অটিস্টিক রোবট এই প্রথম দেখলাম! এর চেয়ে শপিং মলগুলোর বারবি ডলগুলো অনেক বেশি স্মার্ট । আইসিটি সেক্টরে বাংলাদেশের অর্জন বিশাল এই অটিস্টিক রোবট দিয়ে সেই প্রাপ্তিকে ম্লান করা হয়েছে। দেশের তরুন প্রজন্মের মান উন্নয়ন হলেও সরকারী আমলাদের যে মান উন্নয়ন হয় নাই এটা তার ই প্রমাণ।
খুব সম্ভব জাভাতে প্রোগ্রামিং করা রোবটটি প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছে, সিলেক্টেড প্রশ্ন থেকে কিওয়ার্ড সার্চিং এর মাধ্যমে । যেহেতু , আইটি আমার পেশা সেহেতু আর একটু বুঝিয়ে বলছি, ধরে নিচ্ছি সোফিয়া নামের রোবটটিকে কোডিং করা হয়েছে, ৫০০০০ হাজার ওয়ার্ড দিয়ে । এখন রোবটটিকে কোন প্রশ্ন করা হলে, সে সেই ৫০০০০ ওয়ার্ড থেকে শব্দ বাছাই করে প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছে । যেমন তাকে বলা হলো, সোফিয়া তুমি অনেক সুন্দর । তখন সে উত্তর বলবে, ধন্যবাদ । আমি মনে করি তোমার বউ আরো বেশি সুন্দর । তার দিকে মনোযোগ দাও । মেয়েদের সম্মান করো । অথবা তাকে বলা হল, তোমাকে বাংলাদেশে স্বাগতম, তখন সে বলল, বাংলাদেশ অনেক সুন্দর সবুজ একটি দেশ । এখানে এসে আমার ভাল লাগছে । বাংলাদেশের মানুষ অনেক ভালো । তারা অনেক বোকাও বটে তা না হলে আমার প্রোগ্রামারকে টাকা দেবে কেন । রোবটের মুখে কথা শুনে আপনি গোল আলু হয়ে, তাকে বলেই ফেললেন, তোমার হাসি অনেক সুন্দর । সে উত্তর দিলো এই হাসি অনেক কষ্টে শিখেছি । আর এতেই আপনি আমি মদনা হয়ে গেলাম । এটা নিয়ে এতো হইচই করার কি হলো বুঝলাম না । পুরা জাতীকে কেন মদনা বানানো হলো ? সোফিয়াকে আনা নেওয়ার পেছনে কতো টাকা ব্যয় হলো সেটা জানতে চাই । এই ধরনের অহেতুক ব্যয়গুলো বন্ধ হোক । সেই অর্থ তরুণদের পেছনে খরচ করা হোক । সরকারী আমলাদের বিদেশ ভ্রমন বন্ধ হোক ।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৬