somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

শেখ এম উদ্‌দীন
আমার ব্লগ আমার বাসার ড্রয়িং রুমের মত, আমি এখানে যেকোনো কিছু দিয়ে সাজাতে পারি আপনার পছন্দ না হলে বলতে পারেন আমার কোন আসবাবটির অবস্থান বা ডিজাইন আপনার পছন্দ হয় নি এবং কেন হয় নি। তবে তা অবশ্যই ভদ্র ভাষাতে। ভাষার ব্যবহার করতে জানা অনেক বড় একটি গুন

ড. মিম আপনার সবচেয়ে বড় দুর্ভাগ্য আপনি হিরক রাজার দেশে জন্ম নিয়েছেন

০২ রা আগস্ট, ২০১৫ সকাল ৭:০৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ঘটনা-১:
জুন ২০১১, ডেভিড ক্যামেরুন তার ডেপুটি নিক ক্লেগ কে নিয়ে লন্ডনের গাইজ হাসপাতালে তার সরকারের স্বাস্থ্য সুবিধার উপর জনগনের আস্থা বা জনগণ কত টুকুন সন্তুষ্ট তা দেখতে যান। এমতাবস্থায় তিনি যখন এক রোগীর কাছে বসে তাঁকে প্রশ্ন করবেন বলে কথা শুরু করবেন সাথে সাথে তাঁকে থামিয়ে দিয়ে ঐ হাসপাতালের একজন সিনিয়র সার্জন ডঃ নুন ডেভিড ক্যামেরুন কে ঐ মুহূর্তে সকলকে নিয়ে ঐ রুগীর ক্যাবিন পরিত্যাগ করতে বলেন। ক্যামেরুনের অপরাধ ছিল তাঁকে কাভারেজ দিতে আসা সাংবাদিক গন সঠিক হাইজেনিক পোশাক পরিধান করে নাই। এখানে দুইটি পয়েন্ট মনে রাখুন পরে আলোচনা তে প্রয়োজন হবে- প্রথমত, উনারা একটি নির্দিষ্ট ক্যাবিনে গিয়েছিলেন আর দ্বিতীয়ত, ক্যামেরুন এবং তার ডেপুটি সঠিক হাইজেনিক পোশাক পরলেও তার সাথে থাকা কিছু সাংবাদিক হাইজেনিক পোশাক না পরার কারনে তাদের রিতিমত ঘাড়ে ধরে বের করে দিলেন ডঃ নুন।

ঘটনা-২:
জুলাই-২০১৫, সাবেক মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ও দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার প্রকাশক অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম তার দু’জন সমর্থক শাহাদাত হোসেন ও বন্যা ইসলামকে (জমিসংক্রান্ত বিরোধে প্রতিপক্ষের গুলিতে আহত হন)দেখতে তার সাথে লোকজন নিয়ে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে যান। হাসপাতালের জরুরি বিভাগে বসার যায়গা না থাকাতে ওয়ার্ড বয় তাঁকে ডঃ নুনজিরুন মহসীনা মিম এর রুমে বসতে বলেন। সেখানে ডঃ মিম এর সাথে তার বাক বিতণ্ডা হয় এবং ডঃ মিম তাঁকে বের হয়ে যেতে বলেন। এই ঘটনার পরে হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার মিজানুর রহমানও ঘটনাস্থলে গিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেন এবং ডঃ মিম কে ক্লোজ করে নেন। এতেও ক্ষোভের অবসান হয় নি কারন তিনি একজন প্রভাবশালী জনপ্রতিনিধি অনাদের কাছে আমরা সাধারন মানুষ হলাম দাস দাসী দের মত সেই সাধারন একজন ডিউটি ডাক্তার তাঁকে রুম থেকে বেড়িয়ে যেতে বলতে পারে না। ড. মিম আপনার সবচেয়ে বড় দুর্ভাগ্য আপনি হিরক রাজার দেশে জন্ম নিয়েছেন, যে দেশে রাজনীতি এবং রাজনইতিক নেতাদের পদলেহন সবচেয়ে বড় যোগ্যতা হিসেবে বিবেচিত হয়


এই ঘটনাকে রঙ মাখাতে তারা দাবি করে বসলেন ডঃ মিম রাজাকারের সন্তান! মোক্ষম হাতিয়ার, এই হাতিয়ার ব্যাবহার করলে সাতখুন মাফ। কারন একুশে টিভি তে বাংলাদেশের অন্যতম দুর্নীতির আখড়া বি সি আই সি এর সিবিএ নেতা সামসু তার দুর্নীতির অভয়ারণ্য সম্পর্কে জানতে চাইলে সেও বলে এগুলো জামাত শিবির এর ষড়যন্ত্র। লে বাবা একজন পিয়ন ঢাকা শহরে কয়েকটি বাড়ি, পঞ্চাশ বিঘা জমি এমনকি বাগান বাড়ির মালিক সৎ একজন মানুষকে কিভাবে জামাত শিবির ষড়যন্ত্র করে ফাঁসাতে চাচ্ছে! যদিও ১/১১ এর পূর্বে এই সামসু নাকি নিজেই চার দলীয় জোটের সমর্থক ছিলেন!। অর্থাৎ, দেশে অপকর্ম করে তার বৈধতা দানের একমাত্র সহজ এবং মোক্ষম হাতিয়ার খানাই ব্যাবহার করলেন অ্যাডভোকেট সালমা। ভাগ্যের নির্মম পরিহাস ডঃ মিম একজন সার্টিফিকেট ধারী মুক্তিযোদ্ধার কন্য ছিলেন। তা না হলে তাঁকে রাজাকার সন্তান হিসেবে দার করাতে এবং তাঁকে অপমান এমনকি নিজের কর্তব্য পালনের অপরাধে তার চাকুরী যাওয়াও কোন আশ্চর্যের ব্যাপার ছিল না।


ডেভিড ক্যামেরুন জরুরী বিভাগে যান নি এমন কি তিনি সঠিক ড্রেস পরেও ছিলেন তার পরেও তাঁকে বের করে দেয়া ডাক্তার কে একবার দুঃখিত বলার দরকার হয় নি উল্টো ডেভিড ক্যামেরন এই ঘতনাতে নিজের দোষ স্বীকার করে দুঃখিত হএছিলেন। এর জন্য কোন ডাক্তার দের ক্ষমতাবানদের পদলেহন কারি কোন সংগঠনকে ডঃ নুন এর পাশে দাড়াতে হয় নি। কিন্তু বাংলাদেশের একজন এম পি এর সাথে নিজের কর্তব্য কর্মের খাতিরে দায়িত্বশীলতা দেখাতে গিয়ে ডঃ মিম কে কত কিছুই না করা লাগছে? ড. মিম আপনার সবচেয়ে বড় দুর্ভাগ্য আপনি হিরক রাজার দেশে জন্ম নিয়েছেন, যে দেশে রাজনীতি এবং রাজনইতিক নেতাদের পদলেহন সবচেয়ে বড় যোগ্যতা হিসেবে বিবেচিত হয়।

আমি সর্বদা বলি আমরা আমাদের দেশে এমন এক শ্রেণী তৈরি করেছি যারা আইন, নিয়ম-নীতি, প্রচলিত রীতিনীতি সকল কিছুর উরদ্ধে। এদেরকে আমাদের এই পদলেহন কারি পেশাজীবী সংগঠন গুলো এমন এক উচ্চতাতে নিয়ে গেছে যেখানে আসীন একজনের সুধু প্রশংসা এবং জি হুজুর টাইপের কথা বাদে সব কিছুই অপরাধ। ডঃ মিম সেই অর্থে মৃত্যু দণ্ড পাওয়ার মত বড় অপরাধ করে ফেলেছেন। দেখি ওনার মৃত্যুদণ্ড কবে কার্যকর হয়।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা আগস্ট, ২০১৫ সকাল ৭:০৮
৮টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

গণতন্ত্র আর বাক-স্বাধীনতার আলাপসালাপ

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:২৩


একাত্তর সালে আওয়ামী লীগের লোকজন আর হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা ছিল পাকবাহিনীর প্রধান টার্গেট। যদিও সর্বস্তরের মানুষের ওপর নিপীড়ন অব্যাহত ছিল। গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল। মুক্তিযোদ্ধা আর তাদের পরিবারের... ...বাকিটুকু পড়ুন

কাফের কুফফারদের দেশে বাস করা হারাম।

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:১৩

ফেসবুকে বাঙালিদের মধ্যে ইদানিং নতুন এক ফতোয়া চালু হয়েছে, এবং তা হচ্ছে "দাওয়াতের নিয়্যত ছাড়া কাফের কুফফারদের দেশে বাস করা হারাম।"
সমস্যা হচ্ছে বাঙালি ফতোয়া শুনেই লাফাতে শুরু করে, এবং কোন... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের মুমিনী চেহারা ও পোশাক দেখে শান্তি পেলাম

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৫৮



স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে স্টেজে উঠেছেন বত্রিশ মুক্তিযোদ্ধা তাঁদের চব্বিশ জনের দাঁড়ি, টুপি ও পাজামা-পাঞ্জাবী ছিলো। এমন দৃশ্য দেখে আত্মায় খুব শান্তি পেলাম। মনে হলো আমাদের মুক্তিযোদ্ধা আমাদের মুমিনদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের দুই টাকার জ্ঞানী বনাম তিনশো মিলিয়নের জ্ঞানী!

লিখেছেন সাহাদাত উদরাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ২:৫৯

বিশ্বের নামীদামী অমুসলিমদের মুসলিম হয়ে যাওয়াটা আমার কাছে তেমন কোন বিষয় মনে হত না বা বলা চলে এদের নিয়ে আমার কোন আগ্রহ ছিল না। কিন্তু আজ অষ্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত ডিজাইনার মিঃ... ...বাকিটুকু পড়ুন

×