আমরা কিছু না জেনেই অন্যদের সম্পর্কে যাচ্ছেতাই একটা সিদ্ধান্তগ্রহণ করি। বেশিরভাগ সেটা হয় মানুষটি কে ছোট করে সস্তা ধরনের সিদ্ধান্ত। কিন্তু এটা ঠিক না, একদমই ঠিক না, খুব বেশি হলে আমরা তার নামটা জানি তার ছবি দেখি, দেখা হলে বাইরের তাকে দেখি, তার ভেতর কিন্ত দেখিনা, তার বিপদ তার ই, আমরা কজনই বা তার পাশে থাকি, তার বিপদে সাহায্য করি, খুব বেশি হলে জানতে চাই কেমন আছে এর বেশি কিছু না, তাছাড়া মানুষ হিসেবে সবাই সবার শ্রদ্ধা এবং সন্মান প্রাপ্য। আমাদের কি অধিকার! কিশের অধিকার আরেকজনের উপর আমাদের নিজস্ব রুচি ইচ্ছা পছন্দ চাপিয়ে দেয়ার, কোন অধিকার নেই।
নিজে মানসিক ভাবে সুস্থ থাকুন ভাল থাকুন আরেকজনকে ও ভাল থাকতে দিন। সার্থপর হওয়া কিংবা মন ছোট করা, অন্যকে ছোট করে দেখা, নিজেকে বড় করা, অন্যের পায়ে পায়ে দোষ ধরা, নিজের ভুল নিজের দোষকে গুন ভাবা, এগুলো অনেক সহজ আর বাজে এবং অসুস্থ অভ্যাস। এগুলো পরিত্যাগ করা বাঞ্জনীয়।
সব দিনের একটা শেষ দিন আছে, হোক সেটা বিপদের, ঝামেলার,কষ্টের কিংবা আনন্দের।। এই সব দিন মানুষের জীবনে চক্রাকারে চলতে থাকে, চলতে থাকে, চলতে থাকে, চলতে থাকে। জীবন মানে চক্রের ভেতর ক্রমাগত ঘুরপাক খাওয়া কেবল মাত্র। দুঃখ, কষ্ট, যন্ত্রণা, সপ্ন, সুখ, শান্তি, পরিবার এসব কিছু হল এই সাধারণ চক্রের একেকটি উপাদান।
কাউকে মাথায় তুলবার সময় মনে রাখতে হবে, যাকে মাথায় তোলা হল সে যখন সেই কৃতজ্ঞতা ভুলে;.তার নিজের সার্থে সেই মাথায়ই ছোবল মারতে আসবে! তখন এক মুহুর্ত দেরি না করে যেন মাথা থেকে ছুড়ে ফেলা যায় সেই ভাবে মন শক্ত রাখতে হবে, সবার আগে নিজের সেফটি;
তারপর মায়া।
কথা এমন ভাবে বলা উচিত না যে অপরের মনে নেতিবাচক ধারনা হয়। আমরা একজন আরেকজন কে চাইলেই সব আনন্দ বণ্টন করতে পারিনা, কিন্তু ভাল ভাল কথামালা ঠিকই শোনাতে পারি, পাখি উড়ে যায় পড়ে থাকে পালকের মতই, জীবনের ধাপে ধাপে নানা মানুষ আসে যায় থেকে যায় কথা, একে অপরের সাথে এমন ভাবে কথা বলা উচিত না যেন আপনার কথা মনে হতেই আপনাকে গালাগালি করবে বরঞ্চ এমন ভাবে বলা উচিৎ যেন আপনার অনুপস্থিতিতে আপনাকে শ্রদ্ধা ভরে স্নেহ ভরে মনে করবে মনে রাখবে। আপনার কথা থেকে একটা মানুষকে নিরাপদ রাখা আপনারই দায়িত্ব।
তাছাড়া কখন কার সাথে যে জীবনে শেষবারের মত কথা হচ্ছে আমরা কি বলতে পারি!!
জীবনে জেদ থাকা ভালো কেননা জেদিরাই সফল হয়, আর সেই সফল হওয়ার জন্য এর ওর গায়ে পরগাছার মত বেয়ে বেয়ে হয় না যা হয় নিজের পরিশ্রমেই হয়, নিজের চেষ্টায় হয়।
যে বাচ্চা খেলনা চাই বলে সারাদিন জেদ ধরে বসে থাকে তার জন্য খেলনা কোন না কোন ভাবে ম্যানেজ করা হয়ই, আর যে বাচ্চা জিদ ধরেনা তার জন্যে কেউ চেষ্টাই করেনা তার পছন্দের জিনিসটি দেয়ার।
আমার ইউনিভার্সিটির এক স্যার বলেছিল, কোথাও ঢিল ছুড়তে চাইলে তোমার লক্ষ্য বরাবর নয়; কমপক্ষে দুই হাত সামনে ছুড়তে চেষ্টা করবে, তাতে করে তোমার লক্ষ্য বরাবর না পড়লে ও অন্তত কাছাকাছি তো পৌছাবে,
বলছিলাম সফল হওয়ার কথা, সফল হতে চাইলে জেদ এর পাশাপাশি আরেকটি যে প্রধান উপাদান লাগবে তার নাম হল পরিশ্রম শুধু পরিশ্রম।।
কাউকে যদি একটা কথা বললে দশটা/ বিশটা/ তিরিশটা উত্তর দিয়াও ক্ষান্ত না হয় তাহলে বুঝবেন আপনি নিঃষঙ্গ বেকার আধা পাগল পুরুষ/ মহিলার খপ্পরে পড়েছেন, তখন দেশ বাঁচাও গাছ লাগাও এর মতন জান এবং সময় বাঁচাতে তার সাথে আর টু শব্দ ও করতে যাবেন না।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:২৬