কবিতাঃ কোনদিকে তাকাইও না।
লিখেছেনঃ জাহিদ অনিক
উহু ঐ দিকে তাকাইও না
ডানে তাকাইও না
বামে তাকাইও না
পেছনে তাকাও
পিছনে আমি আছি।
উহু সামনে তাকাইও না
পাশে তাকাইও না
কোনদিকে তাকাইও না
পাশে দুষ্ট পোলা আছে।।
উহু
তুমি চোখ বুজে থাকো
হাল্কা তেড়ছা করে চাও
বল আমাকে কি দেখতে পাও?
শুধু আমায় ??
মন্তব্যঃ
আহমেদ জি এস বলেছেনঃ
প্রিয় অনিক
সে যখন এদিক ওদিক তাকাবেই জানো
তবে তার চোখ এখনো খোলা রেখেছ কেন
চোখ গামছা দিয়া শক্ত করে
বাইন্ধা দাও মিয়া।।
লেখক বলেছেনঃ
সত্যিই এমন করা যায়!
অনেক ধন্যবাদ জী এস সাহেব।
কিউরিয়াস কেস অ্যাবাউট কুদ্দুস। কুদ্দুস মশার কয়েল নিয়া গেলো কই??
লিখেছেনঃহাসান মাহবুব
কয়েলটা এই মাত্র আমার সামনেই জ্বলতে দেখলাম! এখন কই সেটা? তবে কি কুদ্দুস মশার কয়েলখানা নিয়া ভাগছে?
ঘটনার সুত্রপাত আমার বাসার টিভির রুমের টেবিলের কোনা থেকে। আমি সারাদিন অফিস করে ঘর্মাক্ত কর্মক্লান্ত হয়ে বাসায় ফিরে যেই মাত্র টিভি ছেড়ে বসেছি দেখি টেবিলের কর্নার থেকে মাছির মতন আকৃতি নিয়ে মশারা আমার কানের কাছে বিনা অনুমতিতে গুনগুন গুনগুন করে গান শুনাইতেছেন।।
আমি বিরক্ত হয়েও মশাকে সেটা বুঝতে না দিয়া তাকে উপযুক্ত হেদায়েত হাতেকলমে দেয়ার জন্য ভিতর বাড়ির দিকে তাকিয়ে হাক দিলাম বউ গেলা কই এরোসল নিয়া আসো।
বউ এসে জানাইলো এরোসলের ডিব্বা আমার মেয়ে দেয়ালের সাথে বাইরাইতে বাইরাইতে ব্যাকা করে ফেলছেন এখন ওটা আর ব্যবহার উপযুক্ত নাই।
বিরক্ত হইয়া বললাম মশার কয়েল আছে না? নাকি তাও আমার আম্মাজান ভাইঙ্গা ফেলছেন? বউ বলল আছে আছে এত অধৈর্য হইও না,
এরকম সময়ে বাসায় কুদ্দুস এসে আমার পায়ের কাছে একটি পরিত্যক্ত টুলের উপড় বসে পড়েছে যেটায় কয়েল রাখবার কথা ছিল।বউ ততক্ষনে কয়েল জালাইয়া নিয়া আসতেই কুদ্দুসকে বললাম তুমি কয়েলের টুলে বসিয়াছ, এখন আমার কয়েলের গতি করিবে কে??
কুদ্দুস বলল কোন চিন্তা নাই কয়েল আমি হাতে নিয়া বসিব। কথা মত কুদ্দুস কয়েল নিয়া বসিল তো ঠিকই কিন্তু খানিক পড়েই একটু আসতেছি ভাইজান বলেই; আমি কিছু বুঝবার আগেই হাতে করে কয়েল নিয়া সে ধুপধাপ করে বাহির হয়ে গেলো, ঘটনার আকস্মিয়তায় আমি কিংকর্তব্যবিমুঢ়।
কুদ্দুস কয়েল নিয়া সেই যে ভাগিলো আর ফিরিবার নাম নাই। আমি মশার কামড় খাইতে খাইতে ত্যক্তবিরক্ত।
আসলে যা বলতে চাইতেছি কুদ্দুস মশার কয়েল নিয়া গেলো কই??
মন্তব্যঃ
কাল্পনিক ভালোবাসা বলেছেনঃ
হাসান ভাই, আসলে ধন্যবাদ দেব না কি বলব ঠিক বুঝতে পারছি না। যে পরিস্থিতি আপনি আমাদের সকলের সামনে তুলে ধরলেন, সেটা খুবই অনাকাঙ্ক্ষিত এবং আমাদের সকলের জন্য বিব্রতকর। কুদ্দুস মশার কয়েল নিয়া গেলো কই??
আপনার এফবি স্ট্যাটাস থেকে জানতে পারলাম কুদ্দুস আপনার মশার কয়েল নিয়ে পালিয়েছে। তাৎক্ষনিকভাবে আমি খুবই মর্মাহত হয়ে পড়ি খবরটা শুনে, পরবর্তীতে হঠাৎ বিদ্যুতের গতিতে আমার মনে পড়ে যায় আরে! কুদ্দুস তো আমার পকেটেই আছে। সাথে সাথে পকেট থেকে মোবাইল বের করে কল করি। ওপাশ থেকে হুবহু কুদ্দুসের মত না এরকম একজনের গলার আওয়াজ পাই, বললাম হ্যালো হ্যালো কুদ্দুস কুদ্দুস কথা বলু্ন, আমি আপনাকে কট করে ফেলেছি কথা বলুন,
আমি তাকে কট করে ফেলেছি কথাটায় সে ঘাবড়ে যায় এবং ধীরে লো ভলিউমে বলে হেলোওওওও,
আমি বললাম কুদ্দুস আপনি কি টয়লেটে? কুদ্দুস বলে হ্যাঁ আমি টয়লেটে। তখন আমি কথা ঘুরিয়ে নাম পরিবর্তন করে প্রশ্ন করি হ্যালো মোখলেস আপনি কি ওয়াশ রুমে?কিছুক্ষন কিছুই শোণা যায়নি তারপর ধীরে লো ভলিউমে বলে জী না ওয়াশ রুমে না, দেখুন যখন আমি তাকে টয়লেটের কথা বললাম সে তখন হ্যাঁ বলল কিন্তু যেই মাত্র আমি কথা ঘুরিয়ে বললাম, সে তখন সবকিছু বেমালুম অস্বীকার করলো! আমার আর কিছুই বলার নাই। বিচার আপনাদের হাতে।
লেখক বলেছেনঃ আমারো আর কিছুই বলার নাই। বিচার আপনাদের হাতে।
চিরুকুট বলেছেনঃ কাল্পনিক ভালোবাসা কুদ্দুস ওয়াশ রুম অর্থ জানে আমি সাক্ষী।
কবিতাঃ করিয়া রুদ্ধদ্বার ঘুচাইবো মনের ভার
লিখেছেনঃ কি করি আজ ভেবে না পাই।
ভাবিতে ভাবিতে
ছন্দ ত্রাশে
ধুলোবালি ময়লা
দুই চোখে ভাসে।
মাইয়াগো রাস্তায়
দেখা মোর হবি,
হাঁটে চলে যাই করে
ভালো লাগে সবি।
কি করি ভেবে না পাই
গুনগুন গান গাই।
এক মেয়ের কাছে গিয়া
দাঁড়ায়েছি সবে,
চারদিকে ভালোবাসা
উড়াউড়ি কত আশা
এই বুঝি সেই গো
কি আছে ভবে
এক মেয়ের কাছে গিয়া
দাঁড়ায়েছি সবে।
পাষাণী আমারে
ঠেলিয়া যায়,
মাড়িয়ে ভুভুক্ষ পায়।
তবু আমি পিছে ঘুরি
রুপ দেখে মরি মরি
ধ্যান জ্ঞানে স্মরি স্মরি
কি করি কি করি।
মুচকি হাসিয়া সে কহে
এ জগত সংসার,
শুধু বৃথা দুখ ভার
সারা পেলে কুকুরেরা তবে;
করিবে ভক্ষ তোমায়
তখন কি হবে?
বলিলাম ভালোবাসা
চিরকাল বৈরি
তুমি যদি রাজি থাকো
আছি আমি তৈরি।।
মেয়ে বলে ঈষৎ ভেংচাইয়া
আয়নায় দেখে নিও
নিজেরে চাহিয়া।
কথা শুনে মললাম
আজ তবে চললাম
করিয়া রুদ্ধদ্বার
ঘুচাইবো মনের ভার।
মন্তব্যঃ
মনিরা সুলতানা বলেছেনঃ
আবার আসিবে নতুন ধারা
সে অবশ্যই দিবে সারা
সময়ের স্রোতে
হাঁটিতেছে একাকী পথে।
লেখক বলেছেনঃ
হাটুক ঐ কালনাগিনী
মায়া লক্ষ্মী হতচ্ছাড়ি
বলেছে কুত্তায় কামড়ায়
ভাবা যায়? ভাবা যায়?
রাবেয়া রাহিম বলেছেনঃ ভালো হয়েছে
লেখক বলেছেনঃ
ভালো ভালো বলে বুবু
করিয়াছ নিঃস্ব
কি করিয়া দেখিব
নিখিল এ বিশ্ব।
শায়মা বলেছেনঃ
তুমি একটা সোনার খনি
আমার ভাইয়ামনি
কুকুর তোমায় কামড়ালে
ঐ মেয়েরে মারবো গালে।
লেখক বলেছেনঃ
কাঁটা ঘায়ে লবন ক্যান দাও
বুঝিনা কি ভেবেছ পাম দেও?
শায়মা বলেছেন
লেখক বলেছেন
শায়মা বলেছেন
লেখক বলেছেন
শায়মা বলেছেন
লেখক বলেছেন
শায়মা বলেছেন
লেখক বলেছেন
চলবে.................................
আমার হাজবেন্ড একটা রোবট
লিখেছেনঃ শায়মা
একদিন আমি আর আমার অলস হাজবেন্ড বাসা থেকে বের হয়ে, যেহেতু সে অলস তাই গাড়ি আমি নিজে চালাইয়া আমার বারিধারার বাড়ি থেকে বের হইয়া গুলশানের ৯০ নং রোড দিয়ে ঘুইরা বনানী কবরস্থানের পেছনের রাস্তা দিয়া লাস্ট ঘুরান দিয়া গুলশান দুই এর জারার কাছাকাছি যাইতেই সে বিরক্ত হইয়া বলিলেন তুমি বেহুদা এত ঘুরো কেন?? তার কথা শুনে আমি রিয়ালাইজ করলাম যে আমার হাজবেন্ড একটা রোবট(চলিবেক)
মন্তব্যঃ
আহমেদ জি এস বলেছেনঃ ব্লগটা কে সতেজ রাখতে আপনার জুড়ি নেই ব্যাহেণ
লেখক বলেছেনঃ হাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহা হাসি চলিবেক।।
কথাকেথিকথন বলেছেনঃ তোমার রোবট জামাইরে কুয়াশার শুভেচ্ছা
লেখক বলেছেনঃ থ্যাংকস দিবো না ধন্যবাদ দিতে হবে বলুন তো?
সবশেষে আমার ফ্লপ পোস্ট এবং মন্তব্য
গল্পঃ১
লিখেছেনঃ সামিয়া
চাঁদগাজী বলেছেনঃ গল্প দুর্বল
লেখক বলেছেনঃ ধন্যবাদ ভাইয়া
গল্পঃ২
চাঁদগাজী বলেছেনঃ বাজে লিখেছেন
লেখক বলেছেনঃ ধন্যবাদ ভাইয়া।
গল্পঃ৩
চাঁদগাজী বলেছেনঃ দুর্বল প্লট
লেখক বলেছেনঃ ধন্যবাদ ভাইয়া
গল্পঃ৪
চাঁদগাজী বলেছেনঃ আপনি খুবই খারাপ লেখেন
লেখক বলেছেন ধন্যবাদ ভাইয়া
গল্পঃ৫
চাঁদগাজী বলেছেনঃ আপনাকে দিয়ে হবেনা
লেখক বলেছেনঃ ধন্যবাদ ভাইয়া
গল্পঃ৬
চাঁদগাজী বলেছেনঃ খুবই বাজে খুব বাজে খুব খুব বাজে।।
লেখক বলেছেনঃ ধন্যবাদ ভাইয়া
(চলবে)
বিঃদ্রঃ শ্রদ্ধেয় ব্লগারগন আপনাদের নাম দিয়ে ব্লগ এবং মন্তব্য নিয়ে রম্য লিখেছি নিছক ভালোলাগা থেকে, আশাকরি কেউ ভুল বুঝবেন না।। শুভকামনা সবার জন্য।।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:৩৩