মানুষ জীবনের ধাপে ধাপে শিখে, অতীত হচ্ছে মানুষ এর জীবনে অন্যতম শিক্ষা। বর্তমান হচ্ছে একটা ধাঁধার মত, বুঝতে না বুঝতে শেষ হয়ে যায়, এবং বর্তমান মানুষকে অনেকটা ঘোরের মতন অন্ধ করে রাখে।
মনে হয় যা হচ্ছে যেভাবে হচ্ছে যা করছে সেটাই করা উচিৎ কিংবা সেটা ছাড়া আর কিছু করবারও নাই এবং তাইই সঠিক।
নিজের দ্বারা ভুল হচ্ছে বা হতে পারে, আচরনগত, পেশাগত, পরিবার বা আপনজনের সহিত তা বুঝতে বুঝতে অতীতকে পেছনে ফেলে সময় এতটাই সামনে এগিয়ে যায় যে তখন মানুষের আর কিছু করবার থাকে না।
কিন্তু ভাল ব্যাপার হচ্ছে প্রতিটি বর্তমান মানুষকে যতই নিজের প্রতি অন্ধ করুক না কেন! এক সময় না এক সময় তার ভূল ত্রুটি গুলো তার হৃদয় দেখতে পায় বা অনুধাবন করতে পারে এবং তাকে তা লজ্জিত ও ব্যাথিত করে, কিংবা জীবনের অসমাপ্ত দিন গুলোর জন্য মানসিক শাস্তি আর প্রায়শ্চিত্ত হয়।
খারাপ মানুষের চোখে কোন ভালো মানুষ ভালো হতে পারে না, খারাপ মানুষদের চোখে খারাপরাই ভালো, তেমনি চরিত্রহীনের কাছে কেউ চরিত্রবানও হতে পারে না তার চোখে সকলেই সমান। একইভাবে ছোটলোকরা কাউকে ভদ্র মনে করে না, কেউ যদি তাদের আশেপাশে ভদ্র থেকেও থাকে তাকে টেনে হিচড়ে ছোটলোক স্তরে নামাবেই।
যারা যত কম জানে ততই অনেক বেশি জানে মনে করে ফলে তারা আর কোন কিছু জানতে চায়না, কারো কথা কোন যুক্তি শুনতে চায় না। তারা তাদের ছোট পৃথিবীকে আরো ছোট করে, তার জগত দারুন বিশাল এরকম ভ্রান্তিতে পুরো জীবন কাটিয়ে দেয়।
কেউ কারো সাথে অন্যায় কিংবা খারাপ অযৌক্তিক ব্যবহার করার পর সে ভুল ব্যবহার করেনাই কিংবা কোন অন্যায় কথা বলে নাই এই রকম চিন্তা করতে করতে নানান যুক্তি তার সপক্ষে বের করে নিজের অশান্তিময় জীবনে শান্তি খুঁজে বেড়ায় কিন্তু কাউকে বিনা কারনে আঘাত করে কিছুতেই শান্তি পাওয়া সম্ভব নয় তাতে যতই নিজের পক্ষে অন্ধের মতন যুক্তি বের করা হউক না কেন।
অতএব
ভাবিয়া বলিও কথা বলিয়া ভাবিও না।।
সারাক্ষণ হা হুতাশ কিংবা নাই নাই, হয় না, পারিনা, দুনিয়া ভেজাল, দুনিয়ার মানুষ ভেজাল এই সকল আক্ষেপ কোন সমাধান না। বড় যদি হতে চাও ধোলাই/রাম ধোলাই/হোচট খাও আগে।।
কেউ যখন কাউকে ভালোবাসে তখন সে সেই পুরো মানুষটিকেই হৃদয়ে ধারণ করেই ভালোবাসে, একটি সচ্ছ আয়নার মতনই নিষ্পাপ নিস্কলংক থাকে সেই ভালবাসা। উঠতে বসতে শয়নে স্বপনে নিজের অজান্তেই তার নাম মনে পড়বে, সবখানে সেই ভালবাসার মানুষটির উপস্থিতি কামনা করবে, নিঃশ্বাসে নিঃশ্বাসে তাকেই স্মরণ করবে। তার একটু মুখচ্ছবি কিংবা ছোট একটি শব্দও মন আনন্দে ভরিয়ে দেবে, সেই ভালবাসা হয় নিঃস্বার্থ, সেই ভালবাসা হয় জাগতিক চাহিদার উর্ধে, সেই ভালবাসাকেই বলে প্রকৃত ভালবাসা।
আর অপ্রকৃত ভালবাসা কি?? হুম অপ্রকৃত ভালবাসা হলো: " তোমারে ভালবাসি, শয়নে স্বপনে তোমার কথা ভাবি, কি? রাজি না? ও বুঝছি তুমি খারাপ। তুমি ছোটলোক। তুমি ফাউল। তুমি শয়তান, তুমি প্রতারিত। আমি সন্মানীয় লোক, তুমি ডট ডট ডট।
সবশেষে,
স্টিফেন হকিং আমাদের দেশে জন্মাইলে কি হতো?!
Well...
সে বাইশ বছর বয়সে মটর নিউরন রোগে আক্রান্ত হইয়া বাকি ৫৫ বছর ফার্মগেট ফুট ওভার ব্রীজের উপর অসহ্য রোদে, তাপে, বৃষ্টিতে, শীতে একটা বস্তার উপর শুইয়া শুইয়া ভিক্ষা করতেন। থিওরি অফ রিলেটিভিটি নিয়া সে কিছু যদি প্রকাশ করার অবকাশ পাইতেনও চলতে ফিরতে রাস্তাঘাটের মানুষ তার কথা আমলে নিতেন না, অথবা দুই একটা চড় থাপ্পড় মাইরা বলতেন ব্যাটা পাগল।
থ্যাংক গড তিনি এই দেশে জন্মান নাই।
Rest in pease stephen hawking.
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ৯:০৮