-কোরআন থেকে।

আমি আমার জীবনের সমস্ত লেখা বই ও প্রকাশ বক্তব্য যা করেছি সব আজ থেকে ব্যান্ড করার ঘোষনা করলাম। এবং বললাম আমাকে কেউই বাধ্য করেনি। বরং আমি নিজেই নিজের ভুল ধরেছি। ভুল স্বীকার করেছি।
হে মহান রব আমাকে ক্ষমা করো। আমি তোমার গুনাহগার বান্দি। তুমি ক্ষমা না করলে কেই বা আমাকে ক্ষমা করবে।
(সম্পূর্ণ কাল্পনিক)
-সমাপ্ত-
লেখা: ১৭ ডিসেম্বর ২০১৭ ইং , প্রকাশ: ২৭ মে ২০১৮ ইং (সামহোয়্যার ইন ব্লগ/SalauddinShahria)
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে মে, ২০১৮ রাত ১১:৩০
৩টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×