সকাল ৭:২২
ক্রিং ক্রিং
সালমান, "হ্যালোলো কে?"
"হ্যালো, সালু আমি নীলয়, কিরে এখনো ঘুমাস
হাসপাতালে আসবি না?"
"রং নাম্বার"
"আরে কিসের রং নাম্বার! আরে আমি নীলয় রে..."
"রং নাম্বার কইছি না, ডিসটার্ব করিস না তো"
"আরে শোন একা সবদিক অয়ন সামলাতে....
হ্যালো হ্যালো... আজব ফোন কেটে দিলো, ডাক্তার
হওয়ার পর ব্যাটার ভাব বোঝাই মুসকিল,
যাকগে আমার কি, আমার তো আজই ফ্লাইট
ধরতে হবে। অরিত্রটা কয়দিন ধরেই ওর বাসার
প্লানটা করে দিতে বলছে... অয়নের সমস্যা অয়নেই
সামলাক...।"
ক্রিং ক্রিং
"হ্যালো"
"সালমান, তুই কোথায়"
"কেএএ ভাই?"
"আমি অয়ন, তুই আসছিস না কেন?"
"তোরা এতো জ্বালাস না শান্তি মত একটু
ঘুমাবো কাল আফ্রোদিতিকে নিয়ে লেট নাইট
ডিনারে গিয়েছিলাম তো ঘুমে আমার চোখ Z ZZ
ZZZ"
"আরে আজ এতো রোগি আমি একা সামলাতে...
হ্যালো হ্যালো, ওফ, আজ না জানি কত দুঃখ
আছে কপালে, সালমানটা এতো জ্বালায় না।"
"হ্যালো নীলয়...."
"হ্যাঁ অয়ন, কিরে সালু তো আমারে চেনতেই
পারলো না, ভাব লয় না...
ব্যাটাকে সামনে পেলে আমি..."
"বাদ দে অর কথা, আজ তো তোর ফ্লাইট, তোর
তো সময় নাই, আমি যে এখন কি করি...ইস...
এততো রোগি একা সামলাই ক্যামনে, আজ আবার
PS ও আসে নাই..."
"এক কাজ কর, শুভরে ফোন
দে বুয়েটে তো আন্দোলন চলতাসে, ওর তো কোন
কাজ কাম নাই এসে তোকে সাহয্য করুক."
"ভালো বলছিস তো দাড়া ওরেই ডাকি...ok bye
আর শোন তোর রোলস
রয়েসটা তো গ্যারেজে দিয়েছিস এয়ারপোর্ট
কি ট্যাক্সিতে যাবি তারচে আমার
মার্সিডিজটা নিয়ে যা..."
"তাহলে তো ভালোই হয় চাবি বৌদির কাছে তো..?"
"আরে হ্যাঁ হ্যাঁ"... ..."দাঁড়িয়ে কেন আপনি বসুন"...
"না না তোকে বলছি না, রোগী আসছে তো,
আচ্ছা রাখি রে,
ক্যালিফোর্নিয়া থেকে ফিরলে দেখা হবে ,ভালো থাকিস,
বাই"
[চলবে]