somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

Scent of a Woman - অসম্ভব ভালো লাগা একটি মুভি

২৮ শে নভেম্বর, ২০১১ বিকাল ৪:৩৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


কিছু কিছু মুভি আছে যেগুলো দেখার পরও তার আবেদন কোনো অংশে ফুরায় না। Scent of a Woman
ঠিক সেই ধরণের বিরল মুভিগুলোর একটা। মুভিটা দেখার পর স্তব্ধ হয়ে ভাবছিলাম, একটা মুভি কিভাবে এতটা হৃদয়গ্রাহী হয়! কোন রক্ত মাংশের মানুষের পক্ষে কিভাবে সম্ভব এতটা নিখুঁতভাবে নিজের চরিত্রকে রুপালি পর্দায় ফুটিয়ে তোলা! আমার মনে হচ্ছিলো যে জীবনে আমার আর কোন মুভি দেখা হয় নাই! আর কোন মুভি জীবনে না দেখলেও ক্ষতি নাই!

মুভিটার নাম ভুমিকায় অভিনয় করেছেন Al Pacino
।ভদ্রলোকের অনেক মুভি দেখেছি আগে। কিন্তু বাজী ধরে বলতে পারি এই মুভিটা না দেখে যদি বলতাম "আমি আল পাচিনোর মুভি দেখেছি - তার অভিনয় আমার অনেক ভালো লাগে, তিনি একজন ওস্তাদ অভিনেতা" সেটা হতো মিথ্যা বলা! এই মুভিটা না দেখলে অভিনেতা আল পাচিনো কে চেনা যাবে না। জানা যাবে না কতো বড় মাপের অভিনেতা তিনি। স্যালুট টু আল পাচিনো! উল্লেখ্য, এই মুভিতে অভিনয় করে তিনি অস্কার পেয়েছিলেন।

প্রিয় পাঠক, বিশ্বাস করুণ, উপরের প্যারা দুটি দিয়ে আমি আমার মুগ্ধতার কিয়দংশ মাত্র প্রকাশ করেছি।আমি নগণ্য ব্লগার, কতোটুকুই বা আমার প্রকাশ ক্ষমতা! আমি আমার সীমিত লেখনিতেই প্রকাশ করলাম আমার ভালোবাসা। শুধু একটা কথাই বলতে পারি, এই মুভিটা দেখার পর এখন থেকে আল পাচিনো আমার চোখে অল টাইম বেস্ট। জানিনা কোনো দিন এই ধারণা পালটে দেয়ার মত আর কোনো অভিনেতা আসবেন কি না!

এবার নজর দেয়া যাক মুভির দিকে। লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফ্র্যাঙ্ক স্লেড (আল পাচিনো) একজন রিটায়ার্ড আর্মি অফিসার। অন্ধ, আত্যন্ত বিদ্ঘুটে মেজাজ। দুনিয়ার সব কিছুর উপর রেগে থাকা, বেঁচে থেকেও জীবনের উপর বীতশ্রদ্ধ এক হতভাগ্য ব্যাক্তি। জীবন একসময় তাকে সব দিয়েছিলো। কালের প্রবাহে আজ তিনি অন্ধ। একসময়ের পরাক্রমশালী আর্মি আফিসারের চোখে জীবন এখন শুধুই বোঝা মাত্র!

অন্যদিকে চার্লি সিমস (ক্রিস ও' ডোনেল) একটা স্বনামধন্য প্রিপারেটরী স্কুলের ছাত্র। তার আশে পাশের সবাই বিশাল অর্থবান পিতার সন্তান। কিন্তু সে আলাদা। সে এই স্কুলে পড়তে এসেছে স্কলারশিপ নিয়ে। বাবা মা থাকেন বহু দূরে, অরিগন (USA) তে একটা কনভিনিয়েন্স স্টোর চালান তারা।
চার্লি বড়দিন উপলক্ষে বাড়ি যাবে, কিন্তু বিমান ভাড়া নেই যে! কি আর করা পার্ট টাইম জব হিসাবে যোগ দিলো কর্ণেল এর সাহায্যকারী হিসেবে। উদ্দেশ্য বিমান ভাড়ার টাকা জমিয়ে বাড়ি যাবে বড়দিনের ছুটি কাটাতে!

কিন্তু কাজ পুরোদমে শুরু করার আগেই স্কুলের কিছু বখাটে ছেলের দুষ্কর্মের সাক্ষী হয়ে ফেঁসে গেলো সে। আল্টিমেটাম দেয়া হলো তাকে - হয় ধরিয়ে দাও অপরাধীদের, নয়ত শেষ তোমার ভবিষ্যৎ! কাজে এসে খেল আরো বড় ধাক্কা! কর্ণেল যে শুধু বদরাগী তাই না, বরং তার আছে বিশাল এক প্ল্যান - জীবনটাকে শেষবারের মতো উপভোগ করতে চান তিনি। তাই তাকে যেতে হবে নিউ ইয়র্ক!

একদিকে স্কুলের ঝামেলা, অন্যদিকে কর্ণেলের খেয়ালীপনা - চার্লি সম্ভবত পেতে যাচ্ছে তার জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তগুলো!

প্রিয় পাঠক, আমার মতো নগন্য ব্লগারের পক্ষে রিভিউ লিখে এই মুভির আবেদন বুঝানো সম্ভব নয়। আমার সীমিত ক্ষমতায় যা কুলায় তাই লিখলাম। শুধু এটুকুই বলার আছে - এই মুভিটা না দেখলে আপনার মুভি দেখার ঝুলি থেকে যাবে অনেকটাই অসম্পূর্ণ।

IMDB রেটিং : 7.8/10
আমার রেটিং : 9.5/10

ডাউনলোড লিঙ্ক : Scent of a Woman (1992)
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে নভেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:১৯
৮টি মন্তব্য ৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার প্রফেশনাল জীবনের ত্যাক্ত কথন :(

লিখেছেন সোহানী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৫৪



আমার প্রফেশনাল জীবন বরাবরেই ভয়াবহ চ্যালেন্জর ছিল। প্রায় প্রতিটা চাকরীতে আমি রীতিমত যুদ্ধ করে গেছি। আমার সেই প্রফেশনাল জীবন নিয়ে বেশ কিছু লিখাও লিখেছিলাম। অনেকদিন পর আবারো এমন কিছু নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

×