somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

শেখ এম উদ্‌দীন
আমার ব্লগ আমার বাসার ড্রয়িং রুমের মত, আমি এখানে যেকোনো কিছু দিয়ে সাজাতে পারি আপনার পছন্দ না হলে বলতে পারেন আমার কোন আসবাবটির অবস্থান বা ডিজাইন আপনার পছন্দ হয় নি এবং কেন হয় নি। তবে তা অবশ্যই ভদ্র ভাষাতে। ভাষার ব্যবহার করতে জানা অনেক বড় একটি গুন

লিটন দাশের ছবি, কাট মোল্লা এবং তাহাদের সমগোত্রীয় বাঙালেরা

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

৬৩৭ খ্রিঃ জেরুজালেমের শাসনকর্তা Patriarch Sophronius খালেদ বিন ওয়ালিদ (রাঃ) এবং আমর বিন আল আস (রাঃ) নেতৃত্বে থাকা মুসলমান সৈন্যদের দ্বারা বেষ্টিত অবস্থাতে থাকা সত্ত্বেও ঘোষণা দিলেন যে তিনি একমাত্র খলীফা ওমর (রাঃ) এর নিকটই আত্মসমর্পণ করবেন!

এ ঘটনা জানতে পেরে মুসলিম জাহানের দ্বিতীয় খলীফা ওমর ইবনুল খাত্তাব (রাঃ), অমুসলিম গণের নিকট যিনি আজও একজন অনুকরণীয় শাসক এবং ধারণা করা হয় পৃথিবী ধ্বংসের পূর্বে মানব জাতি এমন সদাচারী সাশক আর পাবে না সেই অর্ধ পৃথিবীর শাসনকর্তা শুধু মাত্র একজন ভৃত্য এবং একটি গাধা নিয়ে রওয়ানা হয়ে গেলেন জেরুজালেমের পথে। পথিমধ্যে ভৃত্য কে গাধার পিঠে উঠিয়ে নিজে হেটে যাওয়ার ঘটনা আমাদের অনেকেরই জানা, তাই ঐ বিষয়ে আলোকপাত করলাম না।

জেরুজালেম পৌঁছানর পর Patriarch Sophronius তাঁকে শহর ঘুড়িয়ে দেখানোর এক পর্যায়ে Sophronius ওমর (রাঃ) কে বিখ্যাত Sophronius চার্চ দেখাতে নিয়ে গেলেন। এমতাবস্থাতে নামাজের সময় চলে আসল এবং তা অনুমান করতে পেরে Sophronius খলিফাকে চার্চের মধ্যেই নামাজ আদায় করে নিতে আহ্বান জানালেন। খলীফা ওমর (রাঃ) তার এ আহ্বানে সাড়া না দিয়ে চার্চের বাইরে গিয়ে নামাজ আদায় করলেন এবং সেখানে পরবর্তীতে মসজিদে ওমর নামে একটি মসজিদ প্রতিষ্ঠিত হয়। উনি চার্চে নামাজ পড়লে নামাজ হবে না এমন কোন অলীক ওজুহাত দেন নি উনি নামাজ পরেন নি এই কারনে যে ওনার অবর্তমানে মুসলমানগণ যদি ওমর এর স্মৃতির অজুহাতে খৃস্টানদের এই পবিত্র চার্চখানা দখল করে মসজিদ হিসেবে চালিয়ে দেয় তাহলে আল্লাহ্‌র দরবারে ওমর (রাঃ) দায়ী হবেন! কারন ইসলাম একমাত্র ধর্ম যা মানুষ কে স্বাধীনতা দিয়েছে ধর্মের বিষয়ে। এমনকি মুসলিম শাসক নয় প্রতিটি মুসলমানের দায়িত্ব অন্য ধর্মাবলম্বীদের উপাসনার স্থানের বা তাঁদের ধর্মীয় অনুভূতির মূল্য দেয়া।

এই হল ইসলাম। অথচ একদল ইস্লামের নামে অন্য ধর্মের অনুসারিদের অযথা আক্রমন করে যাচ্ছে। এই সকল কাট মোল্লা কিংবা এদের অনুসারিরা কি হজরত ওমর (রাঃ) এর চেয়ে বেশী ইমানদার? নিশ্চয়ই না। এরা ইসলাম জানে শুধু পবিত্র কুরআন আরবি দেখে পড়তে কিংবা না দেখে পড়তে, অথচ পবিত্র কুরআন অর্থসহ বুঝে পড়তে পারা মুসলমান হিসেবে একটি অন্যতম দায়িত্ব।


এই অন্যতম দায়িত্ব পালনে অপরাগ দের তুলনা দিয়ে আবার তাদের সম মানের জ্ঞানী বাঙলার সেক্যুলার (ইসলাম বিষয়ে বিশেষ ভাবে অজ্ঞ) সমাজ ইসলাম বিদ্ধেষ ছড়িয়ে যাচ্ছে অনলাইন থেকে শুরু করে প্রতিটি প্লাটফর্মে! তা হোক ৫ বছর আগের ঘটনা তাতেও এই পঙ্গপালের দলের কোন সমস্যা নেই! কাট মোল্লা আর এই বাঙলার তথাকথিত সেক্যুলার দের মধ্যে লেবাস ব্যাতিত আর কোন পার্থক্য অদ্যাবধি চোখে পরল না!

আগেও বলেছি আবারও বলেছি, ইসলামের সমালোচনা করার আগে ইসলাম সম্পর্কে জানতে হবে, এবং সেই জানা নিজে পড়ে বুঝে জানতে হবে। সামান্য এক বিজ্ঞানের টপিক নিয়ে সমালোচনা বা আলোচনা করার আগেও অনেক কিছু জানতে হয়। যেমন এবারের ফিজিওলজির নোবেল পুরস্কার নিয়ে আমার অনাস্থা আছে, কিন্তু সময়ের অভাবে সব জানতে পারছি না দেখে লিখতে পারতেছি না! সামান্য এক নোবেল এর বিষয় নিয়ে আলোচনা করার দুঃসাহস দেখাতে পারছি না পড়ার সময়ের অভাবে অথচ বিশ্ব মানবতার মুক্তির সনদ ইসলাম নিয়ে পাতার পর পাতা লিখে ফেলছেন সুরা ফাতিহার অর্থ না জেনেই! এটা কেমন যেন আপনাদের যুক্তিতেই স্যাব্লামো মনে হয় না?

জ্ঞানীর জন্য ইশারাই যথেষ্ট। আল্লাহ্‌ আমাদের সকলকে বুঝার তৌফিক দান করুন। আমীন।

#ISLAM #ReligionOfRespect #Liton_Das and #PropagandaOfStupids
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৪
১১টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অহমিকা পাগলা

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১৪


এক আবেগ অনুভূতি আর
উপলব্ধির গন্ধ নিলো না
কি পাষাণ ধর্মলয় মানুষ;
আশপাশ কবর দেখে না
কি মাটির প্রণয় ভাবে না-
এই হলো বাস্তবতা আর
আবেগ, তাই না শুধু বাতাস
গায়ে লাগে না, মন জুড়ায় না;
বলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

হার জিত চ্যাপ্টার ৩০

লিখেছেন স্প্যানকড, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩




তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনাস্ত

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪



ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×