somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমার স্কুটি কিনার ঘটনা :P

২৯ শে নভেম্বর, ২০১০ সকাল ১০:৪২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমার স্কুটি কিনার ঘটনা :P

অনেকদিন ধইরা স্কুটি (scooter) কিনা লইয়্যা সেকি অবস্তা। ওয়েব থাইক্যা এ্যড্রেস নিয়া ফোন করা, ২দিন কইরা বাংলামটর,পুরান ঢাকায় ৩জন মিইল্যা দিন ব্যাপি ঘুরাফেরা, এদিকে সিংগারের (singer) নতুন স্কুটি আসার আশ্বাসে ১০/১২ দিন অপেক্ষা । পরে ওদের শোরুমে গিয়ে দেখি,একটা সেকেন্ডহ্যান্ড ভাংগা স্কুটি আমার জন্য নিয়া আইছে,মেজাজ চরম খারাপ নিয়া ফিরা আইলাম বাসায়। ওদেরকে বেশ কথা শুনাইছি। বুঝার চেষ্টা করলাম একটা শোরুম কেইমনে এত উল্টা পাল্টা করে? স্কুটির চারিদিকে বামপার লাগানো, সামনে দিয়া ভাংগা। ওরা কয়, এইডা নাকি আনার সময় ভাইংগা গেছে। মনে অইতেছিল, কোন পাগলরে বোঝ দিতাছে।



অবশেষে ডিসিসান নিলাম ইম্পুটারের কাছ থেকে 'একটিবা' 'স্কুটি'টা নিব। ইম্পুটার রে ফোন দিলাম, ওরা কইল স্কুটির দাম ১লাখ ৮ হাজার। তবে কিছু কম রাখা যাবে। গোডাওন থেকে কালার চয়েজ কইরা নেওয়া যাবে।

যাওয়ার দিন হইল আরেক কাহীনি, আমার কাছে ক্যাশ ৫০ হাজার টাকার শর্ট আছে। গেলাম এইচ,এস,বি,সি বোথে। ডে লিমিট ৫০হাজার। ২০ হাজার টাকা তোলার পর, আর আমার কার্ড নেয় না। ফলটি কইয়া বাইর কইরা দেয়। কি আর করা। সাথে লাভলু ছিল, ওর কার্ডেরও ডে লিমিট শেষ। এইবার মোর্্শেদ ভাইরে ফোন দিয়া ঘটনা জানাইলাম আর বল্লাম, আপনি উত্তরার কোন একটা বুথে আসেন আমরা আসতেছি, আমরা গিয়ে ওনার এ্যাকাউন্টে টাকা ট্রান্সফার করে টাকা তোল্লাম। সি,এন,জি ৪০মিনিটের মত দাড়াইয়া আছে, কারন যে বুথে গেছি সেইটা ন্ষ্ট, হাইট্টা অন্য বুথে গিয়া টাকা তোলতে হইছে। এইদিকে সি,এন,জি ওয়াল্লার গেন গেন শুনতে শুনতে মাথা ঝালা পালা। টাকা উঠাইয়া, অপেক্ষা করতেছিলাম মাহমুদ ভাই আর ওনার বউ মুন্নির জন্য। ওরা ৫ মিনিটের মধ্য পৌছে গেল। আমরা ৫ জন মিলে রওনা দিলাম আর মনে মনে চিন্তা করতেছি, এটাই লাষ্ট সি,এন,জি। যাওয়ার কথা ছিল টংগী আর চলেগেছি টংগী পার হইয়া গাজীপুর। আবার সিএনজি ঘুরাইয়া টংগী হোন্ডার অফিসে গেলাম। গিয়া দেখি কালার ১টাই(লাল) আছে আর ওরা প্রাইজ কমাতে পারবেনা। ওদেরকে বল্লাম তাইলে আমদেরকে ফোনে এই কথা(কালার দেওয়া যাবে, আর প্রইজ কমানো যাবে) বলা হইছে ক্যান? এর কোন রিপ্লাই ওরা দিতে পারেনাই। তবে ঐখানে কিছু দালাল আছে ওদের কাছ থাইক্যা কিনলে ১ হাজারের মতন কম রাখবে। দালাল গুলারে অফিসই ধরাইয়া দিছে। পরে মাহমুদ ভাই বল্লেন ওদের কাছ থেকে নেওয়ার কোন মানে নাই, তার চাইতে ভাল শোরুম থেকে নেওয়া, রেজিস্ট্রাশনের ঝামেলা টামেলার ব্যপার আছে। আর তাছাড়া ওদেরকে ভন্ড ভন্ড মনে হইতেছে। টাংগী থাইক্যা আবার উত্তরা আইলাম সি,এন,জি তে (আবার মনে মনে, এটা হয়ত লাস্ট সি,এন জি )। যাই হোক উত্তরায় আইসা হোন্ডার শোরুমে গিয়া ওদেরকে এ্যডভান্স করলাম ২ হাজার টাকা, কইরা আমার খাইতে গেলাম 'ফায়ার অন আইসে'। খাওয়া শেষ করার আগেই ওরা ফোন দিল স্কুটি আসছে। খওয়া শেষ কইরা গেলাম স্কুটি দেখতে, আনেক খুত টুত ধরলাম, তারপরে ১লাখ ৬ হাজার টাকা দিয়া নিয়া নিলাম। হ্যাভি মজা লাগতে ছিল :) নেওয়ার পরে মোর্শেদ ভাই ওনার ফেবারেট মফিজ ভাইয়ের ফুচকা খাওয়াইল। তারপর সবাই মিলে গেলাম মাহমুদ ভাইয়ের বাসায়। ঐখানে আবার মুন্নি(মাহমুদ ভাইয়ের বউ) নুডোল্স আর চা দিল। মজা কইরা খাওয়া দাইয়া, আড্ডা শেষ কইরা স্কুটি চালাইতে চালাইতে বাসায় ফিরলাম রাত ৯টায়। যাই হোক অবশেষে আমার স্কুটি কিনা হইছে এইতা হইল বড় কথা। মোর্শেদ ভাই, মাহমুদ ভাই, মুন্নি আপনাদের কে অনেক অনেক ধইন্যাপাতা । আপনারা না থাকলে হয়ত সেদিন আর আমার স্কুটি কিনা হইত না।
৪৮টি মন্তব্য ৪৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অহমিকা পাগলা

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১৪


এক আবেগ অনুভূতি আর
উপলব্ধির গন্ধ নিলো না
কি পাষাণ ধর্মলয় মানুষ;
আশপাশ কবর দেখে না
কি মাটির প্রণয় ভাবে না-
এই হলো বাস্তবতা আর
আবেগ, তাই না শুধু বাতাস
গায়ে লাগে না, মন জুড়ায় না;
বলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

হার জিত চ্যাপ্টার ৩০

লিখেছেন স্প্যানকড, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩




তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনাস্ত

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪



ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×