somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আবদুল গাফফার চৌধুরীর মূর্খতার প্রমাণ কাবা ঘরে রক্ষিত দেব দেবির নামসহ ..

০৬ ই জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

গাফফার চাচা অর্থাৎ আবদুল গাফফার চৌধুরীর লেখা পড়ি ক্লাস নাইন থেকে । তখন তিনি দৈনিক ইত্তেফাকে লিখতেন । নিউইয়র্ক বসে তিনি লিখতেন ইত্তেফাকে তা ছাপাত এবং আমি মূর্খ সেগুলো পড়তাম । ভাবতাম লোকটা কতো না জ্ঞানী । বঙ্গবন্ধুর প্রতি তার কি অগাধ বিশ্বাস, কি ভক্তি ! দেশের প্রতি কি তার টান । টানটান উত্তেজনা নিয়ে তার কলাম পড়তাম ।

সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সব কিছু পরিবর্তন হয় । মানুষের শরীরে পরিবর্তন আসে পরিবর্তন আসে মনে ও মগজে । কাদামাটির মনটা শক্ত হতে হতে ইটপাথরের মতো শক্ত হয়ে যায় । পরিপক্বতা আসে চিন্তা চেতনায় । আমারও সেইসব পরিবর্তনের ঋতু অতিক্রম করার পর গাফফার চৌধুরীর লেখাগুলো একসময় মনে হয়েছে খড়কুটা কিংবা ভুষি । একই প্যাঁচাল একই টাইপের গান একই বস্তাপচা সংলাপ আলাপ । যেখানে একটু খেয়াল করলেই দোদুল্যমান লেজুড় দেখা যায় । এরপর গাফফার চৌধুরীর লেখা আর পড়া হয়নি । সেটা ও বছর ১৫ হবে । আমার প্রিয় মানুষের তালিকা খুব দীর্ঘ নয় সেই তালিকাটা ছোট হতে হতে এক সময় খুবই ছোট হয়ে যায় । এখন সেখানে টিকে আছেন শুধু মুকুল ভাই ।

যা বলতে চাইছিলাম, একসময়ের প্রিয় গাফফার চাচার কিছু বক্তব্য প্রকাশ পাওয়ার পর বারবারই ভাবছিলাম এমন কথা উনি বললেন কি ভাবে ? একজন জ্ঞানী মানুষের পক্ষে এভাবে মূর্খের মতো বক্তব্য দেওয়া কিছুতেই সম্ভব নয় । লোকটা নিজেকে আর লুকিয়ে রাখতে পারলো না । নিজের জ্ঞানের পরিচয় দিয়েই দিল । আল্লাহ্‌ নাম নিয়ে উনি যা বলেছেন, তাতে বোঝা যায় ইসলাম সম্পর্কে ওনার জ্ঞান শূন্যের কোঠায় । কোরআনে বনিত আল্লাহর নামগুলো সম্পর্কে উনি বলেছেন , এগুলো নাকি কাফেরদের দেবতাদের নাম । কাবাকে রক্ষিত দেব দেবীদের নাকি এইসব নামগুলো ছিল । গাফফার চাচা আপনাকে বলছি - সেসময় কাবাতে যে সব মূর্তিগুলো ছিল সেগুলোর নাম ছিল, লাত , মানাত, হুবাল, অবগাল ,দুল খালসা,এল্লাহ, উজ্জা, মালা কবেল, নেব, নের্গাল,সিন সুয়া, নুহা, সুয়া, রুভা ইত্যাদি । এই দেবদেবীদের নামের সঙ্গে কি আল্লাহর কোন নামের মিল খুজে পাওয়া যায় ? যায় না । অর্থাৎ আপনি মিথ্যা বলেছেন । ভাল মতো পড়াগুনা করে কিছু বলেননি । মুখে যা এসেছে বলে দিয়েছেন । আপনি মানুসিক ভাবে দেউলিয়া হয়ে গেছেন । ভেবেছিলেন এদেশের মানুষজন সব ক্লাস নাইনের ছাত্র । তারা আপনার সব কথা মেনে নিবে । লতিফ সিদ্দিকির কথায় তো কিছুটা লজিক ছিল আপনার কথা বার্তা বা বক্তব্যগুলো হয়েছে হিংসুটে মূর্খ রমণীর মতো যে ঝগড়ার সময় কি বলে তা নিজেও জানে না ।

আমি আপনাকে মূর্খদের সর্দার বলতে বাধ্য হচ্ছি । মহান আল্লাহকে সেই সময়কার কাফের মুশরিকরাও আল্লাহ্‌ই বলে ডাকতো । তারা ও বিশ্বাস করতো আল্লাহ্‌ একজন । শুধু মুসলমানদের সঙ্গে তাদের পার্থক্য ছিল তারা শুধু আল্লাহ্‌ পাশাপাশি আরো দেবতাদের পূজা অর্চনা করতো । কিন্তু মুহাম্মদ স : বলেছেন আল্লাহ্‌ ছাড়া অন্য কোন ইল্লাহ নাই । আল্লাহ্‌ ছাড়া অন্য কেউ ইবাদতের যোগ্য নয় । আল্লাহর এই গুণবাচক নামগুলো এসেছে কোরআনে ।

আপনি মুসলমান নারীদের পর্দা নিয়ে কথা বলেছেন, আমি আপনার মানস দৃষ্টি উন্মোচনের জন্য বলছি - পর্দা শুধু মুসলমান নারী বা পুরুষের জন্য নয় । এটা অন্যান্য ধর্মের নারীরাও পালন করে । যেমন আহলে কিতাব ইহুদি রমণী, পেনসিলভানিয়ার আমিষ গোত্রের মেয়েরা, ক্রিস্টিন নান এরা সবাই বোরখা পরে পর্দা দিয়ে চলে । অথচ আপনি শুধু মুসলমান নারীদের বোরখা বা পর্দা নিয়ে কথা বলেছেন । ইসলামে পর্দার কথা বলা হয়েছে, আল্লাহ কুরআনে রমনীদের চাদর দিয়ে মুখে ঢেকে বাহিরে যেতে বলেছেন । সেটা নারীদের নিরাপত্তার জন্যই বলা হয়েছে । ( অন্য ধর্মের কিছু নারীর ছবি দিলাম আশা করি এরপর আর বললেন না পর্দা শুধু মসুলমান নারীদের জন্য )



আরো অনেক কিছু বলতে বা লিখতে পারি কিন্তু ইচ্ছে করছে না , কেননা পাগলের কথার প্রতিবাদ করে কি করবো । আপনার বয়স হয়েছে, মাথা এলোমেলো হয়ে গেছে হয়তো । চিন্তা চেতনা নষ্ট হয়ে গেছে । সবই বয়সের দোষ । আপনার হয়তো চিকিৎসার দরকার । চিকিৎসা নিন সুস্থ হয়ে উঠুন । এই বয়সে রসূল হবার স্বপ্ন দেখবেন না । আসমানি কিতাব ছাড়া রসূল হওয়া যায় না । এটা বোধ হয় আপনি জানেন । আপন এখন যা লিখেন সেগুলো দিয়ে কেউ তাদের বাচ্চাদের টয়লেটও পরিষ্কার করবে না । সূতরাং বিশ্রাম নিন, চিকিৎসা নিন সুস্থ হয়ে উঠুন । ফেসবুকে আপনার সর্ম্পকে কি একটা লেখা খুব গুরছে । মুকুল ভাই বেচে থাকলে যাচাই করে নিতাম ।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই জুলাই, ২০১৫ সকাল ৯:০৯
২৩টি মন্তব্য ২১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অহমিকা পাগলা

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১৪


এক আবেগ অনুভূতি আর
উপলব্ধির গন্ধ নিলো না
কি পাষাণ ধর্মলয় মানুষ;
আশপাশ কবর দেখে না
কি মাটির প্রণয় ভাবে না-
এই হলো বাস্তবতা আর
আবেগ, তাই না শুধু বাতাস
গায়ে লাগে না, মন জুড়ায় না;
বলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

হার জিত চ্যাপ্টার ৩০

লিখেছেন স্প্যানকড, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩




তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনাস্ত

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪



ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×