পথের ক্লান্তিকে ঝেড়ে ফেলে
মনের অসাড়তাকে দূরে ঠেলে
হাসি মুখে, হৃষ্ট চিত্তে
সন্তানকে যে আঁকড়ে ধরে প্রান ভরে।
বসের ঝাড়ি, ক্লায়েন্টের অপমান
মাসের শেষের মলিন চেকের লোভে
হাসি মুখে যে করে বরণ
কে হতে পারে সে, বলার আছে কি কোন প্রয়োজন?
চেকের অর্থে চকোলেটের কড়ি হলেও
নিজের ছেড়া জুতো জোড়া
সেলাই করা হয়ে উঠে না যার কখনও
সে বাবা না হয়ে হবে কি অন্য কেউ?
বাবা এক বট বৃক্ষ, আশ্রয়ের নাম
যার ছায়াকে ভয় করে স্বয়ং যম!
পার্কের রাইড থেকে দোকানের খেলনা সবই তোমার
যদি থাকে তাঁর দম।
বাজারের থলেটা যার হাতে
ভরে উঠে প্রিয় খাবারেতে
বড় মাছের মুড়োর আব্দার
যে পুরন করে দিয়ে ফাঁকি ভাড়া রিক্সার
কে আর হবে সে, বলব কি নতুন করে?
বাবা হারা অভাগা যে জন
সেই বুঝে তাঁর দাম
যে পায় সেই দেয় কিল গুঁতো
হয় যেন হাতের ব্যায়াম!
পদে পদে ভতসনা
যেন এক নিয়ত নিয়তি
মুখ বুজে মেনে নেয়াই
যার একমাত্র সমাধান!
ভেবে দেখেছ কি দিয়ে মন
বাবার জন্য লেখে না কেউ কবিতারও চরণ!
গীতি কাব্য সেতো এক বিলাসিতা
যা মাতৃত্বের বসন, বাবা বৃক্ষের যিনি করেন মূলের ধারণ
দুজনের উপস্থিতিই দিতে পারে সন্তানের সত্যি কারের সুখের জীবন।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:০৩