somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

অর্থমন্ত্রীর এতো নির্যাতন আর যে সয় না এই মন

০১ লা জুন, ২০১৭ সকাল ১০:৫০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


অর্থমন্ত্রী বলেছিলেন, দেশি চিনির চাহিদা নাই তাই তিনি দেশি চিনির কলগুলি বন্ধ করে দেবেন । অথচ বাজারে গিয়ে মানুষ দেশি চিনি খোজে। দাম বেশি। তবুও খোজে । কিন্তু অর্থমন্ত্রী বেচতে চান বিদেশ থেকে আনা পরিশোধিত চিনি । যা চিনি নামের বিষ । তাহলে কি মনে প্রশ্ন জাগে না বাজারে দেশি চিনির পর্যাপ্ত চাহিদা থাকার পরেও তিনি চিনিকলগুলি কাদের স্বার্থে বন্ধ করতে চেয়ে ছিলেন ? তা কি শুধুই সরকার ভর্তুকি দিচ্ছে বলে ? বাজারে চাহিদা থাকলে চিনিকলগুলি লোকসান করে কি করে ? অতীব রহস্য, তাই না ?
এবার আসি দেশি পণ্য বিড়ির কথায় । যা দেশের খেটে খাওয়া কৃষক, মজুর,যারা রাবিশ শ্রেণীর (জাতীয় শব্দ) মানুষ তারা পান করে থাকে । অর্থমন্ত্রী সেই বিড়ি
একেবারে বন্ধ করে দিতে চাইছেন । কোন সন্দেহ নাই যে, বিড়ি পান স্বাস্থ্যের জন্য হানিকর । অর্থমন্ত্রী সাহেব কিন্তু কৃষক, মজুরের স্বাস্থ্যের কথা বিবেচনা করে, তাদের প্রতি দয়া দেখিয়ে বিড়ি বন্ধ করতে চাইছেন না । তিনি চাইছেন,কৃষকরা যেন বিড়ির দামে সিগারেট কিনতে পারে । তাই আসসে বাজেটে বিড়িতে ৭০% ট্যাক্স বসাচ্ছেন । তাহলে সিগা্রেটওয়ালারা খুশি হবে । টাকা চলে যাবে আবারো কোটিপতিদের পকেটে । কি আশ্চর্য তাই না ? উনি শুধু বড় বড় ব্যবসায়ীদের রহস্যজনক কারণে খুশি করেন । যাদের কাছে থেকে তত্বাবধায়ক সরকার হাজার হাজার কোটি টাকা উদ্ধার করেছিলো । তারাই ওনার,ওনাদের প্রিয় পাত্রে পরিনত হয়েছেন । রাবিশ কৃষক, মজুর এবার তোরা বিড়ি ছেড়ে সিগারেট ধর আর কতোকাল বিড়ি খাবি ।
নিম্ন আয়ের, মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষ যারা মাথার ঘাম পায়ে ফেলে তিল তিল করে ব্যাংকে টাকা সঞ্চয় করে, জমায় । স্বপ্ন দেখে সেই টাকা দিয়ে এক টুকরো জমি কিনবে ,একটা বাড়ি করবে । ছেলে মেয়েকে লেখা পড়া শেখাবে । বিদেশে পাঠাবে । মেয়ের বিয়ে দেবে। কিন্তু জনদরদী অর্থমন্ত্রীর তা সহ্য হচ্ছে না, তিনি জনগনের এই টাকায় কর বসিয়ে তা কেটে নিতে চাইছেন । চাইছেন, সঞ্চয় পত্রের মুনফা কমিয়ে দিতে । ১লাখ টাকা ৩ মাসের জন্য ব্যাংকে রাখলে সেই টাকা থেকে নাকি কর কেটে নিয়ে জমাকারীর হাতে ধরিয়ে দেওয়া হবে একলাখের চেয়েও কম টাকা । তিন মাস একলাখ টাকা খাটিয়ে গ্রাহক পাবে আন্ডা । কতো বড় সাহস, রাশিস জনগণ সঞ্চয়ের স্বপ্ন দেখিস । স্বপ্ন দেখা বন্ধ কর ।
বেশির ভাগ অবসর প্রাপ্ত কর্মকর্তা, কর্মচারী,প্রবীন ব্যক্তিগন অবসরকালীন প্রাপ্ত টাকায় সঞ্চয়পত্র কিনে তা থেকে প্রাপ্ত মুনফা দিয়ে সংসার চালান । কিন্তু অর্থমন্ত্রী চাইছেন, তারা সেই টাকাও ভেঙ্গে খেয়ে ফেলুক তারপর ভিক্ষায় নামুক । ব্যাংকে জমা রাখলে সরকার টাকা কেটে নেবে । সঞ্চয়পত্র কিনলে মুনফা পাবে না । তাই এমনিতেই সঞ্চয়পত্র কেনা বন্ধ হয়ে যাবে । লাভ না হলে কেন কেউ সঞ্চয়পত্র কিনবে ?
সুতরাং তা এমনিতেই বন্ধ হয়ে যাবে । এভাবেই জনগণের কষ্টের টাকা অর্থমন্ত্রী নিজেই টাকা মনে করেই ছিনিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করছেন।
অর্থমন্ত্রী হয়তো চাইছেন জনগণ আবার শেয়ার বাজারে যাক । হা হা হা । শেয়ারবাজারের লুটের কথা মনে আছে তো ? না ভুলে গেছেন ? সেই শেয়ার বাজারে টাকা খাটান । অথবা টাকা বালিশের নীচে নিয়ে ঘুমান । তারপর ডাকাত এসে সেই টাকা লুটে নিয়ে যাক । তাতে সরকারের কি ? দু একটা কথা বলে,দেশ প্রেমিক আখ্যা দিয়ে তাদের দায় শেষ । সরকারের কাছের লোকেরাই চুরি করছে । এ কথা গতকালও একজন সংসদে দাড়িয়ে বলেছে । চুরি এখন প্রকাশ্য হচ্ছে । চোরেরা তাই প্রকাশ্যেই ঘুরছে । তারা কিছুই পরোয়া করছে না । বাজারে কারো নিয়ন্ত্রন নাই । যে যার ইচ্ছে মতো দাম হাকছে ব্যবসা করছে ।
বলি এতো টাকা টাকা দিয়ে অর্থমন্ত্রী কি করবেন ? দেশের উন্নতি করবেন ? জনগণ মরে গেলে সেই উন্নতি কার জন্য ? অর্থমন্ত্রীর কাছে প্রশ্ন, আপনি ব্যাংকগুলো থেকে লুট হওয়া,শেয়ার বাজার থেকে লুট হওয়া হাজার হাজার কোটি টাকা উদ্ধারে জন্য কি করেছেন ? কি কি ব্যবস্থা নিয়েছেন ? কোথায় সেই টাকা ? এর পরেও শুনতে হয় হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার হয়ে যাচ্ছে । সরকারী ব্যাংকগুলো লুট করে সেই টাকা প্রাইভেট ব্যাংকগুলোতে খাটানো হচ্ছে । ধীরে ধীরে পাখা গজানের পর তা বাহিরে চলে যাচ্ছে । অথবা কালো টাকা সাদা করার সুযোগ নিয়ে তা পবিত্র হয়ে যাচ্ছে । অর্তমন্ন্ত্রী কতো কিছু করেন শুধু এই কালো টাকাওয়ালাদের কিছু করেন না । হায় সেলুকাস । কতো বিচিত্র আকারে হচ্ছে দেশ চুরি । উন্নতি যে হচ্ছে না তা বলবো না কিন্তু কিন্তু চোরেদের চৌরত্বের কারণে উন্নতি জনগনের চোখে পরছে না ।
৫ বার বাড়িয়েছেন গ্যাসের মূল্য, অসংবার বাড়িয়েছেন বিদ্যুতের মূল্য । ডাবল দামে জ্বালানী তেল বেচে ব্যবসা করছেন । জনগন কিছু বলছেন না । চুপ করে আছে কিন্তু আর কতো ? জনগণের পিঠ দেয়ালে ঠেকে যাচ্ছে । সেই আওয়াজ কি শুনতে পাচ্ছেন ? যেদিন ফাটবে সেদিন সব ভেসে যাবে । এখনো সময় আছে , জনগন বান্ধব বাজেট দিন । ধনীদের খুশি করার চিন্তা বাদ দিন । জনগনের জন্য ভাবুন । একটা সুযোগ পেলেই জনগন ছুড়ে ফেলে দিবে আপনার সব উন্নয়ন ।
রাবিশ জনগণকে বলছি, তোর কপালে ঝাড়ুর বারি । খালি ভোটের চিন্তায় থাকিস। ৫ই জানুয়ারির কথা মনে করে আরো দুইডা ঝাড়ুর বারি বেশি দে। আর দোয়া কর এইডা যেন এই অর্থমন্ত্রীর শেষ বাজেট হয় ।
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা জুন, ২০১৭ দুপুর ২:৫৫
১১টি মন্তব্য ৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আপনি কি বেদ, উপনিষদ, পুরাণ, ঋগ্বেদ এর তত্ত্ব বিশ্বাস করেন?

লিখেছেন শেরজা তপন, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫২


ব্লগে কেন বারবার কোরআন ও ইসলামকে টেনে আনা হয়? আর এই ধর্ম বিশ্বাসকে নিয়েই তর্ক বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে সবাই? অন্য ধর্ম কেন ব্লগে তেমন আলোচনা হয় না? আমাদের ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

দুলে উঠে

লিখেছেন সাইফুলসাইফসাই, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৫৬

দুলে উঠে
সাইফুল ইসলাম সাঈফ

মন খুশিতে দুলে দুলে ‍উঠে
যখনই শুনতে পাই ঈদ শীঘ্রই
আসছে সুখকর করতে দিন, মুহূর্ত
তা প্রায় সবাকে করে আনন্দিত!
নতুন রঙিন পোশাক আনে কিনে
তখন ঐশী বাণী সবাই শুনে।
যদি কারো মনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

তরে নিয়ে এ ভাবনা

লিখেছেন মৌন পাঠক, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:৩০

তরে নিয়ে এ ভাবনা,
এর শুরু ঠিক আজ না

সেই কৈশোরে পা দেয়ার দিন
যখন পুরো দুনিয়া রঙীন
দিকে দিকে ফোটে ফুল বসন্ত বিহীন
চেনা সব মানুষগুলো, হয়ে ওঠে অচিন
জীবনের আবর্তে, জীবন নবীন

তোকে দেখেছিলাম,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আপনি কি পথখাবার খান? তাহলে এই লেখাটি আপনার জন্য

লিখেছেন মিশু মিলন, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:৩৪

আগে যখন মাঝে মাঝে বিকেল-সন্ধ্যায় বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতাম, তখন খাবার নিয়ে আমার জন্য ওরা বেশ বিড়ম্বনায় পড়ত। আমি পথখাবার খাই না। ফলে সোরওয়ার্দী উদ্যানে আড্ডা দিতে দিতে ক্ষিধে পেলে... ...বাকিটুকু পড়ুন

কষ্ট থেকে আত্মরক্ষা করতে চাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৯



দেহটা মনের সাথে দৌড়ে পারে না
মন উড়ে চলে যায় বহু দূর স্থানে
ক্লান্ত দেহ পড়ে থাকে বিশ্রামে
একরাশ হতাশায় মন দেহে ফিরে।

সময়ের চাকা ঘুরতে থাকে অবিরত
কি অর্জন হলো হিসাব... ...বাকিটুকু পড়ুন

×