somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আওয়ামী লীগ এখন একটি শীতল রক্তের প্রানী

০৫ ই মে, ২০১২ রাত ১১:১৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


জালে আটকে গেলে সবাই ছটফট করে।
প্রচন্ড আতংকিত হয়ে পড়ে , আগ্রাসী - আক্রমনাত্নক হয়ে ওঠে.....
কিন্তু তাতে অনেকটা হিতে বিপরীত হয় অনেক সময়.....
অনেকটা চোরাবালিতে আটকে যাওয়ার মত......

হাসিনা ওয়াজেদ ও জালে আটকা পড়ছেন.....
যতই এই জাল ছেড়ে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করছেন ততই আরো বেশী করে আটকা পড়ছেন......
ততই ছটফট , ততই অস্থির , ততই আগ্রাসী.....

তাতে একটা বিষয়ই ফুটে ওঠে প্রকটভাবে....
কি সেটা ?

তীব্র জীবনাকাংখা !

কথায় বলে "গুলি খাওয়া বাঘের মত আক্রমন".......
হুম , গুলি খেলেই বাঘ তার সর্বোচ্চ আক্রমন করে থাকে....
টের পাওয়া যায় বাঘের হিংস্রতা , শক্তি , মত্ততা কতটুকু হতে পারে......

হাসিনা ওয়াজেদের অবস্থাও প্রতিসম......
পূর্নসম বললাম না কেন ?

কারন বাঘ উষ্ঞ রক্তের প্রানী।
হাসিনা ওয়াজেদ এবং তার সাংগপাংগদের আচরন অন্য ইংগিত দেয়........

শীতল রক্তের প্রানীদের সম্পর্কে আমরা সবাই কম বেশী কিছু জানি।
এ ধরনের প্রানীদের একটি কমন বৈশিষ্ট্য হলো - এরা প্রচন্ড মাত্রায় ভীতু।
এদের স্নায়ুতন্ত্র হয় অতি মাত্রায় সংবেদনশীল।
সামান্য কোন অনুভূতির পরিবর্তনে এরা আক্রমনাত্নক ভাবে সজাগ হয়ে ওঠে।

এ রকম বৈশিষ্ট্যের যে শীতল রক্তের প্রানীটি আমরা সবচেয়ে বেশী ভালো ভাবে চিনি-জানি , সেটা হলো - সাপ।

যখন তখন ফনা তোলে , যাকে তাকে ছোবল মারতে চায়।
কারন এটি ভীতু প্রানী , কিন্তু আক্রমনাত্নক।

বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের ভেতরেও শীতল রক্তের প্রানীর সিম্পটম গুলো প্রকটভাবে দেখা যাচ্ছে।
তাদের অবস্থা - সর্বাংগে ব্যথা , ওষুধ দেবো কোথা ?
কোথাও উচু গলার আওয়াজ শুনলেই তারা ভয় পেয়ে বসে - এই বুঝি বিক্ষোভ- আন্দোলন মাথা চাড়া দিয়ে উঠলো।

কোথাও মানুষের ভীড় দেখলেই তারা ভয় পেয়ে বসে- এই বুঝি মিছিল শুরু হলো।

তারা সবকিছুতেই ভয় পাচ্ছে........

গোয়েন্দা , পুলিশ , গুন্ডা লীগ - সারাক্ষন তাদের হুকুমে অন ডিউটি.......

গোয়েন্দাপুলিশ সাগর - রুনি খুনের রহস্য ৮০ দিনেও বের করতে পারেনা।
ইলিয়াস আলিকে ১৭ দিনেও বের করতে পারেনা।

তাহলে কি পারে ?

তেজগাওয়ে বাস পোড়ানোর মামলায় মির্জা ফখরুল , এম কে আনোয়ার সহ বিএনপির ৪১ জন নেতাকর্মীর সম্পৃক্ততা এস আই পদবীর ইসমাইল মজুমদার এই কদিনেই বের করে ফেলেছেন !

কোনদিন যে পাবলিক ত্যক্ত বিরক্ত হয়ে এইসব গোয়েন্দা আর পুলিশ নামের "চুতিয়া" শ্রেনীটাকে চারদিক থেকে ঘেরাও করে ন্যাংটো বেত পেটানো শুরু করে !

হাসিনা ওয়াজেদ কতটুকু ফাপরে পড়েছেন তার একটা প্রকট নমুনা দেই.......

আজ থেকে সাড়ে ৩ বছর আগে ওবামার চেন্জ্ঞ ম্যানিফেস্টোকে নকল করে আওয়ামী লীগ
"দিন বদলের সনদ" নামে যে ম্যানিফেস্টোটি বানিয়েছিলো সেটার মূল থিংকট্যাংক কে ছিলেন ?

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক ড: আবুল বারাকাত......

আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর ১২৮৭ দিন পার হয়ে গেছে.....
এরই মাঝে ঠোটকাঁটা কিন্তু সত্যকথক আসাফউদ্দৌলাকে চ্যানেল গুলোতে নিষিদ্ধ করা হয়ে হয়েছে.....

নিষিদ্ধ হয়ে এ বি এম মুসাও টের পেয়েছেন মুজিব ভাইয়ের কন্যা পিতার তুলনায় কতটা উৎকৃষ্ট !

অতি সম্প্রতি আসিফ নজরুলকেও শুয়োরের মানুষ ভার্সন কালা মানিক ওরফে শামসু আদালতে তলব করেছে.....

আবুল মকসুদ তো রীতিমত শামসু'র গালাগালি শুনেছে......

এত এত দেশবিখ্যাত বুদ্ধিজীবিদের এই হাল.......

আওয়ামী লীগের দিন বদলের থিংকট্যাংক আবুল বারাকাত সাহেব কোথায় ?

এমন একজন বুদ্ধিজীবি যিনি নাওয়া খাওয়া ফেলে আওয়ামী লীগের পক্ষে প্রচারনা চালিয়েছেন ২০০৮ ডিসেম্বর নির্বাচনের আগে তার কোন টুঁ শব্দটিও পাওয়া যাচ্ছেনা......

ভদ্রলোক লজ্জায় পড়েছেন ১২৮৭ দিনে অনেক কিছু বদলে যেতে দেখে.......
এটাও বুঝেছেন - উনার মূল্য হাসিনার কাছে কেরানী তুল্য.......

৮৫ হাজার কোটি টাকার পার্সেন্টেজ যারা দিতে পারে তারাই হাসিনার নয়নমনি।

কথায় বলে সৎ সংগে স্বর্গবাস , অসৎ সংগে সর্বনাশ.......
জগতে কেউই চায়না নিজের সর্বনাশ একমাত্র ব্ল্যাক আর্টিস্টরা ছাড়া.......

হাসিনা ওয়াজেদ চান , তার মনোজগত ব্ল্যাক আর্টিস্টদের মতই......
তার প্রিয় সব সাংগ পাংগদের দিকে তাকান......
কোন ভদ্রলোক তার কাছে সম্মানিত হয়না......

বস্তি উচ্ছেদের প্রতিবাদ করে হাসিনার কাছে অপমানিত হয়েছিলেন ড: কামাল হোসেন......
শেখ মুজিবুর রহমানের ৭১'র অনুগত সহচর যিনি।

টেলিভিশনে আওয়ামী লীগ সরকারের রাষ্ট্রীয় গুন্ডামী পান্ডামীর সমালোচনা করে "মিছা মুছা" খেতাব পেয়ে এবিএম মুসা বেইজ্জত হয়েছেন মুজিব ভাইয়ের " সেই রকম " মেয়ের কাছে.......

ড: ইউনুসেকে নিয়ে যা করা হলো সেটাতো দেশ নয় কেবল , সারাবিশ্ব প্রচারিত।

হাসিনা ওয়াজেদ ক্ষমতায় আসতে চান কেন ?

উনি ভাবেন উনার বাবা এই বাংলাদেশ মুল্লুকের নবাবীর আদি মালিক।
পিতার অবর্তমানে এই নবাবীর দলিল তারই প্রাপ্য।

ভুল বললাম ?
কিভাবে ?

আপনি কি জানেন ডুলাহাজারী সাফারী পার্ক নামের জংগলের নাম বংগবন্ধু সাফারী পার্ক ?
আপনি কখনো শুনেছেন কোন জাতীয় পুরস্কার / পদকের আগে ব্যক্তির নাম যুক্ত করতে ?

এটা কি শুনেছেন জাতীয় কৃষি পদকের বর্তমান নাম বংগবন্ধু জাতীয় কৃষি পদক ?

আড়িয়াল বিলে বংগবন্ধু এয়ারপোর্ট নিয়ে তো রীতিমত পাবলিকের মার খেয়ে পালাতে হয়েছে......

এভাবে আরো কত "জাতীয়" কিছু যে "বংগবন্ধু" হয়ে গেছে সরকারী দলিলে সেটা টেরও পাননি হয়তো......

এদেশে কোন দল কেন ক্ষমতায় আসতে চায় সেটা নিয়ে বিশাল বিতর্ক হতে পারে অনায়াসে।

কিন্তু আওয়ামী লীগ কেন ক্ষমতায় আসতে চায় সেটা একবাক্যে বলে দেয়া যায়.....

কি সেটা ?

শেখ মুজিবকে প্রতিষ্ঠা করা , বাংলাদেশ কে প্রতিষ্ঠা করা নয়........

আপনি সারাবিশ্বের দিকে তাকান - প্রতিটা দেশের ১০ একক মুদ্রায় এক নেতার ছবি তো ২০ একক মুদ্রায় অন্য নেতার ছবি , ১০০ একক মুদ্রায় ৩য় কোন নেতার ছবি.....

অথচ এ দেশের প্রতিটা টাকার নোটে , ধাতব মুদ্রায় শেখ মুজিবের প্রতিকৃতি!
বিএনপি তো জিয়ার মৃত্যুর পর ২ দফা ক্ষমতায় ছিলো।
কই , কোন দিনতো দেখিনি কোন কাগজের কিংবা ধাতব মুদ্রায় জিয়ার প্রতিকৃতি..

এই দলটির সমর্থক , নেতা কর্মী সবাই স্রেফ মুজিব পীরের মুরিদ........

দেশ ভুমিকম্পে চুড়মুড় - কিচ্ছু যায় আসেনা এদের।
এরা দেখবে - শেখ মুজিবুর রহমানের মাজার , তার ভাস্কর্য , তার প্রতিকৃতি, ধানমন্ডি ৩২ নাম্বার ঠিক আছে কিনা.........

আজ যদি দেশে একটা জরিপ করে জানা যায় যে মোটে মিলে ২০ % মানুষও শেখ মুজিবকে চেনেনা তাহলে মুজিব ভক্তরা চাইবে এই দেশ ধ্বংস হয়ে যাক........

এই দেশ তাদের আর প্রয়োজন নেই......

একিভাবে যদি জরিপ করে জানা যায় যে দেশের মোট ২০ % মানুষও জিয়া কে চেনেনা
তাহলে বিএনপির নেতা কর্মী সমর্থকদের ভেতরে কি প্রতিক্রিয়া হবে ?

আমি নিজে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের একজন হোলহার্টেড অনুরক্ত হিসেবে গ্যারান্টী দিয়ে উত্তরটা দিতে পারি-

তারা সবাই মানসিক ভাবে হতাশ হবে , দু:খিত হবে , আহত হবে.......
কিন্তু কখনোই এটা চাইবে না যে জিয়াকে যেহেতু এদেশের মানুষ শ্রদ্ধা করেনা সেহেতু এই দেশ ধ্বংস হয়ে যাক.....
তারা এমনটা কখনোই চাইবেনা.......

বরন্চ্ঞ বিষয়টা তাদের মনোস্তত্ত্বে এভাবে কাজ করবে- শ্রদ্ধা- ভক্তি-ভালোবাসা এগুলো জোর করে , আইন করে , আদালতের পোষা কুকুরের হুমকী ধামকী দিয়ে পাওয়া যায়না.....

এগুলো মানুষের স্বত:স্ফূর্ত মন থেকে অর্জন করতে হয়........
জিয়াকে না চিনলে , না মনে রাখলেও দেশটা এগিয়ে যাক......
এগিয়ে যাক একটা নিরাপদ আর উত্তম ভবিষ্যতের দিকে.......

একজন জিয়াউর রহমান ভক্তের দেশ-রাজনৈতিক মনোস্তত্ত্ব এমনই - নিশ্চয়তা দিয়ে বলতে পারি.......

কিন্তু একজন আওয়ামী লীগ সমর্থক - এরা মুজিব ভক্তিনেশায় যেকোন অমানুষের কাজও হাসতে হাসতে করতে পারে......

এদের নেশার একটা হাল্কা উদাহরন দেই.....

২০০৮ নির্বাচন জেতার পর ফেসবুকের বিভিন্ন রাজনৈতিক পেজে আওয়ামী লীগ সমর্থকরা কি বলে সেটা পড়তাম.......

একজন আওয়ামী লীগ সমর্থকের ইলেকশন ভিক্টোরী সেলিব্রেশন মন্তব্য ছিলো এরকম:
"এবারের সংগ্রাম ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার সংগ্রাম"

ডিজিটাল বাংলাদেশ তৈরী করতে ইন্টারনেট কে একেবার সুলভ করতে হবে, কম্পিউটার কে সর্বনিম্ন সম্ভব মুল্যে নামিয়ে আনতে হবে , সরকারী পেপার ওয়ার্ক গুলোকে যতটা সম্ভব গ্রিন / পেপারলেস করতে হবে অনলাইন সিস্টেম জেনারেট করার মাধ্যমে - এ গুলোই কোর্স অব প্রসিজিউর.......

সবচাইতে বড় কথা - হাতে কলমে আইটি এডুকেশন নিম্নমাধ্যমিক পর্যায় থেকেই প্লাগ ইন করতে হবে স্কুল গুলোতে কম্পিউটার ল্যাব , প্রোগ্রামিং শিক্ষক নিয়োগ সহ....

এখানে সংগ্রামের কি আছে ?!

এমন একটা ব্যাপারে যারা "সংগ্রামের" মত যুদ্ধংদেহীতা পোষন করে কিংবা যু্দ্ধ হাংগামার ফ্লেবার খুজে পায় তাদের রাজনৈতিক মনস্তত্ত্ব কেমন সেটা নিজেই বুঝে নিন........

অসুস্থ
আওয়ামী লীগ একটি রাজনৈতিক হুলিগান দল.......
এই দলের কর্মী সমর্থকরা রাজনৈতিক জংগী.......

আপত্তি করতে চান ?
সে সুযোগ পাবেন না.....
সে সুযোগ রেলের কালো বিড়াল সুরন্জ্ঞিত বাবুই রাখেন নি......

সুরন্জ্ঞিত বাবু গত সাড়ে ৩ বছরে বিএনপির ডাকা ১০ দিন হরতালকে টিটকারী করে বলেছিলেন-
"হরতাল আন্দোলন কিভাবে করতে হয় সেটা বিএনপির আওয়ামী লীগের কাছ থেকে শিখতে হবে"

এখান থেকে ২ টা বিষয় ইমপ্লাইড হয় :

১। জন আতংক তৈরী করার মত হরতাল - ভাংচুর- জ্বালাও পোড়াও এ আওয়ামী লীগ চ্যাম্পিয়ন।
এই জন আতংক তৈরী করার কাজে বিএনপি আওয়ামী লীগের চেয়ে অতি কম দক্ষ।

২। একই সংগে সুরন্জ্ঞিত বাবু বিএনপিকে প্ররোচিত করলেন- "পারলে আমাদের মত রংবাজি হাংগামা করে দেখাও"

ইমপ্লিকেশন গুলোতে কোন ভুল খুজে পেলেন ?
এরসংগে হাসিনা ওয়াজেদের লগী বৈঠার ইউটিউব রেকর্ড মিলিয়ে নিন।

সমঝদারকে লিয়ে ইশারাই কাফি হ্যায়..........



দেশের অবস্থা বর্ননাতীত।

দেশ থেকে যতটুকু জানতে পারি হাসিনা ওয়াজেদকে এখন নিম্ন বিত্ত আর নিম্ন মধ্যবিত্ত মানুষরা যৌন খিস্তি খেউর করে.... আর মধ্যবিত্তরা বলে "হারাম....দী"

হাসিনা ওয়াজেদ দিনে দিনে আতংকিত হচ্ছেন , তার আতংকের মাত্রা বাড়ছে।
মানুষ যখন প্রবল ভয়ে থাকে তখন দুটোর একটা ঘটে :

১। হয় তার ভয়ার্ত অবস্থা প্রকটভাবে ধরা পড়ে সবার কাছে।
২। অথবা তার ভয়ার্ত অবস্থা বাহ্যিকভাবে পুরোপুরি লুকানো থাকে। কিন্তু সেটা প্রবলভাবে টের পাওয়া যায়।

হাসিনা ওয়াজেদ ২য় পন্থা নিয়েছেন.......
কিভাবে টের পাওয়া যায় ?

শীতল রক্তের প্রানীর সিম্পটম গুলোতেই সেটা ধরা পড়ে।


সাপ সবাইকে কামড় দিতে চায় , ছোবল দিতে চায়.....
হাসিনা ওয়াজেদও সবাইকে আক্রমন করছেন.......
সাংবাদিক , বুদ্ধিজীবি , রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ, পেশাজীবি, সাধারন মানুষ , দেশীয় স্বার্থ আন্দোলনের কর্মী - সবাইকে লাঠিপেটা করছেন , মামলা দিচ্ছেন , সাদা পোশাকের পুলিশ ভুয়া পরিচয়ের দলীয় গুন্ডাবাহিনী দিয়ে মারধোর করছেন।

হাসিনা ওয়াজেদের সুযোগ্য ফুফাতো ভাই , নুইলা মুসার বেয়াই সাচ্চা বেয়াদব সেলিম
আনু মোঃ কে টিটকারী করে বলেছিলো: "কোথাকার কোন মনু মোহাম্মদ"......

কেন ?
আনু মোহাম্মদ কনোকো ফিলিপসের কাছে সমুদ্রব্লক ইজারা দেয়ার বিরোধীতা করেছিলেন।

এদের আতংক এমন পর্যায়ে গেছে যে সেটা অন্যভাবে ক্যালিব্রেট করা যায়।
কিভাবে ?
ঠিক এভাবে - শাহরিয়ার কবীর ৭১ 'র ঘাতক দালাল নির্মুল কমিটির চেয়ারম্যান।
যুঅবি নিয়ে সরকারের টালবাহানা আর ধান্দাবাজী মোটিভ দেখে শাহরিয়ার কবীর মন্তব্য করেছিলেন :
এই সরকার চলে গেলে সব নেতারা বিদেশে পালিয়ে যাবেন , কিন্তু আমরা কোথায় পালাবো ?

শাহরিয়ার কবীর পুলিশের কমিশনার নন , গোয়েন্দা কর্মকর্তাও নন।

সাহারা নামের রাবিশ মহিলার কথামত বিরোধী দলের উপর তিনি কোন লাঠিয়ালীও করছেননা , কিংবা কাউকে গুম খুনের সাথেও তিনি জড়িত নন।

কেবল রাজনৈতিক মতাদর্শে আওয়ামী সমর্থক।
এরপরও তিনি ভয় পেয়ে গেছেন।

তার মানেটা কি দাড়ালো ?

আওয়ামী লীগ নিজেও জানে দিন বদলের নামে তারা গত সাড়ে ৩ বছর যা করেছে তাতে তারা ৩ টা ভয়ে আছে :

১। বিএনপি না জানি কি ভয়ংকর ভাবে প্রতিশোধ নেয়
২। অবস্থা যেভাবে চলছে , পুরো দেশটাই না জানি কখন আড়িয়াল বিল হয়ে যায়।
৩। জোর জবর দস্তী করে যদি একদলীয় নির্বাচন করে ক্ষমতা দখল করে ২০১৪ তে , তার পরের ভবিষ্যত কি ?

যে মূলোটা বাড়ে সেটা পত্তনেই বোঝা যায়।


আওয়ামি আতংক বেড়ে যাওয়ার বিষয়টা খুব সহজভাবে বোঝাতে পারি।

ধরুন স্টেডিয়ামে খেলা চলছে। প্রচুর দর্শক।
একদল ফেয়ার খেলছে , ডিফেন্সিভ খেলছে।
অন্যদল প্রচন্ড আনফেয়ার - রাফ খেলছে।

এধরনের ক্ষেত্রে কি ঘটে ?

দর্শক শুরুতে বিরক্ত হয় আনফেয়ার প্লেয়িং দলের ওপর , কিছুক্ষন পর গালাগালি করে।
পরিস্থিতি খুব বেশী বাজে হয়ে গেলে মারমুখী হয়ে ওঠে।
এবং সেটা অবশ্যই রাফ খেলা দলের বিপক্ষেই।

এসব ক্ষেত্রে পাবলিকের মারের হাত থেকে বাচার ঘটনা তখনই ঘটে যখন ২ দলই রাফ খেলে।

আওয়ামী সরকার আর বিএনপির ভেতরে এখন অবস্থাটা সে রকমই।
বিএনপি ডিফেন্সিভ এবং ফেয়ার খেলাটাই এখন আওয়ামী লীগের জন্য অসহ্য হয়ে উঠেছে।

কারন - তারা জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।
অন্যদিকে কুকুরের বাঁকা লেজ কোনদিনও সোজা হয়না , তাই রাফ প্লেয়িং আওয়ামী তীব্র নিন্দিত হচ্ছে।

আওয়ামী লীগ মনে প্রানে চাইছে বিএনপিকে রাফ খেলায় টেনে আনতে।

কিন্তু পারছেনা , জননিন্দা বাড়ছেতো বাড়ছেই।
তাদের রাফ খেলাটা মানুষের চোখে আরো কড়া কনট্রাস্টে ধরা পড়ছে।

আরো একটা ব্যাপার আছে.......

মোরগ লড়াইয়ের গল্পটা নিশ্চয় মনে আছে।
শুরুতে মার খাওয়া মোরগটাই শেষপর্যন্ত জিতে যায়।

আওয়ামী লীগ বুঝতে পারছে বিএনপি মার হজম করছে এখন , কিন্তু বিএনপির শক্তি নি:শেষ হয়নি মোটেই।

আর আওয়ামী লীগ গত সাড়ে ৩ বছর মারামারি - গুন্ডামী করে যথেষ্ট শক্তি ক্ষয় করেছে।
অবশিষ্ট শক্তি দিয়ে আক্রমন চালিয়ে যাচ্ছে।
শক্তি নি:শেষ হবার আগেই বিএনপি কে হারাতে চাইছে।

কিন্তু বিএনপির ঠান্ডা রাজনীতির কাছে তাদের টিপিকাল আওয়ামী উন্মাদ আক্রমন ব্যাক বাউন্স হচ্ছে কিংবা বাতাসে ঘুষি চালানোর মত মিলিয়ে যাচ্ছে।

উন্মাদনাটা সে কারনেই বেশী।


এরসংগে আরো ৩ টা কারন আছে :
১ম টা হলো :

কথায় বলে কাকের মাংস কাকে খায়না , কিন্তু আওয়ামী লীগের মাংস আওয়ামী লীগ খায়।
আওয়ামী লীগ আত্ননিয়ন্ত্রন করতে জানেনা। কোনদিন জানবেও না।
এরা নিজেরাই নিজেদেরকে মেরে শেষ করবে যত বেশী সময় ক্ষমতায় থাকবে এরা।
ড্যাম শিউর।

২য় টা হলো:

এরশাদ এবং শরীক দল।
এরা কখনোই পাবলিক পালসের বিপক্ষে যাবেনা।
আমি গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি - পাবলিক পালসে "বিপদজনক" কিছু টের পেলে এরা ভুলেও হাসিনার সংগে থাকবেনা এখন যত তাল ই দিক.......
আর প্রকট বাস্তব যেটা - পাবলিক পালসের কি অবস্থা সেটা সবাই জানে।

৩য় টা হলো :

মিডিয়া , এদেশের মিডিয়ার কাছে আওয়ামী লীগ আলালের ঘরে দুলাল।
প্রথম আলো , কালের কন্ঠ , সমকাল , ইত্তেফাক সবাই এতদিন আওয়ামী লীগকে ডিফেন্ড করেছে।

কিন্তু আর সম্ভব হচ্ছেনা।
সমকাল সারোয়ারের থ্রেটেনড হওয়াটা সেরকমই।

সাব্বির হত্যা মামলা থেকে ২ ছেলেকে খালাস করিয়েছেন বসুন্ধরার শাহ আলম (পিতৃপ্রদত্ত নাম) ওরফে আহমেদ আকবর সোবহান (নিজে নিজে অ্যাফিডেভিট করা নাম)।
উকিল ছিলো ব্যারিস্টার তাপস।
আপাতত তাই হাসিনা ওয়াজেদকে খুশী রাখতে হবে।

জোকার নাইমুলও আমাদের সময়ের সম্পাদনা ফিরে পেয়েছেন। তাকেও তাই হাসিনা ওয়াজেদকে খুশী রাখতে হবে।

টিভি চ্যানেলগুলো এত বেশী চোখ রাঙানী দেখেছে গত সাড়ে ৩ বছরে যেটা রেকর্ড।

কিন্তু গ্যারান্টী- ২০১৩' র সেপ্টেম্বরের পর থেকে এরা সবাই আওয়ামী লীগকে লাথি মেরে ফেলে দেবে।

তারপরও আওয়ামী লীগ খেলবে , ২০১৪ তে ক্ষমতায় আসার স্বপ্ন দেখবে।
কেন ?

দিল্লীশ্বর আর আমেরিকাকে খুশী করে আবার ক্ষমতায় আসবে।

অনেক অনলাইন রাজনৈতিক প্রচারনাতে এমনটাই লেখা হয়......


কিন্তু কিছুই হবেনা।
ট্রাস্ট মী....

এত নিশ্চয়তা দিয়ে কিভাবে বলছি ?
কারন পাবলিক পালস।

মানুষ অতিষ্ঠ হতে হতে একসময় সর্বহারা হয়ে উঠবে।
নাটোরে একসময় চাঁদাবাজ ঠেকানোর জন্য লাঠিবাঁশী কমিটি তৈরী হয়েছিলো।
খুব বেশী দেরী নয় , হয়তো আর ২০ মাস , সারাদেশে আওয়ামী লীগ প্রতিরোধের জন্য সাধারন মানুষ লাঠিবাশী কমিটি তৈরী করবে........

আর আওয়ামী লীগ মানুষকে অতিষ্ঠ করে তোলা ছাড়া অন্য কোন কর্মে দক্ষ নয়.....
এটা মুজিব ডাইন্যাস্টীর ঐতিহ্য.....


চসেস্কুর পতন কিভাবে হয়েছিলো ইউটিউবে দেখে নিতে পারেন...............

যেই সেনাবাহিনী - পুলিশ দিয়ে মানুষকে দমন করেছিলো সেই সেনাবাহিনী , সেই একই অনুগত অফিসাররাই চসেস্কু আর তার স্ত্রীকে ধরে এনে ব্রাশ ফায়ার করেছিলো.......

হাসিনা ওয়াজেদ ক্ষমতার উষ্ঞতা এখনো উপভোগ করছেন।
আদালত, পুলিশ , বিজিবি , র‌্যাব , সেনাবাহিনী, ডিবি, এসবি , সাংবাদিক, ব্যবসায়ী সবাইকে নিয়ন্ত্রন করছেন......

কিন্তু হাসিনা ওয়াজেদ যেটা টের পাচ্ছেন না সেটা হলো - এরা সবাই তার চোখ রাঙানীতে নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে , বনফুলের ছন্দে ছন্দে নয় , মনোআনন্দে নয়......
এদেরকে গোলামীর শিকল পড়িয়ে রেখেছেন হাসিনা ওয়াজেদ।

গুন্ডামী করতে করতে , মানুষকে অতিষ্ঠ করতে করতে এদের দুষিত শক্তি শেষ হয়ে আসুক , মানুষও এদের কে প্রতিরোধের জন্য লাঠি বাঁশী হাতে নিক - তখন ই হাসিনা ওয়াজেদ টের পাবেন-

সবাই গোলামীর শিকলটা ভাঙছে।
এবার পাল্টা মার দেবার সময়।

হাসিনা ওয়াজেদ আর তার সাংগপাংগরা সেই অপেক্ষমান "মরন ডলা" / " মরন ছ্যাচা " থেকে বাঁচার জন্যই ডানে বামে উপরে নিচে সবদিকে অন্ধের মত ঘুষি চালাচ্ছে......

কৃত্রিম আন্দোলন- প্রতিরোধে নেতা গুম হলে আন্দোলন - প্রতিরোধ থেমে যায়.......
সত্যিকার প্রতিরোধের সময় সেটা হয়না ।
মানুষ ই নতুন নেতা তৈরী করে নেয়।

হাসিনা ওয়াজেদ - প্রস্তুত হয়ে যান...........
আপনি যতই হেডলাইন বানানোর চালাকী করছেন , ততোই গলায় আপনার দড়ি আটকাচ্ছে........

































সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই মে, ২০১২ দুপুর ১২:২৭
৬৮টি মন্তব্য ৬১টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মানুষের জন্য নিয়ম নয়, নিয়মের জন্য মানুষ?

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৫:৪৭



কুমিল্লা থেকে বাসযোগে (রূপান্তর পরিবহণ) ঢাকায় আসছিলাম। সাইনবোর্ড এলাকায় আসার পর ট্রাফিক পুলিশ গাড়ি আটকালেন। ঘটনা কী জানতে চাইলে বললেন, আপনাদের অন্য গাড়িতে তুলে দেওয়া হবে। আপনারা নামুন।

এটা তো... ...বাকিটুকু পড়ুন

একটা গাছ কাঠ হলো, কার কী তাতে আসে গেলো!

লিখেছেন নয়ন বড়ুয়া, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:০৬



ছবিঃ একটি ফেসবুক পেইজ থেকে

একটা গাছ আমাকে যতটা আগলে রাখতে চাই, ভালো রাখতে চাই, আমি ততটা সেই গাছের জন্য কিছুই করতে পারিনা...
তাকে কেউ হত্যা করতে চাইলে বাঁধাও দিতে পারিনা...
অথচ... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। কালবৈশাখী

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:২৪



গত পরশু এমনটি ঘটেছিল , আজও ঘটলো । ৩৮ / ৩৯ সে, গরমে পুড়ে বিকেলে হটাৎ কালবৈশাখী রুদ্র বেশে হানা দিল । খুশি হলাম বেদম । রূপনগর... ...বাকিটুকু পড়ুন

একজন খাঁটি ব্যবসায়ী ও তার গ্রাহক ভিক্ষুকের গল্প!

লিখেছেন শেরজা তপন, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:০৪


ভারতের রাজস্থানী ও মাড়ওয়ার সম্প্রদায়ের লোকজনকে মূলত মাড়ওয়ারি বলে আমরা জানি। এরা মূলত ভারতবর্ষের সবচাইতে সফল ব্যবসায়িক সম্প্রদায়- মাড়ওয়ারি ব্যবসায়ীরা ঐতিহাসিকভাবে অভ্যাসগতভাবে পরিযায়ী। বাংলাদেশ-ভারত নেপাল পাকিস্তান থেকে শুরু করে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×