somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

রাঁধতে পারা ছেলে , না রাঁধতে পারার অহংকার

৩০ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১২:৩২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

লেখাটি কিভাবে শুরু করবো জানিনা, কিন্তু বেশ অনেকদিন ধরে দেখছি কিছু কিছু ছেলে না রাঁধতে পারার গল্প গর্ব করে বলে যাচ্ছে।

কেও কেও অতীব মেয়েলী বলছে যারা টুকটাক রাঁধে।

কেও হয়তো নতুন বিবাহিত কাউকে পিঞ্ছ করছে বউ থাক্তেও তোর রাধতে হয়!! তোর মত কচু গাছে ফাঁস দেয়া উচিত.।.।।।

প্রথম দিকে অবাক হতাম এদের কমেন্টের বাহার দেখে, এখন হই না।

এতো শুনছি!! আমি বলছিনা এটা স্বাভাবিক, কিন্তু অস্বাভাবিকের তো কিছুনা।

মেস লাইফ কাটায় দেয়া এক্তা ছেলে বিপদে পড়ে একদিনেও রাঁধবেনা এটা বরং অদ্ভুত লাগতো।

বুয়া কি একদিন ও মিস হয়নি!! নাকি বাইরে খাবার মত প্রচুর টাকা সবার সমসময় থাকে!

আচ্ছা সময় অপচয় বলে এক ফ্রেন্ড মন্তব্য করলো, ক্ষুধার চেয়ে ইম্পোর্ট্যান্ট পৃথিবীতে আর কোন সত্য আছে?

আচ্ছা এরা বড় হতে হতে এগুলোই হয়তো দেখে দেখে স্বাভাবিক মনে করছে।

এই ভেবে নিজেকে স্বান্ত্বনা দিচ্ছি এরা এভাবেই বড় হয়েছে ,মা -দাদী বা বোন রা কাজ করছে দেখে এসেছে, তাই পরবর্তীতে নিজের বউ সহ (দুজনেই অফিস থেকে ফিরলেও) বাসায় ফেরার পর যত রাত-ই হোক বউকেই সব করতে হবে এমন একটা নিয়ম দাঁড়িয়েছে ।

কেও হয়তো মিখে জোর দিয়ে নিয়ম না বানালেও এমন ভাবে ক্ষুধা লাগছে লাগছে বলবে , মন খারাপ করে ঘাপ্টি মেরে বসে থাকবে, বউ এর যত খারাপ-ই লাগুক রান্না করে খাওয়াতে হবেই।

অগোছালো কিছু দেখলে এমন ভাবে চিৎকার করবে যেন অফিস না করে বা বাইরে কাজ না করে এগুলা পরিপাটি করে রাখা বউ হলেই বরং ভালো ছিলো।

হয়তো কেও কেও পরিপাটি সবসময় রাখলেও মাঝে এক দুইবার ব্যাস্ততা বা যেকোন কারনে কিছু সমস্যা হল, সেদিন খোঁচা মারতেও হয়তো দ্বিধা করবেনা।

আমার সাম্নেই একজন বলে ফেলেছে সেদিন তাঁর বউকে, " তুমি বউ হবার যোগ্য না, গার্ল ফ্রেন্ড হবার যোগ্য"

চুপচাপ ছিলাম শুধু মেয়েটির মানসিক অবস্থা ভেবে।

সেও সারাদিন কাজের চাপে থাকে, কত শত প্ল্যান তার মাথায় ঘুরপাক খায়, কোন কোন সময় বড় প্ল্যান গুলোর জন্য ফিন্যান্সিয়েল অবস্থা নিয়ে মনে মনে চিন্তিত থাকে, কখনও বা মাস শেষের ব্যাংক লোন, অন্যান্য অফিস রেন্ট, এমপ্লোয়ীদের বেতনের পর বিজনেসের প্রোডাক্ট ডেভেলপমেন্টের টাকা নিয়ে চিন্তা করতে থাকে, এই সময়ে এমন কথা বাসায় এসে শুনে কতটুকু ভালো লাগে কার!!


আচ্ছা মেয়েটি ভার্সিটিতে পড়াকালীন কি তার বাবা বা মা খরচ দেয়ার সময় বলতো "তুমি মেয়ে তাই খরচ অর্ধেক"

মীনা কার্টুনের সময় পেরিয়ে কি আসিনি ?

অনেক পরিবর্তন ,জানি অনেক অনেক অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে, কিন্তু এখন ও কত কত যে নিরব লাঞ্চনা ঘরের মধ্যে হচ্ছে, কেও কি জানেন?


কেও হয়তো ভাবতে পারেন আমি চরম নারীবাদী ?

নারে ভাই, আমি শুধু বলতে চাইছিলাম রান্না বা বাসার কাজ গুলো মাঝে মাঝে চাপিয়ে দেয়া না হয়ে মন থেকে হলেই বেশ ভালো হয়।

একজন একজনের মুড বোঝা না হোক, সহমর্মী কি হউয়া যায়না?

খুব আনন্দ লাগছে এক্তা ব্যাপারে , এই প্রথম একজন ছোট ভাই পেলাম (দুইমাস আগে জয়েন দিয়েছে আমার শোরুমে) যে সকালে নিজের হাতে রান্না করে, আসার সময় লাঞ্চ ও নিজেই করে আনে, এতা সে নির্দ্বিধায় বলতে একটুও সংকোচ অনুভব করছেনা, কি যে ভালো লাগছে!!


অন্য কয়েকজন তার খাবার খেয়ে প্রসংসা করার ছলে পিঞ্চ করলেও সে দারুন সাহসী জবাব দেয়।

সাব্বাস আমার এই ছোট ভাইকে।

ধন্যবাদ, সবাই খুব ভালো থাকুন।
২০টি মন্তব্য ১৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার প্রফেশনাল জীবনের ত্যাক্ত কথন :(

লিখেছেন সোহানী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৫৪



আমার প্রফেশনাল জীবন বরাবরেই ভয়াবহ চ্যালেন্জর ছিল। প্রায় প্রতিটা চাকরীতে আমি রীতিমত যুদ্ধ করে গেছি। আমার সেই প্রফেশনাল জীবন নিয়ে বেশ কিছু লিখাও লিখেছিলাম। অনেকদিন পর আবারো এমন কিছু নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

×