somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ইউএস বাংলা বিমান দুর্ঘটনা ও কিছু প্রশ্ন - কোন লঞ্চ দুর্ঘটনায় যদি এতোগুলো প্রাণ যেতো তাহলে চালকের যোগ্যতা নিয়ে নানান মহল থেকে অনেক প্রশ্ন উঠত

১৩ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৫:৪১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


কন্টোল টাওয়ার থেকে পাইলটকে অপেক্ষা করতে বলা, অথবা বার কয়েক ল্যান্ডিং পজিশন চেঞ্জ করা এগুলো খুবই স্বাভাবিক প্রক্রিয়া । প্রতিটি ব্যস্ত বিমানবন্দরে এগুলো অহরহ হয়ে থাকে । আমি বুঝতে পারছি না , পাইলট কেন ল্যান্ডিং এর ব্যাপারে পুরোপুরি নিশ্চিত না হয়ে ল্যান্ডিং করতে গেলেন ? তিনি তো কোন ইমার্জেন্সি ল্যান্ডিং এর কথা বলেননি । স্বাভাবিক অবস্থায়, প্রপার ল্যান্ডিং অনুমতি না পাওয়া পর্যন্ত কোন বিমান ল্যান্ডং বা টেক অফ করে না । এমনকি অনুমতি পাওয়ার আগ পর্যন্ত আধা ঘন্টা লাগুক,এক ঘন্টা লাগুক বিমানের আকাশে উড়তে থাকাটা খুবই স্বাভাবিক ঘটনা । এমনটা অহরহ হচ্ছে । প্রশ্ন হচ্ছে, তাহলে কি বিমানে পর্যাপ্ত ফুয়েল ছিল না ? যারা ফলে পাইলট নিশ্চিত সিগলান না পাওয়ার পরেও নামতে বাধ্য হন । বিমানটির বিধ্বস্ত হওয়ার ধরন দেখে মনে হয়েছে সমস্যা ছিল বিমানের ল্যান্ডিং গিয়ারেও । ল্যান্ডিং গিয়ার কি কাজ করছিলো না ? অথবা হঠাত করেই সেটি জ্যাম হয়ে গেছে যার ফলে বিমানটি রানওয়ে থেকে ছিটকে বাহিরে চলে গেছে । কন্টোল টাওয়ার এবং পাইলটের মধ্যে কথাবার্তা শুনে মনে হয়েছে, পাইলট তারা একে অপরের কথাবার্তা বুঝতে পারছিলেন না । কিছু একটা গ্যাপ থেকে গেছে ।

বৈমানিকের যোগ্যতা নিয়ে আমি প্রশ্ন তুলতে চাই না । কিন্তু তবুও তা বলতে হবে । এতো মানুষের জীবন যাদের হাতে থাকে তাদের অবশ্যই দক্ষ,যোগ্য হতে হয় । কোন লঞ্চ দুর্ঘটনায় যদি এতোগুলো প্রাণ যেতো তাহলে চালকের যোগ্যতা নিয়ে নানান মহল থেকে অনেক প্রশ্ন উঠত । বিমান বড় লোকদের যান তাই বুঝি কোন প্রশ্ন নাই । এতোগুলো প্রাণ ঝরে যাওয়ার পর ও কেউ ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা বলছে না । না বিমান সংস্থা না সরকার । অতচ ইউএস বাংলা কিন্তু ঠিক ই বীমার টাকা পেয়ে যাবে ।

আশা করি এই প্রশ্নগুলোর উত্তর পাওয়া যাবে। এই বিমাটি সম্পর্কে যতোটুকু জানতে পারলাম, কানাডায় তৈরি এই কোম্পানির একই ধরনের বিমানে এই ল্যান্ডিং সমস্যার কারণে অনেকবার বিধ্বস্ত হয়েছে
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৫:৪১
২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ডালাসবাসীর নিউ ইয়র্ক ভ্রমণ

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ২:৪৪

গত পাঁচ ছয় বছর ধরেই নানান কারণে প্রতিবছর আমার নিউইয়র্ক যাওয়া হয়। বিশ্ব অর্থনীতির রাজধানী, ব্রডওয়ে থিয়েটারের রাজধানী ইত্যাদি নানান পরিচয় থাকলেও আমার কাছে নিউইয়র্ককে আমার মত করেই ভাল ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×