আজকাল ভালোবাসার নামে কি হইতেছে? দ্রুতগতির চলমান ট্রেনের গতিতে অনলাইনে এরে ওরে দেখে ঝটপট প্রেমে পড়ে তার থেকেও দ্রুত গতিতে ভালবাসি ভালোবাসি জিগির করতে করতে করতে তাসবিহ জপতে জপতে তাকে ছাড়া বাঁচবেনা এবং অবশ্যই শুধু মাত্র তাকেই মন প্রান উজার করে ভালবাসছে( ইতিমধ্যে কয়েক শত নারীকে তা বলা হয়ে গেছে) এখন শুধু একসাথে ঘুমাইতে চায়, এই হল দেশের সার্বিক নিঃস্বার্থ ভালোবাসার অবস্থা।। তারপর-----------
ঘুমানো শেষ ভালোবাসা শেষ। সেই প্রেমিকের মুখেই তখন দূর হ কালনাগিনী এমন খারাপ মেয়ে নিয়া ঘড় করা সম্ভব না।
কিন্তু এই শয়তানির যুগেও যে নিঃস্বার্থ ভালোবাসা আছে সেই নিউজ পড়ে মন আনন্দ পূর্ণ হওয়ায় আমার দিন মন প্রান সুন্দর হয়ে গেলো।
ছবির মানুষ দুটি হলেন রাসেল ডেভিসন ও ওয়েন্ডি ডেভিসন। স্বামীটি তার প্রিয়তম স্ত্রীকে এতটাই ভালবাসতেন যে, স্ত্রীর মৃত্যুর পর ও তাকে ৬ দিন তার কাছে রেখেছেন পাশে ঘুমিয়েছেন। যেইখানে জীবিত অবস্থায়ই এই যুগের প্রেমিক পুরুষগন তাদের প্রেমিকা কিংবা স্ত্রীকে পান থেকে চুন খসলে, ধেই ধেই করে তাড়িয়ে দেন সেইখানে রাসেল ডেভিসন তার স্ত্রীকে মৃত্যুর পর ও আলাদা করতে পারেননি।
এটা নিঃসন্দেহে একটি বেদনা হওয়া সত্ত্বেও ঈর্ষনীয় এই কারনে যে ওয়েন্ডি ডেভিসন সত্যিকার অর্থেই একজন নিঃস্বার্থ প্রেমিক স্বামী তার জীবনে পেয়েছিলেন। এবং এই খারাপের যুগেও যেন প্রতিটি মেয়ে এমন প্রেমিক স্বামী তাদের জীবনে পান সেই প্রার্থনা।
বিস্তারিতঃ
মৃত স্ত্রীর সঙ্গে ৬ রাত
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:১৩