গোলাম আযম কেবল একটি নাম নয়। গোলাম আযম ছিল একাত্তরের এক মুর্তিমান আতঙ্কের নাম। তার হাত ধরেই পাকিস্তানিরা এদেশের নিরস্ত্র সাধারণ মানুষের উপর ঝাপিয়ে পড়েছিল। এদেশে গনহত্যা চালিয়েছিল, মা বোনের ইজ্জত কেড়ে নিয়েছিল। সেই নরপশুর নাম গোলাম আযম।
শুধু তাই নয়, স্বাধীনতার পর যখন একটি নব্য স্বাধীন দেশের প্রয়োজন ছিল আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি- সহযোগিতা তখন এই গোলাম আযমই বৃটেন, সৌদী আরব সহ বিভিন্ন আরব রাষ্ট্র চষে বেড়িয়েছে কেউ যেন নব্য দেশটিকে স্বীকৃতি না দেয়। যুদ্ধ বিদ্ধস্ত দেশে সাহায্য না পাঠায়।
এই নরপশুর হাত ধরেই পাকিস্তান- আমেরিকার সহযোগিতায় এদেশেরই কিছু কুলাঙ্গারদের দিয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্ব পরিবারে হত্যা করে। এর পর জিয়াউর রহমানের সহযোগিতায় ১৯৭৮ সালে দেশে এসে স্বাধীন বাংলাদেশকে পাকিস্তান বানানোর ষঢ়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। কে জানে শেষ পর্যন্ত হয়তো জিয়াউর রহমানও বেকে বসেছিল তাই তাকেও সেদিন প্রাণ দিতে হয়েছিল।
সারা জীবন গোলাম আযম অখন্ড পাকিস্তান গড়ার স্বপ্ন দেখে গেছেন এবং মৃত্যুর আগ পর্যন্ত দেখেছেন। তার কৃত কর্মের জন্য মৃত্যুর আগে একবারও জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়াতো দুরের কথা, আল্লাহপাকের কাছেও হয়তো সামান্যটুকুও অনুশোচনা করে যান নাই।
দুঃখ হয় যখন এমন পাকিস্তান প্রেমী নরপশুকে এদেশেরই মাটিতে কবর দেয়ার কথা শুনি। দুঃখ হয় যখন শুনি এই নরপশুটির জানাজা পড়ানো হবে আমাদের দেশের জাতীয় মসজিদে। আরো বেশি দুঃখ হয় তখন, যখন এতকিছুর পরও আওয়ামীলীগ সকার নিশ্চুপ ভুমিকা পালন করে।
বঙ্গবন্ধুকে দেখিনাই, দেখেছি তার কন্যা শেখ হাছিনাকে। লক্ষ করেছি দেশের প্রতি তার গভির মমতা, দেশ প্রেম। হয়তো পিতার মতই। আবার আমার ধারণার সবটুকুই ভুল হতে পারে। হয়তো ভোটের রাজনীতি আর দেশপ্রেম কখনও একসাথে হয়না। হয়তো দেশের পবিত্র মাটিকে এই কলঙ্কের হাত থেকে রক্ষা করার চেয়েও, হয়তো জাতীয় মসজিদকে অপবিত্র হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করার থেকেও ভোটের রাজনীতি একজন প্রধান মন্ত্রীর কাছে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ!!
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৩:৩২