ধন্যবাদ......বাপকা বেটি.....ধন্যবাদ।
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
'রক্তমূল্য' দিয়ে ফেরা........
সংযুক্ত আরব আমিরাতের আদালতে ফাঁসির দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত ছয় বাংলাদেশিকে মুক্ত করে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। একজন সংসদ সদস্যের উদ্যোগ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বদান্যতায় গত এপ্রিলে তাঁদের ফিরিয়ে আনা হয়। তাঁরা হলেন চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার নাজিম উদ্দিন, মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ের ফরহাদ, মুছা, ফারুক, মহসিন ও কাজল। শারজায় এক পাকিস্তানি নাগরিককে হত্যার দায়ে আদালত তাঁদের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিলেন।
জানা গেছে, ২০০৭ সালের জুলাই মাসে শারজার স্থানীয় সময় রাত ১১টার দিকে ওই ছয় বাংলাদেশি এবং চার-পাঁচজন পাকিস্তানি কথা বলছিলেন। এ সময় কয়েকজন পাকিস্তানি বাংলাদেশের স্বাধীনতা এবং বাঙালিত্ব নিয়ে কটূক্তি করেন। এতে বাংলাদেশিরা ক্ষিপ্ত হন। একপর্যায়ে সংঘর্ষ শুরু হয় এবং ছুরিকাঘাতে এক পাকিস্তানি নিহত হন। এ ঘটনায় জুলাই মাসেই শারজার আদালতে মামলা হয়। ২০০৮ সালের নভেম্বরে আদালত ছয় বাংলাদেশির মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন। বোয়ালখালীর ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি নাজিমের পরিবারের লোকজন এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সংসদ সদস্য মাঈনউদ্দিন আহমদ খান বাদলকে অনুরোধ করেন।
নাজিমের পরিবারের লোকজন জানান, সংসদ সদস্য বাদল ঘটনা জানার পর প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের সঙ্গে কথা বলেন। গত বছর মার্চ মাসে সংসদ সদস্য আরব আমিরাত সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এ জন্য তিনি শারজায় গিয়ে সংশ্লিষ্ট আদালত এবং কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেন। আরব আমিরাতের আইনানুযায়ী নিহতের পরিবারকে 'রক্তমূল্য' পরিশোধ করলে মৃত্যুদণ্ড থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। আদালত ছয় আসামিকে বাংলাদেশি টাকায় এক কোটি টাকা পরিশোধের আদেশ দেন। অন্যথায় ফাঁসি কার্যকর করা হবে বলে জানানো হয়। সংসদ সদস্য ওই টাকা পরিশোধের অঙ্গীকার করেন এবং ফাঁসি কার্যকর না করার ব্যাপারে সমঝোতা করেন। সংসদ সদস্য বাদল বিষয়টি জানালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রক্তমূল্যের এক কোটি টাকা অনুদান দেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, এক কোটি টাকা পরিশোধ করার পর ছয় বাংলাদেশিকে মুক্ত করে দুই দফায় দেশে ফেরত আনা হয়। গত ১০ এপ্রিল আসেন তিনজন। বাকি তিনজন আসেন ১৪ এপ্রিল।
'প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বদান্যতা ছাড়া এ হতভাগ্যদের মুক্ত করা সম্ভব ছিল না। এ সাফল্য মহাজোট সরকারের কূটনৈতিক সাফল্য।'
মুক্তিপ্রাপ্ত নাজিম উদ্দিন জানান, 'স্বাধীনতা এবং আমাদের মা-বোনকে গালি দেওয়ায় ওই পাকিস্তানিদের সঙ্গে প্রতিবাদ করতে গিয়ে ফাঁসির দরজায় গিয়েও ফিরে এসেছি।'
২৭টি মন্তব্য ২৬টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।
ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন
ভারতীয় পণ্য বয়কটের কেন এই ডাক। একটি সমীক্ষা-অভিমত।।
ভারতীয় পণ্য বয়কটের কেন এই ডাক। একটি সমীক্ষা-অভিমত।।
সাইয়িদ রফিকুল হক
বিএনপি ২০২৪ খ্রিস্টাব্দে দেশে অনুষ্ঠিত “দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে”-এ অংশগ্রহণ করেনি। তারা এই নির্বাচনের বহু আগে থেকেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ... ...বাকিটুকু পড়ুন
মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )
যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন
শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন
কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন
একটি ছবি ব্লগ ও ছবির মতো সুন্দর চট্টগ্রাম।
এটি উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বা কোন বিদেশী মেয়ের ছবি নয় - ছবিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সংলগ্ন রাঙামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির একটি ছবি।
ব্লগার চাঁদগাজী আমাকে মাঝে মাঝে বলেন চট্টগ্রাম ও... ...বাকিটুকু পড়ুন