(১)হায় তুমি
তুমি কি চিল?
বিশাল বিশাল পাখনা গজিয়েছে??
এত উড়া উড়ি কিসের শুনি?
কিচ্ছুতেই বুঝিনা।
এত প্লেন ক্রাশ হয়!
অথচ তুমি বহাল
তবিয়তে!!
মাটিতে তো নামতে হবে।
যতই তুমি
সাত আসমানে উড়ো।
সেদিন প্রথম চান্সে
কাঁচি দিয়ে তোমার পাখনা
কাটবো।
উহু
এখানেই শেষ নয়;
পা কাটবো হাঁটু পর্যন্ত
আঙুলও; ছেঁটে দেবো কি? বলো!?
আই ফোন আই প্যাড ল্যাপটপ,
চোখ নষ্টের কারখানা;
চোখ তোমার
দরকারই বা কি!?
সেগুলো কোন জন্মান্ধকে
দান করো,
কিছু পুন্য হোক।
আমায় দেখবার জন্য
মনের চোখই যথেষ্ট।
(২)হে যুবক
হে যুবক;
আমার চেয়ার, টেবিল, বিছানায়,
ল্যাপটপে, বুক সেল্ফে, কপালে,
গালে, অন্তরে, মস্তিষ্কে, চোখে,
আমার মাথা ভর্তি চুলে,
বাসা বেঁধেছে বিষণ্ণতা ;
একটা ব্যাধি মুক্ত সংগীত গাও তো
আমিও একটুু শান্তিতে ঘুমাতে চাই।
তোমার রুপার কাঠি কই?
(৩)প্রমান দাও
যদি ভালেবাসা সত্যিই হয়ে থাকে
প্রমান দাও যুবক;
শার্টের বোতাম কয়টা খোলো,
ছুড়িটা হাতে নাও;
এবার হৃদপিন্ডটা বের করে নিয়ে আসো দেখি!!
ওটায় আমার নাম লেখা আছে কি!?
ধীরে; আরেকটু ভেবে নাও;
বহু যুগ আগে একজন;
হৃদপিন্ড দেখাতে গিয়ে
মরে গেছে কিন্তু।
(৪)ক্লান্তি আমার
কারো কাছে কি এক মগ মায়া হবে?
থাকলে দিন না,
তেলের সাথে মিশিয়ে মাথায় দিয়ে শুয়ে পড়তাম;
একদম ঘুমাতে পারছিনা; গত কয়েকশো রাত ধরে।
গত কয়েকশো রাত দিন,
আমার মাথার উপর কোন মমতাময়ী হাত নেই।।
(৫)ঘুম আসে
চুপচাপ রাত
একা একা চাঁদ,
সাইলেন্ট ফোন;
নির্বাক মন।
কুয়াশা ঝরে
টুপ টাপ করে।
মেঘলা আকাশ কলিং
ডিস্টার্ব কলিং
ছোট ভাই কলিং
চার হাজার কলিং,
আননোন নাম্বার কলিং
অফিস কলিগ কলিং,
জিরো জিরো কলিং
ঝামেলা কলিং।
....... ঘুউউউউম আআআআসে।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৯