ছাগু কাকে বলে?
যারা কোন কারণ ছাড়া যে কোন ইস্যুতে ধর্মীয় ফতোয়া জারির মাধ্যমে নিজেদের ইসলামিক এবং বাকি সবাইকে এন্টি-ইসলামিক বলে ঘোষণা দেয় তাদের ছাগু বলা হয়।
ছাগু শব্দটির উদ্ভবঃ
ছাগু শব্দটির উদ্ভব ঘটেছে ছাগল থেকে। ছাগল যেকোন খাওয়ার সোর্স পেলেই তাতে মুখ দেয়, ছাগুরাও যে কোন ইস্যুতেই, যৌক্তিক হোক অযৌক্তিক হোক, ধর্মকে টেনে নিয়ে এসে বাকী সবাইকে এন্টি-ইসলামিক বলে ঘোষণা দেয়।
ছাগুদের কেন ছাগলের সাথে তুলনা করা হয়? ঃ
আপনি একটা ছাগলের নাকের কাছে আপনার হাতটা ধরুন। ছাগলটা কী করবে? আপনার হাতের গন্ধ নিয়ে বুঝার চেষ্টা করবে এটা খাবার কিনা। হাতের কথা বাদই দিলাম আপনি যদি ছাগলের নাকের কাছে একটা লোহাও ধরেন ছাগল তাও বুঝার চেষ্টা করবে যে সেটা খাবার কিনা।
ছাগুরাও একই রকম। একটা ঘটনা ঘটল, ছাগুরা সাথে সাথে সেটার গন্ধ নেয়ার চেষ্টা করবে। তবে এক্ষেত্রে ছাগু আর ছাগলের মধ্যে একটা পার্থক্য আছে, সেটা হল ছাগল সব খাবার খায় না, কিন্তু ছাগুরা সব খাবার খাওয়ার চেষ্টা করে।
ছাগুদের বৈজ্ঞানিক নামঃ
ছাগলের বৈজ্ঞানিক নাম Capra hircus। এ অনুযায়ী ছাগুদের বৈজ্ঞানিক নাম chagu hircus। এ নামটা ICZN কর্তৃক অনুমোদনের অপেক্ষায়। আসলে ICZN কর্তৃপক্ষ ছাগু প্রজাতিটা নিয়ে খুব অবাক হয়েছে। তাই তারা এই প্রজাতিটা নিয়ে এখনও পর্যালোচনা করছে।
ছাগুর প্রকারভেদঃ
কার্যকলাপের দিক থেকে ছাগু দুই প্রকারঃ
১। ইনোভেটিভ ছাগুঃ এরা ফটোশপের কাজ ভালো পারে। যে কোন শালীন ছবিকে কেটে কুটে অশালীন বানিয়ে দিতে এরা এক কথায় অসাধারণ।
২। কপি পেস্ট মার্কা ছাগুঃ এদের কাজ শুধু কপি পেস্ট করা। আরেক ছাগু ভাইয়ের শেয়ার করা যেকোন জিনিস এরা কপি পেস্ট মারতে সদা তৎপর।
অর্থনৈতিক দিক থেকে ছাগু দুই প্রকারঃ
১। পেইড ছাগুঃ এরা টাকার বিনিময়ে ব্লগ লিখে এবং ফতোয়া জারি করে। অর্থনৈতিক দিক দিয়ে এরাই লাভবান হয়।
২। ফ্রি ছাগুঃ এদের কাজের জন্য কোন টাকা দেয়া হয় না। এদের ব্রেইন কমপ্লিটলি ওয়াশড। এদেরকেই কপি পেস্ট মার্কা ছাগু বলা হয়।
ছাগুদের কমন বৈশিষ্ট্যঃ
ছাগুরা ধর্ম ব্যবহার করে নিজেদের সুবিধামত, ছাগুদের মতে ধর্ম শুধু তাদের, এবং ধর্মের ব্যবহার কখন কোথায় করতে হবে এটা শুধু তারাই জানে।
ছাগলকে যদি পাশের বাসার বাগানের কাছে রাখা হয়, তাহলে সে সেই বাগানের লতাপাতা, ফলমূল খাবেই। ছাগুরাও একই রকম, ভালো হোক খারাপ হোক, সব কাজেই তারা ফতোয়া জারি করবেই।
ছাগুদের কাজ সহজ জিনিসকে বাকা করে উপস্থাপন করা। ভালো জিনিসকে বিভিন্ন মারপ্যাঁচ দিয়ে খারাপ বানিয়ে ফেলা, আবার খারাপ জিনিসকে বিভিন্ন মারপ্যাঁচ দিয়ে ভালো করে ফেলা।
খুনের মত জঘন্য কাজকে ছাগুরা অতি সহজেই পবিত্র কাজ বানিয়ে দেয়, আবার শত শত হত্যা, রেপের মত জঘন্য কাজের বিচার চাইতে আসা মানুষদের তারা পতিতা, গাঞ্জুটি বানিয়ে দেয়।
উপসংহারঃ
ছাগুরা আসলে ছাগলের নতুন সংস্করণ। এই প্রজাতিটাকে অবশ্যই সংরক্ষণ করা দরকার। তবে এদের কার্যকলাপ খুব একটা পাত্তা না দিলেও চলে। পাত্তা না দিয়ে বরং এদের কার্যকলাপ থেকে বিনোদন নেয়া যেতে পারে। কথায় আছে- “পাগলে কীনা বলে, ছাগলে কিনা খায় আর ছাগুতে কিনা লেখে।”