somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সংখ্যালঘু নামক নাটকের পেছনের কাহিণী ….ভারত তিস্তার পানি না দিলেও জনগনবিহীন নির্বাচনে সমর্থণ দিয়েছে ঠিকই

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৩:১১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

নির্বাচন কমিশনের তফসিল ঘোষনার পর থেকে শুরু করে ৫ই জানুয়ারীর একতরফা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে একের পর এক নাটক মঞ্চায়িত হচ্ছে দেশের রাজনীতিতে । বাসে আগুন, মানুষ হত্যা একের পর হরতাল অবরোধ খুন জখম কোন কিছুই বাদ নেই । রাস্তায় রাস্তায় পুলিশ তল্লাশি দেখে মনে হচ্ছে একাত্তরের কোন চলচিত্র দেখছি । কিংবা ৯০ এর স্বৈরাচার শাসন পূর্ণরায় ফিরে এসেছে । সব দেখছি, শুনছি ,মুখ বুঝে সহ্য করছি । আমজনতাদের তো সেটাই প্রধান কাজ । কাজ কর , খাও-দাও, বাচ্চা পয়দা করো, হয় সরকারের চামচাদের চমাচামি করো নয়তো মুখ বুঝে সহ্য করো । প্রতিবাদ করলেই হামলা, মামলা, হত্যা কিংবা গুম । কিছুটা ভয় কিছুটা ব্যবসায়িক ক্ষতি সর্বপরি পেটের ধান্ধায় নিরব দর্শকের ভুমিকায় অবতিন্ন হওয়া ছাড়া কোন উপায় নেই । কিন্তু ব্লগার মন সব মেনে নিতে পারে না । বুকের ভেতর কে যেন প্রতিনিয়ত বলে চলে উঠে দাড়াও, প্রতিবাদ করো রুখে দাড়াও । হাতিয়ার হিসাবে কলমকে সবচাইতে শক্তিশালি বলা হলেও সেটা হচ্ছে দূর্বলদের একমাত্র অস্ত্র ।

নির্বাচনের পর সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতন নিয়ে যা হচ্ছে তাতে প্রতিবাদ না করে পারলামনা । হিন্দু, বোদ্ধ,খ্রীস্টানরা ও এদেশের নাগরিক । মুসলমানদের মতো তারাও সকল সুযোগ সুবিধা ভোগ করে বা করে আসছে । দেশের প্রতিটি বড় বড় পোস্টে হিন্দুরা বসে আছে ।স্কুল,কলেজ , বিশ্ববিদ্যালয়, আদালত সব কিছুতে হিন্দুদের এক চাটিয়া নিয়োগ প্রাপ্তিদেখলে হিন্দুরা কতোটা এগিয়ে আছে সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না । যারা আমার এ কথার সঙ্গে একমত নন তারা একটু খোজ খবর করে দেখুন । আসল চিত্রটা পেয়ে যাবেন । দেশের সংবিধানের প্রনেতা হিসাবেও হিন্দুরা আছে । তবুও তারা নামে সংখ্যালগু । কেন ? কেননরা এটা থাকলে অনেক সুবিধা পাওয়া যায় । অনেক সুবিধা আদায় করা যায় । গুটি কয়েক বাড়িতে আক্রমন করা হলো – রাস্ট্রের কাজ হলো যারা হামলা করেছে আগুন দিয়েছে তাদের খুজে বের করে গ্রেফতার করা । বিচার করা । কিন্তু সেটি করা হচ্ছে না । শুধু জামাত আর বিএনপিকে দোষারোপ করে আক্রান্তদের নতুন নতুন বাড়ি ঘর নির্মাণ করে দিয়ে নিজেদের দায় এড়িয়ে যাচ্ছে । কেন এমনটি হচ্ছে ?

এমনি করা হচ্ছে একটি করনে সেটি হচ্ছে ফাযদা হাসিল । সরকার এবং হিন্দুরা উভয় পক্ষ এ সংখ্যালঘু তকমা গায়ে জড়িয়ে ফায়দা লুটছে । সাধারন হিন্দুরা পাচ্ছে বাড়ি , টাকা , জমি , চাকরি আর সরকার নিচ্ছি ক্ষমতায় থাকার সুযোগ ।

অন্যধর্মের লোকের উপড় আক্রমন এটা নতুন কিছু নয় । ভারতে কয়েক দিন পূর্বেও ১১জন মুসলমানকে হত্যা করা হয়েছে । সেটা নিয়ে এদেশে ছোট দু একটা ছোট নিউজ ছাড়া আর কোন কিছু লেখা হয়নি । মায়ানমারে হাজার হাজার মুসলমান হত্যা করা হচ্ছে সেটা নিয়েও কিছু লেখা হয়নি । গুজরাটে মুসলমান হত্যাকান্ড, ১৯৯০ বাবরী মসজিদ ধ্বংসের কথা সবার জানা । সেখান থেকেই শুরু তখন এরশাদ ক্ষমতায় থাকার জন্য হিন্দুদের বিরুদ্ধে আক্রমনের প্রত্যক্ষ পরোক্ষ মদদ দিয়েছিল ক্ষমতায় ঠিকে থাকবার জন্য । জনগনের মনোযোগ অন্য দিকে সরাবার জন্য । এবারও তাই হচ্ছে একটি জনগন বিহীন ব্যর্থ নির্বাচন থেকে দেশের জনগনের, বিশ্ববাসির মনোযোগ অন্যদিকে সরানোর জন্যই সংখ্যালঘুদের উপর হামলা নামক এই নাটক মঞ্চায়ন করা হচ্ছে ।

স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশ ভারতের নানান নির্যাতনের স্বীকার । সীমান্তে পাখির মতো মানুষ হত্যা , নদীর বুকে বাঁধ দিয়ে বাংলাদেশকে মরু ভূমিতে পরিনত করা । চিকিৎসা, ব্যবসার জন্য ভারতে যাওয়া যাত্রিদের হয়রানি করা যা কিছু করা সম্ভব ভারত করছে । কিন্তু ৫ই জানুয়ারীর নির্বাচনের পর সংখ্যালুগুদের উপড় নির্যাতন নিয়ে যে নাটক মঞ্চায়িত করা হচ্ছে । ভেবে দেখতে হবে এমনটি কেন করা হচ্ছে ? বাংলাদেশের মানুষসহ সরা বিশ্ব ৫ই জানুয়ারীর নির্বাচন বয়কট করছে । করেনি শুধু ভারত । তিস্তার পানি না দিলেও জনগনবিহীন নির্বাচনে সমর্থণ দিয়েছে ঠিকই কিন্তু সেটি কেন ?

এ দেশের জনগন নির্বাচন প্রত্যাখান করার পর নতুন নাটক মঞ্চায়ন করা হচ্ছে । এ নাটকের নিদেশেক , প্রজেযোক হচ্ছে ভারত । নাটকের নাম – সংখ্যালুদের উপড় হামলা । গোটা কয়েক হিন্দু বাড়িতে রাতের আন্ধকারে হামলা করো , বাড়ী ঘর ভাংচুর করে । বাস, বাকিটা করে দিবে মিডিয়া । বিশ্ব বাসিকে দেখান যাবে এ দেশের অন্য ধমের্র নাগরিকরা কতো অন্যায় ,অত্যাচার, জুলুমের স্বীকার । এতে করে নির্বাচনের বৈধতা পাওয়া যাবে ।

ভৌগলিক দিক দিয়ে বর্তমানে বাংলাদেশ ভারতের কাছে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ । ছলে বলে কৌশলে বাংলাদেশকে দখলে রাখতে হবে । এ দেশটাকে দখল না করেও নিজেদের অঙ্গ রাস্টের মতো ফায়দা নেওয়ার জন্যই রাজনৈতিক একটি পদক্ষেপ এটি । সংখ্যালগুদের তকমা গায়ে জড়িয়ে যারা এ নাটক মঞ্চায়িত করছে তাদের তাদের মুখোশ উন্মেচন একদিন হবেই । আর এটাও মনে রাখা উচিত আমেরিকা যেমন খ্রীস্টান রাস্ট্ট,ভারত যেমন হিন্দু রাস্ট্র তেমনি বাংলাদেশও একটি মুসলিম রাস্ট্র । তবে এদেশে সকল ধর্মের মানুষের অধিকার সমান । যেমনটি চলে আসছে তেমন চলতে থাকবে । এর পরির্বতন হবে না । যারা সংখ্যালুগু বলে এদেশের নাগরিকদের একটি অংশকে আলাদা করে ফায়দা লুটতে চাইছে তারা কিছুতেই সফল হবে না । আর এটি করতে গিয়ে তারা এদেশের মুসলমান নাগরিকদের মনে বিদেষের বিষ ছড়িয়ে দিচ্ছেন । সে বিষ এতো মারান্ত্ক যে সব বিষাক্ত করে ফেলবে ।
৩টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অহমিকা পাগলা

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১৪


এক আবেগ অনুভূতি আর
উপলব্ধির গন্ধ নিলো না
কি পাষাণ ধর্মলয় মানুষ;
আশপাশ কবর দেখে না
কি মাটির প্রণয় ভাবে না-
এই হলো বাস্তবতা আর
আবেগ, তাই না শুধু বাতাস
গায়ে লাগে না, মন জুড়ায় না;
বলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

হার জিত চ্যাপ্টার ৩০

লিখেছেন স্প্যানকড, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩




তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনাস্ত

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪



ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×