সাহসি ছেলে তো আমার পছন্দ, সাহসী মেয়েগুলাও, সম্প্রতি এই জিনিস শহরে নগরে গ্রামে কমে গেছে, সবাই সাহসী হয়না, সবার সবখানে সবার সাথে কথা বলার সুযোগ কই, আগ বাড়িয়ে কথা বলতে গিয়া যে দরকারি কিছু জানবেন সেই উপায়ও নাই, কি মনেহয়? দুনিয়াদারী স্বার্থপর হয়ে গেছে? না ঘটনা তা নয়, আগ বাড়িয়ে কথা বলে নিরানব্বই ভাগ রেসপন্স পাওয়া যায়, যেইখানে আপনার দরকার সেইখানে কথা বলবেন না কেন? দরকার হবে কথা বলবেন সে যত ঝামেলা বাজই হোক না কেন তার সাথে কথা না বললে কাজ হবে না, না হলে না হোক এই জাতীয় চিন্তা লুজাররা করে, আপনি করবেন কেন?
বাঙ্গালীর কাজ হল জ্ঞান দান করা সবাই এই সহজ কাজটাই করে, এই কারনেই আমিও করছি, জ্ঞান দান।।
পরিবারের দুই একজন যারা কাজ করেন তারা জীবনভর গাধার খাটুনি খেটে মরে। তাদেরকে কেউ হিসেবে ধরে না। না ধরুক।
এখনকার দুনিয়া ভেজালের দুনিয়া, মানুষের সাথে মিশতে গেলে এই কথা মাথায় রেখে মিশতে হবে, বলছিনা সবাই নিরাপদ না , কিন্তু বিপদজ্জনক এই বিষয় ধরে নিয়া চললে সমুহ বিপদ আন্দাজ এবং সতর্ক থাকা যায়,
পথে ঘাটের ঘটনা বলবো এই ঘটনাগুলার সাথে উপড়ে উল্লেখিত ইনট্রোডাকশনের কোন মিল নাই।
বাস থেকে নামতে নামতে হঠাৎই একজন কাছে এসে বলল এটা আমার ভিজিটিং কার্ড ভালমানের জামদানী শাড়ি আমরা সেল করি, এই যে কার্ডের এইটা আমার নাম্বার যে কোন দরকারে ফোন কইরেন।
আমি বুঝলাম আমার চেহারায় বোকা ভাব প্রবল অথবা এইভাবে বহু মেয়েদের নাম্বার আদান প্রদান উনি করে থাকতে পারেন বলে; উনার ইতিমধ্যে অনেক কনফিডেন্স গ্রো করেছে।
আমি শাড়ি পড়িনা এই তিন শব্দ বলে মাছি তাড়াবার মতন তাকে তার কার্ড সহ সরে যেতে বললাম, লোকটি বাস ভর্তি মানুষের মাঝে ছিলেন বলেই হয়তো ঝামেলা করতে সাহস পান নাই,সরে গেলো।
অন্য ঘটনাটাও অনেকটা এইরকম, এক ছেলে পুরা যাত্রাপথে নানান ভাবে আমার দৃষ্টি আকর্ষণ করার চেষ্টা করতে করতে ব্যার্থ হয়ে নামতে নামতে বার বার তার মোবাইল নাম্বার বললেন, হেল্পারকেও দিলেন আর বললেন অবশ্যই ফোন করবা। ওয়েল এখানে আমার দর্শক হওয়া ছাড়া উপায় ছিল না।
পরের ঘটনা ও সেইম সে অবশ্য মোবাইল নাম্বার চেয়ে না পাওয়ার অভিমানে চলন্ত বাস থেকে লাফ দিয়ে নেমে পরেছিলেন। এবং এইটা একটা অনেক কমন ব্যাপার পথে ঘাটে চলতে ফিরতে এক কথায় দুই কথায় মানুষ পুরুষ/মহিলা যেই হোক মোবাইল নাম্বার চেয়ে বসেন।
অনেকদিন ধরে ঢাকার আনাচে কানাচে বিভিন্ন স্থানে লেখা থাকে অপরিচিত মানুষের দেয়া খাবার খাবেন না, অপরিচিত মানুষের গাড়ি বা মাইক্রোবাসে উঠবেন না, সাথে এটাও লেখা উচিৎ অপরিচিত মানুষের সাথে মোবাইল নাম্বার আদান প্রদান করবেন না।
ভার্চুয়াল ফ্রি দুনিয়ার কারনে হোক কিংবা ডিজিটাল বাংলাদেশের কারনে হোক সকলের তরে সকলে, ছেলে মেয়ে উভয় কে কট করা দারুন সস্তা। যে কেউ নতুন একজন কে পেতে পারে আবার যে কেউ সিম ফেলে দিয়ে পুরাতনকে জীবন থেকে মুছে ফেলতে পারে, এটা অন্যায় কি ন্যায় সেটুকু ভাবারই বা সময় কোথায়। তার থেকে বড় কথা একটি মোবাইল নাম্বার দিয়ে যে কাউকে বিশেষ করে মেয়েদের ফাঁদে ফেলে বিপদগামী করতে পারার মতন সহজ কাজ দুনিয়াতে আর একটিও নাই, এখন তো আবার মেসেঞ্জার কল এভেইলেবল।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:০৪