somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

দিনলিপি -২

১৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

কোন একটা দিন আসে এক ঝাঁপি স্মৃতি নিয়ে। পর্দা খুলছে আর নামছে, যেন একদিনেই শেষ করতে চায় নাটকের সব পর্ব। ঐ বিশ দিনের টোনা-টুনির সংসারটা যেন হয়েছিল দ্বিতীয় মধুচন্দ্রিমা। বাবা মা বিশ দিনের জন্য উড়ালপঙ্খি হওয়ার আগে, হাতে চাবি ধড়িয়ে দিয়ে বলেছিলেন, ‘এই কয়দিন তোরা দুই জন একটু বাসায় থাক।‘ সেমিস্টার ব্রেকটাও পরেছিল মোক্ষম সময়ে। আপাদমস্তক হয়ে উঠলাম ঘরকন্যা। একটা ঝুম বৃষ্টির রাতও এসেছিলো, সেই দিন বাবার গাড়িটা হওয়ে গিয়েছিলো পঙ্খিরাজ। আমার পাঁশে কিন্তু তখন শার্ট ইন করা, চেহারায় লোক লোক ছাপের এখনকার ব্যস্ত কোন ডেন্টিস্ট ছিল না!!! ছিল, জিন্স আর হাত গুটানো ইন ছাড়া শার্ট পরা, ছোকরা গোছের এক নব্য প্রাক্টিসিং ডেন্টিস্ট। কিছুক্ষণ খটাখটি, কিছুক্ষণ মান ভাঙ্গানো, কিছুক্ষণ হাসির রোলে লুটিয়ে পরা, তারপর ঐ ঝুম বৃষ্টিতেই কোথায় যেন হারিয়ে যাওয়া……

খুব অভ্যস্ত গিন্নির মতোই, রান্নাঘরের খুটুর খাটুর শেষ করে, রিমোট হাতে একদিন বসেছিলাম রঙ বাক্সটার সামনে। টুকটাক রঙ বাক্সের নেশাটা বিসর্জন দিতে হয়েছিল কয়েক মাস আগেই। পর্দা পালটাতে পালটাতে, একটা পর্দায় চোখ আঁটকে গেলো, ‘আরে এটাতো আমার গল্প…….।’ সেই গল্পটির লেখক এমনই জাঁদরেল মহিলা, আমার মত বই না পড়া, বই না ছোঁয়া মানুষকে, একেবারে ঘাড় ধরে গ্রন্থ কীট বানিয়ে দিলেন !!!!!

সময়ের রদবদলে কোলে আসলো ছোট্ট একটা মানুষ। রঙ বাক্সটায়ও ইতি পরেছিল আমার গল্পটায়। ওটা কি শুধু আমি??? নাকি শত সহস্র ‘সুবর্ণ-র’ মাঝে একটা আমি। ইতি পরলে কি হবে…… ঐ জাঁদরেল লেখক একের পর এক পড়িয়েই ছাড়লেন তিন প্রজন্মের গল্প। তিনটা সময়, তিনটা কাল, তিনটা মানুষ, কিন্তু সবটাই তো আমি।

আরও কিছুদিন পর, আমার দুই পাঁশে তখন ছোট্ট দুইটা মানুষ, কম্বল জড়ানো ওমে ঘুমাচ্ছে। আমি তখন এক ক্লান্ত রাত জাগা পাখি, মাথায় ঝুলছে থিসিসের কাজ। কিন্তু টিমটিমে আলোয় সাঁতার কাটছি বারোটি উপন্যাসের মস্ত একটা বইয়ে।

এমনই স্মৃতিময় দিনগুলো কেন আসে?

যন্ত্রণা দিতে নাকি মায়ায় ভরাতে?
৪টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমার প্রফেশনাল জীবনের ত্যাক্ত কথন :(

লিখেছেন সোহানী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৫৪



আমার প্রফেশনাল জীবন বরাবরেই ভয়াবহ চ্যালেন্জর ছিল। প্রায় প্রতিটা চাকরীতে আমি রীতিমত যুদ্ধ করে গেছি। আমার সেই প্রফেশনাল জীবন নিয়ে বেশ কিছু লিখাও লিখেছিলাম। অনেকদিন পর আবারো এমন কিছু নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি ছবি ব্লগ ও ছবির মতো সুন্দর চট্টগ্রাম।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৮


এটি উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বা কোন বিদেশী মেয়ের ছবি নয় - ছবিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সংলগ্ন রাঙামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির একটি ছবি।

ব্লগার চাঁদগাজী আমাকে মাঝে মাঝে বলেন চট্টগ্রাম ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×