somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ছোটগল্পঃ স্বপ্নীল প্রেমের অকালমৃত্যু

২১ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১১:৪৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

পর্বঃ ১

ভার্সিটির দিন গুলো ভালই কাটছিল,পুলকের|সকালে ঘুম থেকে উঠে ক্লাশে যাওয়া,ক্লাশ শেষে ঝুপড়িতে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেওয়া|কখনো বা বন্ধুদের সাথে বেসুরে গলায় গান গাওয়া|গানের ফাঁকে ফাঁকে আলী ভাইয়ের দোকানের চা এ ,চুমুক না দিলে যেন গানই জমতো না|পুলক, লেখাপড়া পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথে প্রথম থেকেই জড়িত ছিল|পুলকের মনে যে কখনো প্রেম,ভালবাসা নাড়া দেয়নি|এমনটা নয়|পুলক অবশ্য আগে কখনো প্রেমে পড়েনি|আসলে প্রেমে পড়া হয়ে ওঠেনি...।

পুলকের ছোট বোন তিশা|এবার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীহ্মা দিতে এসেছে|তিশা, পুলকের আদরের একমাত্র বোন হওয়ায়,মাঝে মাঝেই ওর সাথে মনের কথাগুলো শেয়ার করে|তিশা ক্যাম্পাসে নতুন আশায় ।ওকে ক্যাম্পাস টা ঘুরেফিরে দেখাচ্ছে|কথার ফাঁকে তিশা ওর ভাইকে বললো|
ভাইয়া,তোমার জন্য একটা মেয়ে দেখেছি|
আমার জন্য মেয়ে দেখেছিস মানে?
বুঝলাম না|
আচ্ছা,বলছি তোমাকে|

তিশা বলা শুরু করলো|আমি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীহ্মা দেওয়ার সময়|একটা মেয়েকে দেখেছি|ওর নাম লিলি|ও আর আমি একরুমেই ছিলাম|অনেক ভাল বন্ধুত্ব হয়েছে, আমার সাথে|মেয়েটি অনেক ভাল,ভদ্র,নম্র এবং অনেক সুন্দরী|তুমি যেমনটা চাও|মেয়েটার ফোন নাম্বারও আমার কাছে আছে|

পুলক এতহ্মন ধরে,ওর বোনের কথা শুনছিল|
ওর বোনকে বললো,মেয়েটার বিজ্ঞাপন দেওয়া বন্ধ কর,তোর ক্যাসেটাও এবার অফ কর|
শোন,ভার্সিটিতে তিন বছর ধরে আছি|এখানেই কোন প্রেম ভালবাসা হল না|আর এটা তো অদেখা মেয়ে|ওসব আমার দ্বারা হবে না|আমি একা আছি,খুব ভাল আছি|কয়কদিনের মধ্যে তিশার পরীহ্মা শেষ গেলে|ওকে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়|

ভার্সিটিতে ভর্তি পরীহ্মা শেষ হয়ে গেল|পুলক আবার ক্লাশ পরীহ্মা নয়ে ব্যাস্ত হয়ে যায়|

কয়েকমাস পর,হঠাৎ করে একদিন মেয়েটির কথা মনে পড়ে |তিশাকে ফোন দিয়ে মেয়েটির কথা জিজ্ঞাসা করে, পুলক|পরে তিশার কাছ থেকে মেয়েটির নাম্বারটাও নেয়|এতে ওর বোন কিছুটা খুশি হয়|পরে পুলককে বলে, ভাইয়া ,লিলির কোন নিজস্ব ফোন নেই|এটা ওর আম্মুর নাম্বার|ও মাঝে মাঝে এ ফোনটা ব্যাবহার করে|পুলক,ও আচ্ছা বলে রেখে দেয়|

কিছুদিন পর,তিশা একদিন লিলির সাথে ফোনে কথা বলিয়ে দেয়|পুলক এর আগে কখনো ,এভাবে কোন মেয়ের সাথে কথা বলেনি|তাই প্রথম দিন কথা বলতে কেমন জানি, একটু ইতস্ত বোধ করছিল|পরিচয় পর্বটুকু সেরেই সেদিনের মত ফোন রেখে দেয়, পুলক |

কয়েকমাস পর আবার তাদের মধ্যে কথা হয়|মেয়েটিও তেমন কথা বলতে পারছিল না|কেমন জানি লাজুক লাজুক ভাব মেয়েটির|এমনভাবে কথা বলছিল মেয়েটি,যেন এমন মহোনীয় কন্ঠ,পুলক এর আগে কখনো শোনেনি|মেয়েটির সাথে যতই কথা বলছিল,ততই তার ভাল লাগছিল|একসময় পুলক মেয়েটিকে অনুরোধ করে,তার সাথে কথা বলার জন্য|কিন্তু,মেয়েটি রাজি হচ্ছিল না|মেয়েটি বার বার বলছিল,সে কথা বলতে পারবে না|কারন তার কোন নিজস্ব ফোন নেই|এটা তার আম্মুর ফোন|পুলকের অনুরোধ,মেয়েটি একসময় ফেলতে পারে না|মেয়েটি রাজি হয়ে যায়|তবে এটাও বলে, সে দিনে কথা বলতে পারবে না| তবে রাতে কথা বলার জন্য চেষ্টা করবে|এই বলে দুজনে সেদিনের মত ফোন রেখে দেয়|

মাঝে মাঝে লিলির সাথে পুলকের কথা হয়|পুলক বুঝতে পারে,মেয়েটির প্রতি সে মানসিক ভাবে দুর্বল হয়ে যাচ্ছে|এদিকে লিলির ও একই অবস্থা|আগে মাঝে মাঝে লিলির সাথে কথা হতো|এখন প্রায় প্রতিরাতেই,কথা হয়|একদিন কথা না বলতে পারলে দুজনরই মন খারাপ থাকে|তাদের মাঝে কথা না হলও,কেউ কাউকে একমুহ্নর্ত ভুলে থাকতে পারে না|কথা বলতে বলতে,তারা কখন দুজন দুজনকে ভালবেসে ফেলে|এটা তারে কেউই বুঝতে পারে না|
এভাবেই চলছিল ভালবাসার রঙিন দিনগুলি|
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমাদের দাদার দাদা।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৫৫

বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী।

আমার দাদার জন্মসাল আনুমানিক ১৯৫৮ সাল। যদি তার জন্মতারিখ ০১-০১-১৯৫৮ সাল হয় তাহলে আজ তার বয়স... ...বাকিটুকু পড়ুন

জেনে নিন আপনি স্বাভাবিক মানুষ নাকি সাইকো?

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:১৮


আপনার কি কারো ভালো সহ্য হয়না? আপনার পোস্ট কেউ পড়েনা কিন্তু আরিফ আর হুসাইন এর পোস্ট সবাই পড়ে তাই বলে আরিফ ভাইকে হিংসা হয়?কেউ একজন মানুষকে হাসাতে পারে, মানুষ তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

খুলনায় বসবাসরত কোন ব্লগার আছেন?

লিখেছেন ইফতেখার ভূইয়া, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:৩২

খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় তথা কুয়েট-এ অধ্যয়নরত কিংবা ঐ এলাকায় বসবাসরত কোন ব্লগার কি সামুতে আছেন? একটি দরিদ্র পরিবারকে সহযোগীতার জন্য মূলত কিছু তথ্য প্রয়োজন।

পরিবারটির কর্তা ব্যক্তি পেশায় একজন ভ্যান চালক... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। মুক্তিযোদ্ধা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১



মুক্তিযুদ্ধের সঠিক তালিকা প্রণয়ন ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা প্রসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘দেশের প্রতিটি উপজেলা পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটি রয়েছে। তারা স্থানীয়ভাবে যাচাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি করাটা প্রফেসরদেরই ভালো মানায়

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৩


অত্র অঞ্চলে প্রতিটা সিভিতে আপনারা একটা কথা লেখা দেখবেন, যে আবেদনকারী ব্যক্তির বিশেষ গুণ হলো “সততা ও কঠোর পরিশ্রম”। এর মানে তারা বুঝাতে চায় যে তারা টাকা পয়সা চুরি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×