somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

অফেরত একটি বইয়ের বেদনা এবং বৈশাখী ঝড় দেখা সংক্রান্ত…!

২৮ শে মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



ক্লাস টেনে রচনা প্রতিযোগিতায় একজন প্রতিমন্ত্রির হাত থেকে পুরস্কার পেয়ে আল্হাদিত আমার পরিচয় হয়েছিল বিশ্বসাহিত্যের সাথে ৷ পরিচয় হলেও বিশ্বসাহিত্য বা স্বদেশী সাহিত্যের বিশাল সাগরের অমূল্য রত্নভান্ডার থেকে মুক্তো কুড়োতে পেরেছি খুব সামান্যই ৷

মনে পড়ে স্কুলের লাইব্রেরী থেকে প্রথম পড়া সেই বইগুলিঃ “আজব হলেও গুজব নয়” কিংবা “মোটর গাড়ির গোড়ার কথা” ইত্যাদি ৷ তিন গোয়েন্দা পড়ার বয়স শেষ করে কলেজে পড়াকালীন আমি পড়েছি রবিন মিলফোর্ড আর মুসাদের বেশ কিছু কৈশোরিক আ্যডভেঞ্চারের কাহিনী ! সে তুলনায় মাসুদ রানা পড়েছি অনেক কম !

তখন বৈশাখ মাস,কলেজের ছুটিতে বাড়ী গিয়েছি । শীর্ষেন্দুর ‘দূরবীণে’ ডুবে আছি । সেদিন বিকেলে হঠাত ঈশাণ কোণ তার রুদ্রাক্ষিতে কাজল পড়তে শুরু করলে সদ্য পড়া বইয়ের পাতার ঝড় বাস্তবে দেখার নাচন ওঠে আমার উৎসুক মনে । পাশের বাড়ীর বন্ধুকে সাথে নিয়ে ছুটলাম গ্রামের প্রান্তে ঈদগাহ মাঠে । কালবৈশাখীর রুদ্র মাতম চরমভাবে উপভোগের সাথে মায়ের উৎকণ্ঠিত বকুনি বাড়তি পাওনা হিসেবে পেয়েছিলাম সেদিনের সেই ঝড় সন্ধ্যায় !

মৈত্রেয়ী দেবীর ‘ণ হণ্যেতে’ আর মির্চা ইউক্লিডের ‘লা নুই বেঙ্গলী’ তে বুঁদ ছিলাম আরও কিছুদিন ! তারপর ‘শেষের কবিতা’ যখন পড়তে শুরু করলাম তখন তার মুগ্ধতার মশালে আলোকিত হল আমার অন্ধকার কুটীর । ‘সঞ্চয়িতা’ রসেও ভিজেছিল আমার তপ্ত তৃষিত তনুমন । ‘দুর্গেশনন্দিনীর’ অন্দরমহল কিংবা ‘কপালকুণ্ডলার’ কাপালিক এখনও আমার অনুভূতিতে সমুজ্জ্বল ।

তারপর দিনে দিনে ধর্ম,দর্শন,কবিতা কিংবা রাজনীতি নিয়েও পড়াশোনা হয়েছে অল্পবিস্তর । শিকার ও সুন্দরবন নিয়ে যতগুলো বই পেয়েছি,সবগুলোই কিনেছি আর গোগ্রাসে গিলেছি ।

সংগৃহীত বইগুলো যেভাবে স্মিত হাস্যে তৃপ্ত করে দুচোখ-মন সেভাবে হারিয়ে যাওয়া কিংবা অফেরত বইগুলোর স্মৃতিও মাঝে মাঝে মনকে করে উদাস । উপরের ছবিতে মার্ক করা খুব প্রিয় বইটার জন্য আমার হতাশা মেশানো ভালোবাসা কারণ বইটা যে আর ! /:)/:)
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ২:২৪
২২টি মন্তব্য ২২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার প্রফেশনাল জীবনের ত্যাক্ত কথন :(

লিখেছেন সোহানী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৫৪



আমার প্রফেশনাল জীবন বরাবরেই ভয়াবহ চ্যালেন্জর ছিল। প্রায় প্রতিটা চাকরীতে আমি রীতিমত যুদ্ধ করে গেছি। আমার সেই প্রফেশনাল জীবন নিয়ে বেশ কিছু লিখাও লিখেছিলাম। অনেকদিন পর আবারো এমন কিছু নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

×