somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ছোট গল্পঃ বিভ্রম

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:২২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



না না না আমি আর পারছিনা ডাক্তার আমি আর পারছিনা আমার জন্য কিছু একটা করুন প্লিজ। বুঝতে চেষ্টা করুন, একটা সুস্থ স্বাভাবিক মানুষ এভাবে বাঁচতে পারেনা! এর থেকে আমাকে বিষ প্রেস্ক্রাইব করুন খেয়ে মরে যাই। কি বলছেন আপনি? কি বলছেন? এটা এমন কোন ব্যাপার না? আপনি! ওহ ডাক্তার আমি আপনাকে কীভাবে বোঝাবো! আমি যে ছেলেটাকে কি অদ্ভুতভাবে আমার দিকে তাকিয়ে থাকতে দেখি আপনি কি জানেন? না! না! আপনি! আপনি একদম বুঝতে পারছেন না! না সরি সরি! আমার ভুল হয়েছে আপনার কাছে আসাটা।

কি বললেন? পাগল!? পাগল বললেন আপনি? কোথায় আছে রোগীকে ডাক্তার পাগল বলে? কোথায় আছে? আপনি আসলে ডাক্তারই না বুঝলেন? কোথায় আপনার ডিগ্রিগুলো? কোথায়? দিন; এদিকে দিন দেখি; আপনি আসলেই পাশ করা ডাক্তার; না আমাদের মুদি দোকানদার আবুল? আবুলের হাঁটুর নীচেও আপনার জ্ঞান বুদ্ধি পড়ে আছে বুঝলেন? শোনেন শোনেন একদম কথা বারাবেন না! না! একদম না! বেশি কথা বলা আমি একদম পছন্দ করিনা! চুপ করেন থামেন।
চুপ কর বাঁচাল ডাক্তার! একদম চুপ! এই শেষ কথাটুকু বলেই ঝট করে দরজা খুলে বেরিয়ে এলাম ডাক্তারের কেবিন থেকে, ব্যাটা আমাকে শেষ পর্যন্ত কিনা পাগল বলল!

আরে! তুই আমার কথা শুনে এইভাবে তাকাবি? বেয়াদব কোথাকার! কুতকুতে ছোট চোখগুলো দিয়ে মুখে মিটমিটা হাসি দিয়ে, এমনভাবে তাকিয়ে থাকলি কথা শুনলি! যেন সাক্ষাৎ একটা পাগল দেখছিস! শেষে কিনা বলেই দিলি! পাগল! আমাকে পাগল বলে? এই আমাকে! যে কিনা জীবনের বারোটি বছর কাটিয়েছে শিক্ষকতা করে।
এবং এখনো আমি শিক্ষকতা করেই যাচ্ছি। কি করছিনা আমি আমার ছাত্রছাত্রীদের জন্য!
নিজেকে বিলীন করে দিয়েছি আমি আমার প্রিয় ছাত্রছাত্রীর জন্য! দিনের পর দিন আমি দেশি বিদেশি বিভিন্ন বই পড়ে রাত জেগে জেগে প্রিপারেশন নিয়েছি ক্লাস নেয়ার আগের দিন।
যেন আমি আমার ছাত্রছাত্রীকে আমার বেস্টটাই দিতে পারি! শিখিয়েছি নম্রতা, ভদ্রতা, বিনয়, মানুষের প্রতি ভালোবাসা, দেশের প্রতি ভালোবাসা, পৃথিবীর সকল কিছুর প্রতি অসীম ভালোবাসা। এই শিক্ষা তো আমিই দিয়েছি আমার ছাত্রছাত্রীদের। দেইনি?? সেই আমাকে কিনা আজ একটা পাগলের ডাক্তার পাগল বলে!?
আসলে মানুষ ঠিকই বলে পাগলের ডাক্তারও হয় পাগল! ব্যাটা নিজেই পাগল আমাকে বলে কিনা পাগল। ব্যাটার দেঁতো চেহারাটা কি আয়নায় কভু দেখেনি? তুই ডাক্তার হয়েছিস বদ্ধ উম্মাদ কোথাকার! ভালো করেছিস! বড় বিদ্বান ডাক্তার হয়ে মানুষের মাথা কিনে নিয়েছিস। যাকে তাকে ভদ্র একজন শিক্ষককে ও পাগল বলে দিস।
বলি আয়নায় গিয়ে একটু নিজের চেহারাটা দেখতে পারিস না? তাহলেই তো তোর হলুদ ভুতুরে উঁচু উঁচু বিদঘুটে দাঁত চোখে পড়তো! নিজের দাঁত নিজে দেখেই বেহুঁশ হয়ে যেতিস আর তারপরও জ্ঞান ফিরে দাঁতগুলোর একটা দফা রফা করতিস গর্দভ কোথাকার! শালা টেকো বান্দর।

উফ ঐতো ঐ! ঐ তো বসে আছে ছেলেটা! বয়স চব্বিশ কি পঁচিশ হবে! কি সুন্দর ফর্শা! লম্বা নাক! ঘন জোড় ভ্রু উঁচু কপাল আর কোঁকড়ানো লালচে চুলের এই ছেলেটি কেন! কেন আমার পিছু ছাড়ছেনা! আমার আর ভালোলাগেনা! ডাক্তারের চেম্বার থেকে বেরিয়ে কেবল পনেরো গজ হেঁটেছি; এর ভেতর গন্ধ শুকেশুকে খোঁজ পেয়ে গেছে আমার।
কেমন করে পিছু পিছু চলে এসেছে! একদম ভালো লাগেনা! মাঝে মাঝে তো আমার ভয়ই লাগে, আজ তিন মাস।পুরো তিন মাস ধরে এই অবস্থা।
ছেলেটি কিছুতেই আমার পিছু ছাড়ছে না! কি চায় তাও বলে না; শুধু ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে থাকে। প্রথম যেদিন ছেলেটিকে দেখি সেদিন ঘন কুয়াশার রাত ইউনিভার্সিটি থেকে ক্লাস নিয়ে ফিরছি আমি রিক্সায় বসা।
মেইন রোড থেকে রিক্সা আমার বাড়ির পথ ধরতেই ঠাণ্ডা যেন ঝেঁকে ধরেছে অথচ তখন ঠিক শীতের সময় ও না, এই বছর এত কুয়াশাও আমি ঐ দিনের আগে যে দেখেছি তাও না! রিক্সা কিছুদূর এগোতেই আমার রিক্সাওয়ালা রিক্সা থামালো, আমি তাকে বললাম কি হয়েছে? সে জবাব দিলো চেইন পড়ে গেছে!
হতেই পারে রিক্সার চেইন পড়ে যেতেই পারে, যেখানে মানুষই মরে যায় সেখানে এটা তো একটা রিক্সার চেইন মাত্র সেটি পড়ে যাবে, পড়ে গেলে আবার তোলা হবে এই তো স্বাভাবিক!
আমি হঠাৎ খেয়াল করলাম আমার রিক্সার সামনে একযুবক দাঁড়ানো। সে কিছু বলল না তবে ভাব দেখে মনে হল তার সাহায্য দরকার ভেতরের দিকের রাস্তা; আশেপাশে আর কোন রিক্সা পাচ্ছেনা বলেই হয়তো আমার সাথে রিক্সায় যেতে চায়, আমি তাকে তুলে নিলাম আমার রিক্সায়।

যেতে যেতে সেদিনের ক্লাসের পুরো লেকচারটা ছেলেটাকে শুনালাম। শ্রোতা হিসেবে তাকে আমার খুবি পছন্দ হল! রিক্সাওয়ালাও হয়তো আমার লেকচার শুনছিল! শুনবেনা তো কি করবে গরীব ছেলেপেলে জীবনে ইউনিভার্সিটি দূরে থাক হয়তো স্কুলে যাওয়ারই সৌভাগ্য হয়নি বেচারার! আমি এককথা এই জন্য দুইবার করে বললাম যদি রিক্সাওয়ালা এ থেকে জ্ঞান অর্জন করতে পারে। বাড়ির সামনে পৌঁছে যেতে রিক্সাওয়ালাকে ভাড়া দিতে দিতে ছেলেটিকে জিজ্ঞেশ করলাম কোথায় যাবে? সে কোন জবাব না দেয়ায় তার জন্য রিক্সাওয়ালাকে একটা একশো টাকার নোট হাতে দিয়ে বললাম, ছেলেটি যেখানে যেতে চায় নামিয়ে দিও, রিক্সাওয়ালা আচ্ছা বলে এমন জোরে তার রিক্সা ছুটিয়ে ফোঁস করে সামনে থেকে ছুটে গেলো না!আমি আন্দাজ করলাম ও বুঝি এত কুয়াশা দেখে ভয় পেয়েছে।

ব্যাস সেই থেকে আমার কাল হল সেই ছেলেটা! সারাক্ষন উঠতে বসতে ক্লাসে কর্নারে, চায়ের দোকানে, রেস্টুরেন্টে, পার্কে, শপিং মলে, এমন কি টয়লেটের সামনে একদিন দেখি ছেলেটি ভ্যাবলার মত দাঁড়িয়ে আছে। আরে বাবা তুই ও পুরুষ আমিও পুরুষ আমাকে এত দেখার কি আছে!
দেখতে দেখতে এখন আমার ধৈর্যের বাঁধ ভেঙ্গে যাচ্ছে একটা প্রাইভেসির ও তো একটা ব্যাপার আছে নাকি? এই জ্বালা আমি আর নিতে পারছিনা! যখন যেখানে যাই যা করি; মাথার পেছনে দেয়াল ঘড়ির মত ঝুলে আছে যেন ছেলেটি, আর মাথার ভেতর ক্লিক ক্লিক ক্লিক ক্লিক শব্দ করে আমার সুন্দর স্বাভাবিক জীবনটা ধংশ করে দিচ্ছে।

নাহ আর পারছিনা আমি; আর পারছিনা! এই জন্যই তো গিয়েছিলাম ঐ মানসিক ডাক্তারের কাছে, লোকটার কাছে বিপদে পড়েই তো গিয়েছিলাম নাকি! আর তুই কিনা আমাকে উদ্ভট উদ্ভট প্রশ্ন করে পাগল বানিয়ে দিলি! কত্ত বড় স্পর্ধা আমাকে বলে আপনি কি বিবাহিত? বিয়ে করেননি কেন? প্রেম করে জীবনে কতবার অসফল হয়েছিলেন?কোথাও পরকীয়া করছেন নাকি? শারীরিক সম্পর্ক আছে কারো সাথে?আপনি কি ড্রাগ নেন? দিনে কয়বার মদ পান করেন? ইন্দুর ডাক্তার তোর কুঁতকুঁতে চোখ নিয়ে আর খরগোশের মত উঁচু দাঁত নিয়ে কয়বার পরকীয়া করছিস বল? কার কার সাথে কি করে বেড়াস আমি কি জিজ্ঞেশ করেছি? বেয়াদব! একজন মহান শিক্ষককে কি ধরনের প্রশ্ন করতে হয় ওইগুলো কি তোদের বইয়ে ছিল না?

ভালো লাগছে না। তিন কুলে কেবল আমার মা আছেন, এখন নিশ্চয়ই ঘুমিয়ে পড়েছেন? যুবকটি আমাকে সারাপথ ফলো করেছে আমার পিছু পিছু এসেছে, এমনকি আমি গেটের দরজা খুলতে খুলতে টের পেয়েছি সে আমার পেছনেই দাঁড়িয়ে ছিল!। ঘরে পা দিতেই ক্লান্তিতে সারা শরীর অবশ প্রায়। চোখ বন্ধ করতেই কখন যে ঘুমিয়ে পড়েছি মনে করতে পারছিনা।

ভোর কেবল হয়েছে বোধহয়, চারপাশে আধো আলো আধো অন্ধকার, তখন কেন জানি ঘুম ভেঙ্গে গেলো, আমি চোখ খুলে তাকাতেই দেখলাম আমার ঘরের দেয়ালে বিচিত্র সব লেখা হেঁটে বেড়াচ্ছে! আমি জীবনে ও এত বিচিত্র দৃশ্য দেখিনি। সারা দেয়াল জুড়ে লেখা।
আমি এতদিন যত বিদ্যা অর্জন করেছি সব; সব ভাসছে; হাঁটছে; ওর ভেতর থেকে একটা লাইন উড়ে আসতে লাগলো আমার দিকে সেখানে খুব অদ্ভুত অবিশ্বাস্য বাক্য লেখা।

আমি উঠে দাঁড়ালাম জানালার পর্দা সরাতেই যা ভেবেছি তাই ছেলেটি সেখানে দাঁড়িয়ে। একভাবে আমার দিকেই চেয়ে আছে সে।

কি প্রচণ্ড রাগ হলো আমার, একটা ছুরি; একটা ছুরি আমি রান্না ঘরে খুঁজে পেতেই দরজা খুলে ছুটে গেলাম ওর দিকে, আজ তোকে মেরেই ফেলব হারামজাদা!
তারপর,

ছেলেটি কেঁদে উঠলো! কি আশ্চর্য! ছেলেটি আমার দিকে ভয়ার্ত চোখে চেয়ে চিৎকার করে কাঁদছে! আমার মা! আমার মা কোত্থেকে যেন দৌড়ে এসে ওকে ঝাঁপটে ধরেছে বার বার বলছে তোর কিচ্ছু হবেনা; তোর কিচ্ছু হবেনা বাবা; আমি আছি; আমি আছি তোর সাথে, আমি থাকতে তোর কেউ কোন ক্ষতি করতে পারবেনা!

কি! কি বলছে মা! কি বলছে এসব!ছেলেটি আমার দিকে তাকিয়ে কেঁপে কেঁপে বলছে, তুমি অবাস্তব! তুমি অবাস্তব! আমি ভুল দেখছি! আমি ভুল দেখছি ভাইয়া!
তুমি তো মরে গেছো এক্সিডেন্ট করে, তুমি আর ফিরে আসতে পারবেনা! ডাক্তার বলেছে এগুলো আমার মন গড়া, আমার মন তোমায় তৈরি করেছে, তোমার অস্তিত্ব বাস্তবে নেই, হতে পারেনা। সম্ভব না।

ঝাপসা কুয়াশার সে রাতের কথা আমার মনেপড়ে। ছায়া ছায়া মনেপড়ে বিগত দিনের কথা; মনেপড়ে ডাক্তারের চেম্বারের কথা। আমি সেখানে দাঁড়িয়েছিলাম। আমি সবখানে দাঁড়িয়ে ছিলাম, কোথাও আমি কিছু বলিনি।
আমি দেখেছি শুধু! মনেপড়ে উড়ে আসা শব্দমালার কথা তুমি আর এই পৃথিবীর কেউ নও।

ঐ তো মা কাঁদছে, আমার ছবি নিয়ে কাঁদছে, ঐ তো ঐ ছেলেটি! ও আমার ভাই! কাঁদতে কাঁদতে গভীর শোকতাপ ভয় ভালোবাসা নিয়ে চেয়ে আছে আমারই দিকে, আমি আর কিছু ভাবতে পারছিনা,
ধীরে ধীরে সব শুন্য হয়ে যাচ্ছে কেন! আহ! একি! সব অদৃশ্য হয়ে যাচ্ছে কেন? মা; ভাই এই পৃথিবী! সব! সব।
আমি হারিয়ে যাচ্ছি শূন্যে অথবা অন্য ভুবনে। শেষবারের মত মনে পড়লো, একদিন আমি এইখানে ছিলাম, একজন শিক্ষক হিসেবে একজন মহান শিক্ষক হিসেবে।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ১১:৪৩
১৩টি মন্তব্য ১৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মানুষের জন্য নিয়ম নয়, নিয়মের জন্য মানুষ?

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৫:৪৭



কুমিল্লা থেকে বাসযোগে (রূপান্তর পরিবহণ) ঢাকায় আসছিলাম। সাইনবোর্ড এলাকায় আসার পর ট্রাফিক পুলিশ গাড়ি আটকালেন। ঘটনা কী জানতে চাইলে বললেন, আপনাদের অন্য গাড়িতে তুলে দেওয়া হবে। আপনারা নামুন।

এটা তো... ...বাকিটুকু পড়ুন

একটা গাছ কাঠ হলো, কার কী তাতে আসে গেলো!

লিখেছেন নয়ন বড়ুয়া, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:০৬



ছবিঃ একটি ফেসবুক পেইজ থেকে

একটা গাছ আমাকে যতটা আগলে রাখতে চাই, ভালো রাখতে চাই, আমি ততটা সেই গাছের জন্য কিছুই করতে পারিনা...
তাকে কেউ হত্যা করতে চাইলে বাঁধাও দিতে পারিনা...
অথচ... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। কালবৈশাখী

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:২৪



গত পরশু এমনটি ঘটেছিল , আজও ঘটলো । ৩৮ / ৩৯ সে, গরমে পুড়ে বিকেলে হটাৎ কালবৈশাখী রুদ্র বেশে হানা দিল । খুশি হলাম বেদম । রূপনগর... ...বাকিটুকু পড়ুন

একজন খাঁটি ব্যবসায়ী ও তার গ্রাহক ভিক্ষুকের গল্প!

লিখেছেন শেরজা তপন, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:০৪


ভারতের রাজস্থানী ও মাড়ওয়ার সম্প্রদায়ের লোকজনকে মূলত মাড়ওয়ারি বলে আমরা জানি। এরা মূলত ভারতবর্ষের সবচাইতে সফল ব্যবসায়িক সম্প্রদায়- মাড়ওয়ারি ব্যবসায়ীরা ঐতিহাসিকভাবে অভ্যাসগতভাবে পরিযায়ী। বাংলাদেশ-ভারত নেপাল পাকিস্তান থেকে শুরু করে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×