somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

শেখ এম উদ্‌দীন
আমার ব্লগ আমার বাসার ড্রয়িং রুমের মত, আমি এখানে যেকোনো কিছু দিয়ে সাজাতে পারি আপনার পছন্দ না হলে বলতে পারেন আমার কোন আসবাবটির অবস্থান বা ডিজাইন আপনার পছন্দ হয় নি এবং কেন হয় নি। তবে তা অবশ্যই ভদ্র ভাষাতে। ভাষার ব্যবহার করতে জানা অনেক বড় একটি গুন

মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযোদ্ধা এবং আমাদের বর্তমান তরুন ও ছাত্র সমাজের বিবেক বোধ বা দেশপ্রেম।

৩১ শে অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ৭:৪৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

তরুনদের পথ দেখানোর জন্য সৎ সাহস, সততা, ন্যায় নিষ্ঠাবান নেতৃত্বের গুণাবলী সমৃদ্ধ নেতা/নেত্রী আমাদের দেশে খুবই সামান্য আছে। কিন্তু স্বৈরাচারী, একনায়ক তান্ত্রিক, পরিবারতান্ত্রিক সর্বোপরি তোষামোদ আমলে নিয়ে চলা গণতান্ত্রিক সরকার যত দিন ক্ষমতাতে থাকবে তত দিন এরা পর্দার আড়ালেই থেকে ধুকে ধুকে মারা যাবে বা মেরে ফেলা হবে। যত দিন না সাম্যবাদ এর সহিত পরিপূর্ণ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা পাবে তত দিন এমন আশা করা আর আকাশ কুসুম স্বপ্ন দেখা একই কথা।

এই গোঁদের উপর আরও একটা বিষ ফোড়া হইল আমাদের জাতীয় বুদ্ধিজীবী (!) গন। ঊনারা খুব ভালো ভালো কিছু নির্দেশনা মূলক বই বা কলাম লিখেন কিন্তু নিজেরা কেউ আওয়ামিলিগার কেউ বি এন পি কেউ বা অন্য কোন দলের পদলেহন কারী। এই সকল মস্তক বিক্রয় কারী বুদ্ধিজীবীরা যত দিন না বাংলার মাটি হতে জাহান্নামের উদ্যেশ্যে রওয়ানা দিবে তত দিন আপনি এমন তারুন্যের জয়গান দেখার কথা স্বপ্নেও ভাবা উচিৎ হবেনা কারন বলা যায় না এই স্বপ্নের জন্য ই আপনাকে ক্রস ফায়ারেও দিয়ে দিতে পারে।

স্বাধীনতার সময় যারা পালিয়ে নিজেদের জীবন বাঁচিয়েছিল তারাই ফিরে এসে দেশের হোমরা চমরা হয়েছে এবং সবার আগে যে কাজটা করেছে তা হল ছাত্রদের ও তরুণদের মধ্যে বিভক্তি। আর ছড়িয়ে দিয়েছিলো হতাশার বিজ এই বলে যে মুক্তিযুদ্ধ করে যারা মারা গেছে বা আহত আছে বা সর্বস্ব খুইয়েছে তাঁরা আসলেই বোকা (!)। তাঁরা যদি বোকাই না হইত তাহলে দেখ আমরা ভারতে পালিয়ে থেকে আজ হোমরা চমরা হইলাম তাঁরা কি হইল। ভোলার বরহানুদ্দিনের মুক্তিযোদ্ধা সায়েব আলী পাটোয়ারি কে আমার জন্মের পর থেকে রিক্সা চালিয়ে দুবেলা আহার যোগাড় করতে দেখেছি। আজ তিনি তাঁর পৈত্রিক ভিটার মাটিটুকুন তারই এলাকার এক প্রভাবশালী ব্যাক্তির দখল হতে মুক্তির জন্য ৫ বছর আমার বাবাকে সাথে নিয়ে লড়াই করে হেরে লায়ন নিজামুদ্দিন এর গুচ্ছগ্রামে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। কিছুদিন আগে জানতে পারলাম এখন আর রিক্সা চালাতে পারেন না তাই চিকিৎসাও করাতে পারছেন না ঠিক মত। যে সায়েব আলিদের কাছে পাকিস্তানী হায়েনারা পরাজিত হয়েছিল সেই সায়েব আলিরা আজ সমাজের তথাকথিত প্রভাবশালি ও দারিদ্রের কাছে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হতে দেখতেছি। দেখেছি নিহত মুক্তিযোদ্ধার ছেলে সালাম যে তার বাবাকে গুলিকরে মারার সময় গুলির শব্দে এবং শোকে আজো পাগল এবং মানিকারহাট বাজারে ভিক্ষা করে খায়। আজ সে সালেইম্মা পাগলা। আমি চিনি মুক্তিযোদ্ধা কাজী আফতাব উদ্দিন কে যিনি মুক্তি যুদ্ধের পর আজো শুধু ডাল ভাত খেয়ে জীবন অতিবাহিত করেন কারন তার ভাষাতে " মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে প্রতারনা করা হচ্ছে কারন সাম্যের জন্য যুদ্ধ করলেও আজ ৪৪ বছরেও সাম্য প্রতিষ্ঠা হয় নি। বাংলার সকল মানুষ যতদিন এর চেয়ে ভাল খেতে না পাবেন তত দিন তিনিও এমন খাবারি খাবেন।" বলা বাহুল্য দেশের জন্য এমন সংগ্রাম করতে করতে নিজের ছেলে মেয়েদের লেখা পড়া বা অন্য কোন খোঁজ ও ইয়িনি নিতে পারেন নি। তিনি এখন চিন্তাতে আছে তিনি মারা গেলে তাঁর লাশ দাফনের জন্য আঞ্জুমান মফিদুল ইসলাম ১০০০০ টাকা লাগবে বলেছে সেই টাকা তিনি কোথায় পাবেন কারন তিনি আজো দৈনিক ২০০ টাকা বেতনে একটা পত্রিকা অফিসে চাকুরি করেন। ভাষা শহীদ জব্বারের মা মুগদা পাড়ার বেপারি বাড়িতে আশ্রিত থাকা অবস্থায় বিনা চিকিৎসাতে মারা গিয়েছিলেন। বীরশ্রেষ্ঠ মুস্তফা কামালের কবরের মাটি টুকুন ও ভোলার এমন একজন নামকরা রাজনীতিবিদ এবং মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক (!) দাবিদারের আত্মীয়রা দখলে যেতে চেয়েছিলেন। এই যদি হয় একজন বীরশ্রেষ্ঠের পরিবারের অবস্থা তাহলে অন্যদের অবস্থা বুঝে নেয়াই শ্রেয়। বাংলাদেশের ইতিহাসে যত বড় নেতা যত বড় দেশপ্রেমিক থাকুক বীরশ্রেষ্ঠ বা একজন সত্যিকারের মুক্তিযোদ্ধার চেয়ে বড় কেউ হইতে পারে না। অথচ আজ আমাদের কানে এমন কথা ও আসে যে আমার চেয়ে দেশ প্রেমিক কে আছে এই দেশে !! যে দেশে আজো কাজী আফতাব রা জীবিত তাঁদের দেশে এমন কথা বলে আজো আমরা বাহবা পাই। আমাদের কত শতশত মুক্তিযোদ্ধা না খেয়ে মারা গেছে যদিও আজ মুক্তিযুদ্ধ যারা করে নাই ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা অথবা মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে সঠিক মুক্তিযুদ্ধের সনদ নিয়া সুবিধা আদায় এ ব্যাস্ত। এরাই এখন আবার বড় বড় কথা বলে বলে এরা নাকি মুক্তি যুদ্ধের সংগঠক ছিলেন (যেমন মুরগী কবির)। এমন লাখো উদাহরণ টানা যাবে যার দ্ধারা প্রমাণ করে দেয়া যাবে ঐদিন মুক্তিযুদ্ধের ময়দান হতে যারা পালিয়ে ছিল তারাই আজ দেশের বড় ধনী ব্যাক্তি (সামান্য কিছু ব্যাতিক্রম বাদে)। এর অর্থ হইল বোকারাই দেশ প্রেমিক হয় এবং দেশ দেশ বলে চিৎকার করে।

তাই আজ আমাদের তরুন ও ছাত্র সমাজ অনেক বুদ্ধিমান তাঁরা ১৯৫২, ১৯৬৯, ১৯৭১, ১৯৮৫ এর মত বোকাদের দলে যেতে চায় না। কারন তাঁদের বিবেকের জন্ম দলবাজ বুদ্ধিজীবীদের (!) লেখা পরে। তাই আবারও বলব, এই সকল মস্তক বিক্রয় কারী বুদ্ধিজীবীরা যত দিন না বাংলার মাটি হতে জাহান্নামের উদ্যেশ্যে রওয়ানা দিবে তত দিন আপনি এমন তারুন্যের জয়গান দেখার কথা স্বপ্নেও ভাবা উচিৎ হবেনা কারন বলা যায় না এই স্বপ্নের জন্য ই আপনাকে ক্রস ফায়ারেও দিয়ে দিতে পারে।
৩টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ইসরায়েল

লিখেছেন সাইফুলসাইফসাই, ১৬ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:৪৮

ইসরায়েল
সাইফুল ইসলাম সাঈফ

এ মাকে হত্যা করেছে ইসরায়েল
এ বাবাকে হত্যা করেছে ইসরায়েল
নিরীহ শিশুদের হত্যা করেছে ইসরায়েল
এই বৃ্দ্ধ-বৃদ্ধাদের হত্যা করেছে ইসরায়েল
এ ভাইক হত্যা করেছে ইসরায়েল
এ বোনকে হত্যা করেছে ইসরায়েল
তারা মানুষ, এরাও মানুষ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

গ্রামের রঙিন চাঁদ

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৬ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১২


গ্রামের ছায়া মায়া আদর সোহাগ
এক কুয়া জল বির্সজন দিয়ে আবার
ফিরলাম ইট পাথর শহরে কিন্তু দূরত্বের
চাঁদটা সঙ্গেই রইল- যত স্মৃতি অমলিন;
সোনালি সূর্যের সাথে শুধু কথাকোপন
গ্রাম আর শহরের ধূলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ১৬ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১৭



পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহারের ধ্বংসাবশেষঃ
পালবংশের দ্বিতীয় রাজা শ্রী ধর্মপালদেব অষ্টম শতকের শেষের দিকে বা নবম শতকে এই বিহার তৈরি করছিলেন।১৮৭৯ সালে স্যার কানিংহাম এই বিশাল কীর্তি আবিষ্কার করেন।... ...বাকিটুকু পড়ুন

পরবাসী ঈদ

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ১৬ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:২৩

আমার বাচ্চারা সকাল থেকেই আনন্দে আত্মহারা। আজ "ঈদ!" ঈদের আনন্দের চাইতে বড় আনন্দ হচ্ছে ওদেরকে স্কুলে যেতে হচ্ছে না। সপ্তাহের মাঝে ঈদ হলে এই একটা সুবিধা ওরা পায়, বাড়তি ছুটি!... ...বাকিটুকু পড়ুন

×