somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

প্রায়শ্চিত্ত অথবা ভাঁড়ামি

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১২:৫৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

নিজেকে বোঝাটাই বোধহয় সবচেয়ে কঠিন । নিজের ভেতরে যে আরেকটা নিজ থাকে তার কাছে যাওয়াটাই মহা দুষ্কর ।অনেক দুর্গম তার পথ । চোখ বন্ধ করে ভাবলে হয়ত তার অস্তিত্ব অনুভব করা যায় কিন্তু তার অবয়ব প্রত্যক্ষ করা সাধনার ফল । হয়ত সবাই পারেনা হয়ত অনেকেই পারে । সে অন্তরআত্না অনেক অস্থির, চঞ্চল আর বর্ণচোরা । তাকে বুঝিনি বলেই হয়ত আজ এত মাশুল ।

নিজের সম্বন্ধে কিছু লিখব ভাবছি । কিন্তু আমার কোন ভাল গল্প নেই তাই হয়ত কলম দিয়ে বেরুতে চায়না । উপক্রমণিকা পড়লে মনে হতে পারে আত্না-সত্বা নিয়ে অভিসন্দর্ভ লেখার প্রস্তুতি চলছে, তাই না ? আসলে সেরকম কিছু না । শুরু করার কিছু পাচ্ছিলাম না তাই আর কি ! আমি জীবনে কখনই ভাল কাজ করছি বলে মনে হয় না । মূল্যবোধ বা মূল্যায়ন কোনটাই আমার ভেতরে কখনই ছিল না । ভালবাসাকে মনোহারি দ্রব্যের চেয়ে বেশি কিছু ভাবিনি কখনো । চিত্ত প্রফুল্ল রাখার প্রবণতাই আজ আমাক প্রায়শ্চিত্তের দিকে ঠেলে দিয়েছে ।

দেড় বছর আগের কথা , আমরা তখন রেলওয়ে কলোনির পেছনে থাকতাম । এলাকার বখাটেরা মিলে ঠিক করলাম পিকনিক করব, সাথে একটু ভালমন্দের ব্যবস্থা ও থাকবে ( পিকনিক না ছাই ভালমন্দ গেলাই ছিল মূল লক্ষ ) । সমস্যা দাঁড়াল টাকা , আমরা যা চাদা দেব তা দিয়ে ভাত-তরকারির বেশি কিছু হবে না । সুতরাং বাইরের থেকে টাকা না তুলে উপায় নেই । যথারীতি টাকা তুলতে নেমে পরলাম । তিনদিন পর দেখা গেল আমরা বেশ ভাল চাঁদাবাজি করতেই জানি । অ্যাচিভমেন্ট ইজ ওভার ফ্রম টারগেট ।

চাঁদা তোলার সময় যে একটা চমৎকার ভুল হয়ে গেছে তা বলতেই ভুলে গেছি । আমি নিচে দাঁড়ানো ছিলাম ওরা ওপরে টাকা চাইতে গিয়েছিল । নিচে এসে শোভন একটা চমৎকার বোকা মেয়ের বর্ণনা দিল ।

বলল, বস গেট রেডি টু প্লে ইট ।

ফোন নম্বর কই পাব ?

আমি জোগাড় করে দেব ।

তো মালটা কেমনরে ?

অনেক সিম্পল, খেইলা মজা পাবি ।



মেয়েটার নাম নিশু । রাতভর মাল খেয়ে টাল হয়ে নিশু নিশু বলে চিল্লিয়ে এলাকা ফাটালাম । দিনের বেলা স্বভাবমত যাচ্ছেতাই স্বপ্ন দেখলাম । সারাদিন ঘুমিয়ে সন্ধ্যেবেলা দাত ব্রাশ না করেই চলে গেলাম চা সিগ্রেটের নেশায় । চায়ে চুমুক দিতেই শোভন এসে আমার পাশে বসল,

ফোন করছিলি ?

কাকে ফোন করব ? আমি বিচলিত হয়ে জবাব দিলাম ।

পিনিক কাটতে না কাটতেই সব ভুইলা গেলি ?

মানে ?

মানে নিশু, তোমার আনরিলিজড ক-লি-জা ! খুবতো চিল্লাইছিলি ।

আইম সরি দোস্ত, আইম সরি , কই দে , ফোন নম্বর দে ।

আমার উৎফুল্লতা থামিয়ে দিতে ও আমাকে আমার মোবাইলের ইনবক্স দেখতে বলল ।

রাতে শুয়ে শুয়ে মেয়েটাকে ফোন দিলাম । পর পর দুবার বিপ হবার পর সে ফোন ধরল । অভিজ্ঞ বেড়ালের হাতে ইদুর পরলে যা হবার তাই হল । আমি ছদ্মনামে চালিয়ে গেলাম । কয়েক দিনের মধ্যেই আমাদের ভেতর বেশ ভাল একটা সম্পর্ক তৈরি হয়ে গেল । একটু পর পর খোজ বার্তা, গভীর রাত পর্যন্ত গুটুর গুটুর , আর দেরি করে ঘুম থেকে ওঠাকে আমি ওর অভ্যেস করে দিলাম ।

নিশু আমার ছ্য় সাত বছরের ছোট হবে । অল্প কয়েক মাস হল সে ব্যক্তিগত ফোন ব্যবহার শুরু করছে । কলেজের গণ্ডি এখনও পার হয় নি । খুব সরল, আর আত্নকেন্দ্রিক, শুধু শুনতেই তার ভাল্লাগে , সহজে কিছু বলতে চায়না, আমি নাকি অনেক সুন্দর করে গুছিয়ে কথা বলি, তার সারাদিন শুনতে ইচ্ছে করে । নিশুর জগত বলতে তার মা-বাবা আর ছোট ভাই । একটু একটু করে সেই জগতের ভেতরে নিশুর অজান্তেই চলে যাচ্ছিলাম । সে বুঝতেও পারেনি কি এক পরিকল্পিত গহ্বর তাকে গিলে নিচ্ছে ।

যখন বুঝতে পারলাম সময় আমার হাতে চলে আসছে, এখন যা বলব তাই হবে তখন আর দেরি না করে নিশুকে বলে ফেললাম । নিশু কোন জবাব দিল না । কি এক অদ্ভুত কারনে অনেকক্ষণ কেদে ফোন রেখে দিল । ভোর রাতে একটা বার্তা পাঠাল,

" তাহলে এই ছিল তোমার উদ্দেশ্য

না , আমকে আর কখনো ফোন

দিবা না । আমি আমার বাবা-মাকে

কখনো কষ্ট দিতে পারব না । ভাল থেক ।"

আমিও একটা বার্তাতে লিখলাম,

"আমিতো তোমার বাবা-মাকে

কষ্ট দিতে বলিনি, তবে আমার

কথাও একবার ভাবা উচিৎ

ছিল । আমি সারাজীবন

তোমার অপেক্ষায় থাকবো ।

অনেক ভালবাসি তোমাকে"



আমি জানতাম ও পারবেনা । দুইদিন যেতে না যেতেই ফোন দিয়ে ব্যাপক আবেগের কথা শুরু করল । আমি চুপচাপ শুনছিলাম শুধু । ও বারবার কাঁদছিল আবার হাসছিল । একটা কিশোরীর প্রথম ভাললাগা , প্রথম স্বপ্ন , প্রথমবারের মতো কাউকে ভালবাসা যে আকাংখার সীমানা পেরিয়ে কতদূর যেতে পারে তা অনেক কাছ থেকে অনুভব করেও উপলব্ধি করতে পারিনি ।



সত্যি বলতে কি নিশুর সাথে আমার সম্পর্ক শুধু ফোনেই সীমাবদ্ধ ছিল । প্রথমবারেরমত আমরা একটা ফুচকার দোকানে দেখা করি । ও ফুচকা খুব পছন্দ করে । অবশ্য শুধু ও না বাঙালি মেয়ে বলতেই হয় আইস-ক্রিম নয় ফুচকা !



আমি সেদিন আকাশ ভেঙ্গে পরছিলাম অথবা আকাশই আমার উপর ভেঙ্গে পরছিল । সত্যিকারের জলপরী কেমন আমি তা জানি না কিন্তু নিশুকে দেখে আমার ভাষা হারানোর মত অবস্থা হয়েছিল । আমি আসলে বুঝতে পারছিলাম না কিভাবে একটা ছুঁচো বিড়ালের হাতে এমন বিলাতী ইদুর এসে জুটল । চোখ ফেরাতে অনেক কষ্ট হচ্ছিল । সবচেয়ে বেশি কষ্ট হচ্ছিল বিশ্বাস করতে, যে এটা স্বপ্ন না বাস্তব ! আমি অর্ডার দিচ্ছিনা দেখে নিশুই ফুচকার অর্ডার দিল । আমার নিরবতা ভেঙ্গে দিয়ে খুব স্বাভাবিক ভঙ্গিতে বলল,

ফুচকার সবচেয়ে মজার উপাদান কোনটি, জান ?

আমি দাত বের করে শুধু মাথা নাড়লাম, কি বলব খুজে পাচ্ছিলাম না ।

ও বলল, টক পানি ।

আমি আবার মাথা নাড়লাম । তবে হ্যাঁ সুচক ।

নিশুর সৌন্দর্যে সেদিন ইদুর-বেড়ালের সমীকরণ বদলে গিয়েছিল । সেইদিন আমাকে পুরো চল্লিশ মিনিট সে বৃত্তের ভেতর আটকে রেখেছিল । কে জানতো সেই চল্লিশ মিনিট ই এক সময় অনন্ত কাল হয়ে ঘিরে রাখবে সীমাহীন বেদনায় ।



ধীরে ধীরে সম্পর্ক আরো গভিরে চলে যায় । ফোন থেকে মনে, মন থেকে শরীরে ছড়িয়ে পরে ভালবাসা । তার সমস্ত বিশ্বাস আর ভালবাসার উপযুক্ত প্রতিদান যে এমন হবে সে কখনো তা কল্পনা ও করেনি । আমি সম্পর্ক ঢিলেঢালা করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম । এক জিনিস কতদিন আর ভাল্লাগে ! আমার খেলা তো শেষ । নতুন ইদুরের সন্ধান করতে হবে যে ।



আমি নিশুর সাথে যথেষ্ট খারাপ ব্যবহার করতে শুরু করলাম । ওকে মোটেও গুরুত্ব দিতাম না । যতভাবে এড়িয়ে চলা যায় তার সবই করাতাম । ও শুধু কাঁদত আর বলত " তুমি কেন এমন করতেছ আমার সাথে । প্লিজ এমন কোরো না, আমি সহ্য করতে পারিনা " । তবে ও আমাকে আবেগের ছলে কখনই আটকাত না । আমি আমার অভিজ্ঞতার পুনরাবৃত্তি চালিয়ে যেতাম ।

ও আমার কাছে একটা চরম বিরক্তিকর বস্তুতে রুপ নিল । ওর ঘ্যান ঘ্যান আর ভাললাগছিল না । তাই ওকে একদিন ফুচকার দোকানে ডেকে নিয়ে আসলাম । ও সেদিন খুব সাদাসিধে একটা পোষাকেই এসেছিল । ওকে ফুচকা খাওয়ার কথা বললাম, কিন্তু খেল না । দোকানের একেবারের পেছনের টেবিলে গিয়ে বসলাম কারন আজ সব সত্যি ওকে বলে দেব, এসব শুনে ও কান্নাকাটি করতে পারে, লোকজন দেখলে কি ভাববে, এই ভেবে পেছনে বসা । জানালার দিকে তাকিয়ে , পা দোলাতে দোলাতে আমি সব বলে দিলাম । খুব রিফ্রেশ লাগছিল নিজের কাছে । যাক ঝামেলাতো যাবে ।

আমি যেমনটা ভাবছিলাম তা হলনা । ও শুধু আমাকে একটা প্রশ্নই করছিল, " তার মানে তুমি আমাকে এখন আর ভালবাস না ?"

আমি মাথা নেড়ে উত্তর দিলাম, না ।

ও মোটেও কাদেনি বরং নিজেই দু-প্লেট ফুচকার অর্ডার দিয়েছিল । আমি একবারই ওর চোখের দিকে তাকিয়েছিলাম । অস্বাভাবিক গাঢ় লাল হয়েছিল চোখজোড়া ।

কয়েক পিস ফুচকা মুখে দিয়ে ও চলে গিয়েছিল । আমার বুকে কেমন যেন ধাক্কার মতো লাগল । আমি চুপচাপ কিছুক্ষন বসে রইলাম । কিছুই ভাবতে পারছিলাম না । কিছুক্ষন হাটাহাটি করে সন্ধ্যার সময়ই বাসায় চলে গেলাম । কেন যেন কিছুই ভাল্লাগছিল না । ব্যাপক আনমনে লাগছিল । রাতে কিছুই মুখে দিতে পারিনি । বুকের ভেতর প্রচণ্ড ওজন বোধ করছিলাম । বিছানায় এপাশ ওপাশ করতে করতে রাত গভীর হয়ে গেল । বারবার শুধু নিশুর রক্ত রাঙ্গা চোখ সামনে চলে আসছিল । আমি বুঝতেই পারছিলাম না কেন এমন হচ্ছে । আমার চোখ বেয়ে বেয়ে পানি ঝরছিল । আমার আর বুঝতে বাকি রইল না, আমি নিজেই নিজের ফাদে আটকে গেছি । ভেবে রাখলাম কালই নিশুর সাথে দেখা করব । হাতজোর করে ক্ষমা চেয়ে নেব । বলব, শেষ সুযোগটা থেকে বঞ্চিত কোরোনা, আর কখনো তোমাকে কাদাবনা । প্রমিজ করছি ।



আমি কখনো ওদের বাসায় যাইনি । সেদিন সকালে ওদের বাসায় চলে গেলাম । ওদের বাসার সামনে গিয়েই দেখি পুলিশ । একটু কেমন যেন লাগল । একজন লোককে জিজ্ঞেস করতেই সে সব বলল । ওপর থেকে লাশ নিচে নামাতেই ভিড় বেড়ে গেল । আমি আমার ঘাতক দৃষ্টিতে অনেকক্ষণ তাকিয়ে রইলাম । ফুটফুটে মুখ, নির্বাক চেহারা , গতকালকের সেই পোশাকই পড়া, শুধু চুলগুলো এলোমেলো , ঘাড়ের রগগুলো ফুলে শক্ত হয়ে আছে । এগুলো তো আমার চেয়ে বেশি কেউ ছোয়নি, আর কারো চোখে তো এই চোখ জোড়া পড়েনি, সেগুলো আজ বন্ধ, উষ্ণতা আজ অনেক দুরে । আমি নিশুর পৃথিবী ভেঙ্গে চুরমার করে দিয়েছিলাম । তার বেঁচে থাকার শেষ অবলম্বনটুকু অবশিষ্ট রাখিনি । নিশু এত কিছু সহ্য করতে পারেনি । তাই আমাকে চিরদিনের জন্য অনাকাঙ্ক্ষিত উপহারে সিক্ত করে চলে গেছে অনেক দুরে ।



আমি এখন একটা মাদকাসক্তি পুনর্বাসন কেন্দ্রে আছি, তৃতীয়বার এখানে । প্রায়শ্চিত্ত করছি (!) নিজেকে কষ্ট দিয়ে । জানিনা এটাকি প্রায়শ্চিত্ত নাকি ভাঁড়ামি হচ্ছে ? হয়তোবা এটা ভাঁড়ামিই । হয়তোবা কিছুদিন পর সব ভুলে যাব । হয়তো আবার কারো কাছ থেকে অন্য কোন মেয়ের খোজ নিয়ে নতুন এক্সপেরিমেন্ট শুরু করব । নিশু দ্বিতীয়বারের মতো হাড়িয়ে যাবে ঘাতকের হৃদয় থেকে ।



( বর্ণিত ঘটনা পুরোটাই গল্প )
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=বেনারসী রঙে সাজিয়ে দিলাম চায়ের আসর=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫২



©কাজী ফাতেমা ছবি
মনে কি পড়ে সেই স্মৃতিময় সময়, সেই লাজুক লাজুক দিন,
যেদিন তুমি আমি ভেবেছিলাম এ আমাদের সুদিন,
আহা খয়েরী চা রঙা টিপ কপালে, বউ সাজানো ক্ষণ,
এমন রঙবাহারী আসর,সাজিয়েছি... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিজ্ঞানময় গ্রন্থ!

লিখেছেন জ্যাক স্মিথ, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৪২

একটু আগে জনৈক ব্লগারের একটি পোস্টে কমেন্ট করেছিলাম, কমেন্ট করার পর দেখি বেশ বড় একটি কমেন্ট হয়ে গেছে, তাই ভাবলাম জনস্বার্থে কমেন্ট'টি পোস্ট আকারে শেয়ার করি :-P । তাছাড়া বেশ... ...বাকিটুকু পড়ুন

অস্ট্রেলিয়ার গল্প ২০২৪-৪

লিখেছেন শায়মা, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:৪৫


চলে যাবার দিন ঘনিয়ে আসছিলো। ফুরিয়ে আসছিলো ছুটি। ছোট থেকেই দুদিনের জন্য কোথাও গেলেও ফিরে আসার সময় মানে বিদায় বেলা আমার কাছে বড়ই বেদনাদায়ক। সেদিন চ্যাটসউডের স্ট্রিট ফুড... ...বাকিটুকু পড়ুন

আপনি কি বেদ, উপনিষদ, পুরাণ, ঋগ্বেদ এর তত্ত্ব বিশ্বাস করেন?

লিখেছেন শেরজা তপন, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫২


ব্লগে কেন বারবার কোরআন ও ইসলামকে টেনে আনা হয়? আর এই ধর্ম বিশ্বাসকে নিয়েই তর্ক বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে সবাই? অন্য ধর্ম কেন ব্লগে তেমন আলোচনা হয় না? আমাদের ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার ‘অন্তরবাসিনী’ উপন্যাসের নায়িকাকে একদিন দেখতে গেলাম

লিখেছেন সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:২৫

যে মেয়েকে নিয়ে ‘অন্তরবাসিনী’ উপন্যাসটি লিখেছিলাম, তার নাম ভুলে গেছি। এ গল্প শেষ করার আগে তার নাম মনে পড়বে কিনা জানি না। গল্পের খাতিরে ওর নাম ‘অ’ ধরে নিচ্ছি।

... ...বাকিটুকু পড়ুন

×