তোমায় খুব করে মনে পড়ে, মনে পড়ে
যখন নীলিমায় নীলরঙটুকু হারিয়ে যায়,
কৃষ্ণচূড়ার ফুলের মতো ছেয়ে যায় বিস্তর আকাশ,
পাখ-পাখালির ডানায় নামে বিবর্ণ বিকেল।
যখন কিছুক্ষণের জন্যে হঠাৎ থেমে যায় সচল ¯্রােতস্বিনী,
দূর-দূরান্তে উড়ে যায় মাঝিদের ছেঁড়া পাল,
একমুহূর্তের জন্য ভুলে যায় বৈঠাটানার অবিরাম লীলাখেলা।
যখন হাজার বছর পরে একদিন
ছোট্ট শিশুর মতো খেলাচ্ছলে হঠাৎ আবিষ্কার করে চুলের রহস্য
পাটের রশির মতো সাদা হয়ে গেছে!
আহা! বহুদিন আগে
হাত রেখে বলেছিল, পরশ পাথর যেন জীবন্ত ছোঁয়ায়!
যখন পরম যতেœ ঢেকে রাখা চিঠিগুলো খুলে যায়,
এক এক করে ভেসে উঠে নিরিঢ় প্রণয়ের প্রতিচ্ছবি,
হালকা সরস অথচ ভাঙা ভাঙা আধা-পাকা ভাষা,
লুকিয়ে রয়েছে যেন বহুদর্শী বিজ্ঞ সমাজের প্রতি তীব্র কড়াঘাত!
তোমায় আবার মনে পড়ে, মনে পড়ে
যখন কাকের বুদ্ধির মতো মুখ লুকিয়ে
অলীক স্বপ্ন দেখে কতোটা প্রহর!
অথচ আবার চোখ খুলে
অশ্রু-মলিন মুখে মেনে নেয় ধ্রুব-বাস্তবতা!