→
বিভূতিভূষণের পথের পাঁচালীর চরিত্র অপু কিংবা দূর্গার সব আশা আকাঙ্ক্ষা পূর্ণ হয়েছিল কিনা আমার জানা নাই। সুনীলের সেই ছোট্ট স্বপ্নাতুর বালকটি লাঠী লজেন্স হয়তবা কিনতে পেরেছিল, খেয়েছিলও বোধ হয়। তবে সেই স্বাদ কি পেয়েছিল সে? পায়নি। রবীন্দ্রনাথের অপুকে অনেকে সমালোচনা করে কিন্তু সব পুরুষই তো অপূ। হৈমন্তী-বিলাসীরা আদৌ ছিল বা আছে কিনা বা থাকা আবশ্যিক বলে মনে হয়না। জীবনান্দ তো প্রকৃতির মহানন্দে নন্দিত থেকেও বনলতার সৌন্দর্যে ছিল কুপোকাত। এটাই সাহিত্য, কাল্পনিক। বাস্তবতা অনেকটা সাদাকালো হলেও স্বপ্ন কিন্তু রঙিন, সেটা যতই মর্মান্তিক হোক না কেন। আর জীবন সে তো শিশিরকণা,প্রেম সে তো সকালের সূর্য, যে শিশিরকণাকে আলোঝলমলে করে তুললেও নিঃশেষ করে তার একটু পরেই। তবু সেটা আকাঙ্ক্ষিত কারণ সেটা ঐশ্বরিক। অর্থ, সেটা ও কি ঐশ্বরিক? যদি হয় ও বা, সেটা সবার না কেন? সবার হলেও কি সমস্যা মিটতো? না। সমস্যা টা মানসিক।
যে টা রাজনীতি দ্বারা প্রভাবিত। এটা ও আমাদেরই সৃষ্টি। আশা ছিল,আছে,থাকবে কিনা জানি না। সবাইকে সব কিছু পেতে নাই। কারণ সম্পদ সীমিত। আমারই বা কি দোষ? সবই তো পূর্ব নির্ধারিত। পিনাক-৬ এর যাত্রীও তো হতে পারতাম কিংবা রানা প্লাজার শ্রমিক কিংবা যুদ্ধাহত কোন ফিলিস্তীনি। শুকরিয়া । ওগুলো হতে হয়নি আমাকে। কিছুতো হয়েছি, হোকনা সেটা শিক্ষিত বেকার!
কারণ “সকল বেকারই অপদার্থ,কিন্তু প্রত্যেক অপদার্থই বেকার নয়”।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে জুন, ২০১৬ রাত ১০:৪৭