আরাকান রাজ্যে রোহিঙ্গাদের বসবাস হাজার বছর ধরে । অতীতে অপরাধীদের নির্বাসনে পাঠানো হতো মায়ানমারে । কারণ, সেখানে অসভ্য জঙ্গি মগ-মুরংরা এবং অন্যান্য কিছু উপজাতির বসবাস করতো । তারা এতোটাই অসভ্য ছিলো যে,মানুষের মাংস ভক্ষন করতো। অপরাধীদের চুড়ান্ত শাস্তি দেওয়ার জন্য কালাপানির দেশেকে বেছে নেওয়া হয়েছিলো ।
সেই তুলনায় আরাকানের রাখাইন ছিল একটি সভ্য রাজ্য । অসভ্য বার্মিজ মগদের তুলনায় আরাকান রাজ্যের অধিবাসীদের জীবন যাত্রার মানও ছিল অনেক উন্নত । তাই রাখাইন রাজ্য এর অধিবাসী ও রাজারা সর্বসময়ই বার্মিজদের কাছে ঈষনিয় ছিল। আজকে আমরা যে, দরিদ্র রোহিঙ্গাদের দেখছি তারা এমন ছিলো না । যুগের পর যুগ সামাজিক, রাজনৈতিক ভাবে তাদের নির্যাতন করে এমন অবস্থায় নিয়ে আসা হয়েছে ।
যে কথা বলছিলাম, বার্মিজ মগরা সব সময় সুযোগ বুঝে আরাকানের বিভিন্ন অংশে হামলা চালিয়ে, লুট পাট করতো,মেয়েদের ধরে নিয়ে যেতো । এক সময় এই জঙ্গিদের হাতেই আরাকান রাজ্যের পতন ঘটে । আরাকানের অধিবাসীদের দু:ভাগ্য শুরু হয় ।
অতীতে মায়ানমারকে বলা হতো,কালা পানির দেশ। সেই অপরাধীরা স্থানীয়দের সাথে মিশে গিয়ে তৈরি করেছে আজকের বার্মা । ইংরেজদের শাসন আমলেও বার্মতে অপরাধীদের নির্বাসনে পাঠানো হতো । ইংরেজদের সময় থেকেই ভারত এবং অন্যান্য দেশ থেকে লোকজন বার্মাতে গিয়ে বসবাস করা শুরু করে । ধীরে ধীরে রেঙ্গুন একটি বাণিজ্যিক নগরীতে পরিনত হয় । সামছেদ বেগমের সেই বিখ্যাত গানটির কথা মনে আছে তো, মেরা প্রিয়া গিয়া রেঙ্গুন উহাসে আয়া টেলিফুন .....................রাখাইনদের প্রতি আধুনিক বার্মিজের মনোভাব এখনো পরিবর্তন হয়নি । কেননা সেই জঙ্গি অসভ্য মগরাই বার্মা শাসন করে আসছে । মর্গদের শারীরিক শক্তি বেশি হওয়ায় তারা সেনাবাহিনীতে ভর্তি হওয়ার পর অস্ত্রের শক্তিতে ধীরে ধীরে তারা মায়ানমার দখল করে নেয় । এদের হাতে সুচির পিতা নিহত হয়েছে , সুচি রেপ ও লাঞ্ছিত হয়েছে ........
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:৩২