তোমার নাম দিলাম ' চারুলতা';
কেনো দিলাম?
ভালোবেসে দিলাম: অনেক সখ ছিল,কোন একজনকে ভালোবেসে,আবেগ আর আদর মিশিয়ে ডাকবো-
যে নামে তাকে কেও ডাকেনি!
ভালো হয়তো বেসেছে
কেও কেও,
ঝিরঝিরে বৃষ্টিকে বাসেনি,
তোমার হাসির মিষ্টিকে বাসেনি,
তোমার চোখের চঞ্চল দৃষ্টিকে বাসেনি,
তোমার হাতের কঙ্কণ সৃষ্টিকে বাসেনি!
আমি কিন্তু ভালোবেসেছিলাম
শ্রাবণ মেঘের বৃষ্টিকে ঃ তোমার হাত ধরে ভিজবো বলে!
ভালোবেসেছি: তোমার মিষ্টি হাসি আর চঞ্চল দৃষ্টিকে,
ভালোবেসেছি: তোমার হাতের কাঁকনের কঙ্কণ সুর,কপালেরও টিপ আর কানের ছোট দুলটিকে!
ভালো কিন্তু সবাই বাসে,
সবকিছু বাসে না!
কেনো জানো চারুলতা?!
এইযে তোমার নীল ভাল লাগে,
আমারও তো তাই!
তোমার বাচ্চামন চকোলেট খুঁজে,
তুমি কল্পনায় কীর্তনখোলার পাশ গেষে হাটো,দু'চোখ বুজে।
তুমি ভেবে যাও,
তুমি একা নও,
যখন চুমুক দাও কফিতে!
আমি অতো ব্যস্ত নই: বাস্তব কিংবা অভিনয়ে!
ভালোবাসি চকোলেট দিতে- নিতে,
শ্বাস নিতে সবুজ নদীর ধারে!
কফির তিতো-মিঠা স্বাদ ভাললাগে,
তোমার চোখের দিকে তাকিয়ে আলো-আঁধারে!
আমি জানি চারুলতা,
যে যা চায়,
সে তা পায় না।
তাই বলে কি কেও চাওয়া থামায়?
নাকি ভালোবাসা?!
ভালোবাসলে,পাঁচ ফিট চার ইঞ্চি দেহ নিয়ে দেয়াল ডিঙ্গোতে হয় না,
আটান্ন কেজি ভর নিয়ে উড়ে উড়ে তাকে খুঁজতে হয় না,
ওটা এতটাই দ্রবণীয়:
যেখানে ভালোবাসা নেই,
সেখানে বাতাসে কোন ঘ্রাণ নেই,
ছায়াতে কোন শীতলতা নেই,
উত্তাপ ঠিকই থাকে সূর্যের প্রখরতায়!
যেখানে ভালোবাসা বাস করে:
বাতাসে সেখানে বেলীফুলের ঘ্রাণ।
ছায়াতে স্বর্গীয় শীতলতা,
সূর্যের উত্তাপেও মিষ্টি এক উষ্ণতা!
এ হৃদয় তাই কভু জোর করেনা,
জেদ ধরেনা তোমাকে পাবার- চারুলতা!
শুধু নিরভে নিজেকে একটা প্রশ্ন করে যায়ঃ
"চারুলতা,ভালোবেসেছিলে কি আমাকে কোন একদিন?"